দেশ বিদেশ
আহমেদাবাদ ট্র্যাজেডি
৩১৮ মৃতদেহ এবং দেহের অংশ উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা
২১ জুন ২০২৫, শনিবারগুজরাটের আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান বিধ্বস্ত হওয়ায় ঘটনায় নিহতদের সঠিক সংখ্যা নির্ধারণ করতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে। তবে এই প্রথম
আহমেদাবাদের পুলিশ কমিশনার জিএস মালিক জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাস্থল থেকে মোট ৩১৮টি মৃতদেহ এবং দেহের অংশ উদ্ধার করা হয়েছে। সেগুলোর ডিএনএ এবং ফরেনসিক পরীক্ষা করা হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, আমাদের কাছে সঠিক হতাহতের সংখ্যা নেই। কারণ পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য ডিএনএ পরীক্ষা এখনো চলছে। সবমিলিয়ে, আমরা ৩১৮টি মৃতদেহ এবং দেহের অংশ ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছি। নিখোঁজ ব্যক্তিদের ডিএনএ নমুনাও পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, সম্পূর্ণ ফলাফল না পাওয়া পর্যন্ত সঠিকভাবে বলা যাবে না এই বিমান দুর্ঘটনায় কতোজনের মৃত্যু হয়েছে।
এয়ার ইন্ডিয়ার লন্ডনগামী বিমানটি আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের এক মিনিটের মধ্যেই ভেঙে পড়েছিল। বিমানটিতে পাইলট ও ক্রুসহ মোট ২৪২ জন আরোহী ছিলেন। তাদের মধ্যে একজন অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছেন। বাকিরা সকলেই নিহত হয়েছেন। বিমানটি বিজে মেডিকেল কলেজের হোস্টেল ভবনের উপরে বিধ্বস্ত হয়েছিল। রাজ্য সরকার প্রথমবারের মতো নিশ্চিত করেছে যে, মাটিতে থাকা ১৯ জনও মারা গেছেন। এর মধ্যে চারজন এমবিবিএস ছাত্র এবং সেখানে বসবাসকারী চিকিৎসকদের পরিবারের চারজন সদস্য রয়েছেন। সরকার জানিয়েছে, ৭১ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২১৫ জন নিহতের ডিএনএ ম্যাচ করেছে। এর মধ্যে ১৯৮টি মৃতদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এদিকে পুলিশ কমিশনার জিএস মালিক আরও জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাস্থল থেকে ১০০টিরও বেশি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে, যেগুলো সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে পুড়ে গেছে। তথ্য সংগ্রহের জন্য ফোনগুলো ফরেনসিক বিজ্ঞান পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। আমরা দেখতে চাই যে এই ফোনগুলোতে এমন কোনো রেকর্ডিং আছে কিনা যা তদন্তে সহায়তা করতে পারে। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের জন্য বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত ব্যুরো তদন্ত করছে। পুলিশও দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে, তদন্তের ইনকোয়েস্ট পঞ্চনামা এবং অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছে।