দেশ বিদেশ
মৌলিক সংস্কারে একমত না হলে গণভোটে যেতে হবে
স্টাফ রিপোর্টার
১৯ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবারইসলামী আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব ও দলের মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেছেন, কিছু রাজনৈতিক সংগঠন জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছেন। কেউ কেউ বলতে চাইছেন, এটা এখন গঠন না করে পরে গঠন করা যেতে পারে। বিষয়টি আমাদের কাছে রহস্যজনক মনে হয়েছে। তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারই শুধু নয় বরং স্বাধীনতার পরে অতীতের সকল সরকারই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, দলীয়করণ করেছে। সেটা রোধ করার জন্যই এনসিসি প্রস্তাব করেছে সংবিধান সংস্কার কমিটির। এনসিসি নির্বাহী বিভাগের ওপরে কোনো হস্তক্ষেপ করবে না; বরং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সদস্য নিয়োগে কাজ করবে। দেশের অতীত বিবেচনায় দেশকে ভবিতব্য স্বৈরতন্ত্রের কবল থেকে রক্ষা করতে এনসিসি জরুরি। গতকাল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে এই অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। বৈঠকে ইসলামী আন্দোলনের দুই যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান ও অধ্যক্ষ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ অংশ নেন। আতাউর রহমান বলেন, এনসিসি নিয়ে আতংকের কিছু নেই। যারা দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে অনাগ্রহী তারাই কেবল এনসিসি নিয়ে দ্বিমত করতে পারে। তিনি বলেন, কোনো কোনো রাজনৈতিক দল এনসিসি প্রতিষ্ঠার মতো মৌলিক সংস্কারমূলক কাজ পরে করার ব্যাপারে মত দিয়েছে।
আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, জুলাই অভ্যুত্থানের প্রধান দাবিই হলো, দেশকে আগামীর যেকোনো স্বৈরতন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা করা। আগামীতে আর কোনো স্বৈরাচার যাতে জেঁকে বসতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার হতেই হবে। এতে যদি কোনো রাজনৈতিক দল দ্বিমত করে বা রাজনৈতিক দলগুলো যদি একমত না হয় তাহলে এই ধরনের মৌলিক সংস্কারের জন্য গণভোটে যেতে হবে। কারণ রাজনৈতিক দলগুলো দেশের জনমতকে ধারণ করে এটা সত্য কিন্তু যদি স্বৈরতন্ত্রের পথ উন্মুক্ত রাখার মতো কোনো বিষয় সামনে আসে তাহলে জনগণকে সরাসরি মতামতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।