দেশ বিদেশ
ইসরাইলের সঙ্গে সংঘাতের আবহে ইরানের আকাশে চীনা ‘রহস্যময়’ বিমান!
মানবজমিন ডিজিটাল
২১ জুন ২০২৫, শনিবারগত সপ্তাহে চীন থেকে ইরানের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয়া বেশ কয়েকটি বোয়িং ৭৪৭ বিমানকে রাডারে দেখা গেছে, যা উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, ইসরাইল দেশটির পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সিসিপি মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে পণ্যসম্ভার বা সেখান থেকে মানুষ পরিবহনে সহায়তা করছে। ঋষরমযঃজধফধৎ২৪ দেখায় যে, ১৪ই জুন থেকে শুরু করে কমপক্ষে পাঁচটি ফ্লাইট চীন থেকে ইরানে ভ্রমণ করেছে। দ্য টেলিগ্রাফ জানিয়েছে যে রহস্যময় পরিবহন বিমানগুলো কাজাখস্তান অতিক্রম করার আগে উত্তর চীন বরাবর পশ্চিম দিকে উড়েছিল। উজবেকিস্তান এবং তুর্কমেনিস্তান হয়ে দক্ষিণে প্রবেশ করেছিল। ইরানের কাছে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে রাডার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে যে ফ্লাইটগুলোর চূড়ান্ত গন্তব্য লুক্সেমবার্গ ছিল কিন্তু এগুলো কখনো ইউরোপীয় আকাশসীমা অতিক্রম করেনি। কিছু বিশেষজ্ঞ অনুমান করেছেন যে, এই ধরনের বিমানগুলো সাধারণত পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হয়। ইসরাইলের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় চীন তার দীর্ঘদিনের মিত্র ইরানকে সহায়তা করতে এই বিমানগুলো ব্যবহার করতে পারে। যদিও ফক্স নিউজ ডিজিটাল স্বাধীনভাবে ফ্লাইটগুলোর প্রকৃতি নিশ্চিত করেনি।
হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের সেন্টার ফর ন্যাশনাল ডিফেন্সের পরিচালক রবার্ট গ্রিনওয়ে “দ্য ইনগ্রাহাম অ্যাঙ্গেল”কে বলেছেন, ‘আমি মনে করি সম্পর্কটি কী তা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ, চীনের তেল ও গ্যাসের ৪৩ শতাংশ আসে মধ্যপ্রাচ্য থেকে, এর একটি বড় অংশের সরবরাহকারী ইরান। চীন বাজারমূল্যের নিচে অনুমোদিত তেল কিনতে পছন্দ করে। এটি চীনা অর্থনীতি এবং তার সামরিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। তাই ইরানের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক বেশ গভীর। বর্তমান সংঘাত এবং ইরানে সহায়তা করার বিষয়টি নিয়ে তুলনামূলকভাবে নীরব রয়েছে চীন। আমার মনে হয় এই পরিস্থিতিতে ইরানে চীনা অস্ত্রের চালান আসার সম্ভাবনা কম। সংঘাতের প্রেক্ষাপটে ইরান হয়তো তাদের উপকরণ, কর্মী বা সরকারের মূল্যবান জিনিসপত্র নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিচ্ছে, এমন সম্ভাবনা বেশি।’ ২০২১ সালে, ফক্স নিউজ ডিজিটাল রিপোর্ট করেছিল যে তেহরান এবং বেইজিং ইরানের রাজধানীতে ব্যাপক ধুমধামের মধ্যদিয়ে ২৫ বছরের সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ মারান্ডি, যিনি শাসকের ঘনিষ্ঠ, ফক্স নিউজকে বলেছিলেন যে ‘এই চুক্তি স্বাক্ষর যা ধারণা করা হচ্ছে তার চেয়ে আরও বেশি কিছু। এই কৌশলগত অংশীদারিত্ব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি ইরান ও চীনকে দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কের জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরি করতে সাহায্য করে। এর মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছেও একটি সংকেত পাঠানো হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যত বেশি ইরান ও চীনকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করবে, ততই ইরান ও চীনের মতো দেশগুলো একে অপরের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ হবে’।
সূত্র : ফক্স নিউজ