বরগুনার ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ৬৩ জন

বরগুনায় ডেঙ্গুর ভয়াবহ প্রকোপ ক্রমেই গভীর সংকটের দিকে ধাবিত হচ্ছে। দিন যত বাড়ছে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ততই বাড়ছে। বরগুনায় ডেঙ্গুতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৬৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে বরগুনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৫১ জনে। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে বরগুনা সদর উপজেলায় ৫১ জন, তালতলী উপজেলায় ৪ জন, পাথরঘাটা উপজেলায় ১ জন, বামনা উপজেলায় ৫ জন, বেতাগী এবং আমতলী উপজেলায় একজন করে আক্রান্ত হয়েছেন। এ ছাড়া জেলায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন ২২১ জন। এদের মধ্যে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৯৩ জন, আমতলী উপজেলায় ২ জন, বেতাগী উপজেলায় ১ জন, বামনা উপজেলায় ১১ জন, পাথরঘাটা এবং তালতলী উপজেলায় ৭ জন করে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বরগুনা সদর উপজেলা ছাড়িয়ে এখন ডেঙ্গুর সংক্রমণ জেলার অন্যান্য উপজেলায় ছড়িয়ে পড়ছে। যা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত ১৫ই জুন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আদেশে ১০ জন মেডিকেল অফিসার এবং ১০ জন নার্স জরুরি ভিত্তিতে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়োগ দেয়া হলেও যোগদানের নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও ৫ জন চিকিৎসক এবং ৫ জন নার্স ৬ দিনেও যোগদান করেননি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা উপেক্ষা করে যোগদান না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরাম। স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের সভাপতি বলেন, কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করার দৃষ্টতা এরা কীভাবে পাচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি। বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স সুপ্রিয়া হাওলাদার বলেন, ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে আমাকে বরগুনা হাসপাতালে পদায়ন করা হয়েছে। এখানে পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। হাঁটার জায়গাটুকুও নেই। চিকিৎসক ও নার্স সংকটে চিকিৎসা দিতে আমরা চরম কষ্টে রয়েছি। এ বিষয়ে বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আবুল ফাত্তাহ বলেন, দিন যত বাড়ছে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ততই বাড়ছে। কিছুতেই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আসছে না। এমনিতেই এখন আমাদের চিকিৎসাসেবা প্রদান করতে বেগ পেতে হচ্ছে। এরকম পরিস্থিতি চলতে থাকলে সবকিছুই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। 
তিনি স্থানীয়দের সচেতন হওয়ার পাশাপাশি ব্যাপক পরিসরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান এবং মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনার তাগিদ দিয়েছেন।