দেশ বিদেশ
সড়কে মৃত্যুর মিছিল কমাতে বিধিমালা দ্রুত প্রণয়নের দাবি
স্টাফ রিপোর্টার
(১ বছর আগে) ১৭ আগস্ট ২০২২, বুধবার, ৬:৪৩ অপরাহ্ন
সড়কে মৃত্যুর মিছিল কমছে না। প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। সাধারণ দুর্ঘটনার পাশাপাশি মর্মান্তিক দুর্ঘটনাও ঘটছে। এসব দুর্ঘটনায় শুধু যে মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে তা নয়। প্রতিটা মৃত্যুর সঙ্গে পথে বসছে একেকটি পরিবার। কেউ কেউ মারাত্বকভাবে আহত হয়ে হাসপাতালে মৃত্যু যন্ত্রণায় কাঁতরাচ্ছে। অনেকে পঙ্গু হয়ে যন্ত্রণাময় জীবন যাপন করছে। সড়ক দুর্ঘটনার কারণগুলো চিহ্নিত। ঘুরে ফিরে নির্দিষ্ট কিছু কারণেই দুর্ঘটনা ঘটছে। বিভিন্ন সময় সংশ্লিষ্টরা এ নিয়ে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
বিজ্ঞাপন
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসোর্সের পরিচালক ড. সেলিম মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে যে আইন আছে তার অনেক দুর্বল দিক রয়েছে। ফলে এর সঠিক বাস্তবায়ন বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। আবার যাও বাস্তবায়ন করা সম্ভব সেটাও সম্ভব হচ্ছে না। কারণ এ সংক্রান্ত বিধিমালা এখন পর্যন্ত প্রণয়ন হয়নি। বর্তমান সড়ক দুর্ঘটনার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আইনের দুর্বল দিকগুলো নিরসন করা দরকার। আর এই মুহূর্তে বর্তমান আইনের বিধিমালা দ্রুত প্রণয়ন একান্ত জরুরি।
সভার সভাপতি ইকবাল মাসুদ বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসে আমাদের প্রত্যাশিত লক্ষ্যে এখনো পর্যন্ত পৌঁছাতে পারিনি। আইনের দুর্বল দিক, আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন না হওয়া, উপযুক্ত আইন প্রণয়নে ও বাস্তবায়নে বিভিন্ন ধরনের বাধা, সরকারের সদিচ্ছা ও সচেতনতার অভাবে সড়কে দুর্ঘটনা রোধ করা যাচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, দেশের যে কোনো উন্নয়নে গণমাধ্যমের ভূমিকা অন্যতম ও অনস্বীকার্য। সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ প্রণয়নে গণমাধ্যম যেভাবে এগিয়ে এসেছিল ঠিক একইভাবে গণমাধ্যম এগিয়ে আসলে বিধিমালা দ্রুত প্রণয়ন হবে।
মূল বক্তা ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের রোড সেইফটি প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী শারমিন রহমান তার প্রবন্ধে সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচটি রিস্ক ফ্যাক্টর, সড়ক দুর্ঘটনার আন্তর্জাতিক ও দেশীয় প্রেক্ষাপট, আইনের দুর্বল দিক ও বিধিমালা প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। এসময় তিনি গত কয়েক মাসের সড়ক দুর্ঘটনার তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন। শুধুমাত্র গত জুলাই মাসেই দেশে ৬৩২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭৩৯ জন নিহত এবং দুই হাজার ৪২ জন আহত হয়েছে জানান। শারমিন রহমান বলেন, অন্যদিকে এপ্রিল মাসে ৪২৭টি দুর্ঘটনায় ৮১ জন শিশুর মৃত্যু হয়। যা আমাদের ভাবায়। তবে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনার হার ও মৃত্যু বহুলাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব। যার মধ্যে অন্যতম হলো বিধিমালার দ্রুত প্রণয়ন। এ সময় বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকসহ ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের রোড সেইফটি প্রকল্পের অ্যাডভোকেসি অফিসার (পলিসি) ডা. তাসনিম মেহবুবা বাঁধন ও অ্যাডভোকেসি অফিসার (কমিউনিকেশন) তরিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
দেশ বিদেশ থেকে আরও পড়ুন
দেশ বিদেশ সর্বাধিক পঠিত
১
মুক্তিযুদ্ধে প্রথম ব্যারিকেড এবং জাতীয় গণহত্যা দিবস/ সেনাবহরকে ২০ মিনিট ফার্মগেটে আটকে রেখেছিলেন বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
৭