বিশ্বজমিন
পাহাড়ের নিচে আরও গভীরে ফোর্দো পারমাণবিক স্থাপনা
ধ্বংস করতে প্রয়োজন ১৩,৬০০ কিলোগ্রাম ওজনের বোমা
মানবজমিন ডেস্ক
(৪ ঘন্টা আগে) ১৭ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ৯:০৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৯:০৭ অপরাহ্ন

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির একাধিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। তবে এখনও তারা ইরানের ফোর্দো ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র ধ্বংস করতে সক্ষম হয়নি। ফোর্দো ধ্বংস করা এত কঠিন কেন তাদের কাছে? কারণ এর অবস্থান। ফোর্দো কেন্দ্রটি ইরানের ক্বোম শহরের কাছে একটি পর্বতের নিচে গভীর ভূগর্ভে নির্মিত। এটি এমনভাবে নির্মিত হয়েছে যাতে বাইরের আক্রমণ থেকে সহজে রক্ষা পায়।
ফোর্দোকে ধ্বংস করতে ইসরাইলের প্রয়োজন হতে পারে ১৩,৬০০ কেজি (৩০,০০০ পাউন্ড) ওজনের জিবিইউ-৫৭ ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনিট্রেটর (এমওপি) বোমা। এই বোমা তার বিশাল ওজন ও গতিশক্তির মাধ্যমে মাটির গভীরে প্রবেশ করে বিস্ফোরণ ঘটাতে সক্ষম। এত বিশাল ও ভারি বোমা ইসরাইলের কাছে নেই। এই বোমা বহন করার মতো বিমানও নেই তাদের কাছে। এই বোমা বহন করতে পারে কেবলমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের বি-২ স্টেলথ যুদ্ধবিমান।
বি-২ তৈরি করেছে নর্থরোপ গ্রাম্মান। তাদের তথ্যমতে, বি-২ যুদ্ধবিমান বহন করতে পারে ১৮,০০০ কিলোগ্রাম বা ৪০,০০০ পাউন্ড। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী বলেছে, তারা বি-২’তে দুটি জিবিইউ-৫৭ এ/বি বাংকার ব্লাস্টার বহনের সফল পরীক্ষা করেছে। এই বোমা দুটির মোট ওজন ২৭,২০০ কিলোগ্রাম বা ৬০,০০০ পাউন্ড। কৌশলগত দূরপাল্লার ভারি বোমারু বিমানের পাল্লা প্রায় ১১,০০০ কিলোমিটার বা ৭,০০০ মাইল। এই পথ পাড়ি দিতে তাদের জ্বালানি পরিবর্তন করার প্রয়োজন দেখা দেয় না। নর্থরোপ গ্রাম্মান বলেছে, এই বিমান কয়েক ঘন্টার মধ্যে পৃথিবীর যেকোনো জায়গায় পৌঁছাতে সক্ষম।
ইরানের ইসফাহানে ধোঁয়ার কুন্ডলী: আল জাজিরার এক ফুটেজে দেখা গেছে, ইরানের ইসফাহান প্রদেশের একাধিক এলাকা থেকে ঘন ধোঁয়ার কুণ্ডলী আকাশে উঠছে। এই দৃশ্য প্রকাশিত হয়েছে ঠিক সেই সময়ের পরপরই, যখন ইসরা্ইল জানায় যে তারা পশ্চিম ইরানে একাধিক হামলা চালিয়েছে।