হ্যাপি এন্ডিং

৩ সপ্তাহ আগে নাটকীয়ভাবে পদ (দায়িত্ব) থেকে সরে দাঁড়ান বহুল আলোচিত পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন। তার অস্বাভাবিক বিদায়ের পর সচিবের রুটিন দায়িত্বে আসেন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক রুহুল আলম সিদ্দিকী। এটা তার জন্য ছিল অনেকটা অপ্রত্যাশিত। কারণ এক মাসের কম সময়ের মধ্যে রুহুল আলম সিদ্দিকীর পিআরএল শুরু হবে (২০শে জুন), এটা পূর্ব নির্ধারিত। বিশ্ব পরিস্থিতি এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির জটিল সমীকরণের এই সময়ে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিবের চেয়ারে তিনি বসবেন এবং তার চাকরি জীবনের বর্ণিল সমাপ্তি (হ্যাপি এন্ডিং) ঘটবে এটা মিস্টার সিদ্দিকীর নিজের কাছে ছিল অকল্পনীয়। এটা এজন্য যে ৫ই আগস্টের রক্তাক্ত পরিবর্তনের পর ফরেন সার্ভিসের বহু অফিসারের বিদায়ের ঘটনা ঘটেছে নীরবে-নিঃশব্দে! অনেকে তার প্রাপ্যটাও পাননি! সে অর্থে অত্যন্ত সৌভাগ্যবান রুহুল আলম সিদ্দিকী। অবশ্য তার ওপর ৩ সপ্তাহের জন্য সরকার যে গুরু দায়িত্ব দিয়েছে তাতে যেন কোনো অবস্থাতেই ব্যত্যয় না ঘটে- তার প্রতি সর্বদা খেয়াল ছিল মিস্টার সিদ্দিকীর। গতকাল এমনটাই জানালেন বিদায়ী প্রতিক্রিয়ায়। আজ চীন সফরে যাচ্ছেন তিনি। মধ্যাহ্নে কুনমিংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা করবেন। চীনের আমন্ত্রণে এবং তাদের খরচে হবে এই সফর। উদ্দেশ্য চীন-দক্ষিণ এশিয়া ফোরামের ৬ষ্ঠ আসরে যোগদান। কুনমিংয়ের আঞ্চলিক ওই ফোরামে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিবেন সচিব। তার ভাষ্য মতে, বিদায় বেলার এই আয়োজনটি এভয়েড করতে চেয়েছিলাম কিন্তু পারলাম না। কারণ সরকারের সিদ্ধান্ত। তাছাড়া বেইজিং ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিবকে অ্যাড্রেস করে দাওয়াতটি পাঠিয়েছে। যাক এই চেয়ারে এটাই আমার প্রথম এবং শেষ ভিজিট। মিস্টার সিদ্দিকী মানবজমিনকে আরও বলেন ২০ তারিখ দেশে ফিরবো, ওইদিনই পররবর্তী পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়াম ওয়াশিংটন থেকে ফিরবেন। কয়েকঘণ্টার ব্যবধানে তাকে দায়িত্বটা বুঝিয়ে দিয়ে আমার দীর্ঘ চাকরি জীবনের সমাপ্তি টানবো। উল্লেখ্য, গত ২৩শে মে ২০২৫ থেকে সচিবের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি।