দেশ বিদেশ
আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনা
অন্তর্ঘাতের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার দায়িত্বে এনআইএ
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা
১৫ জুন ২০২৫, রবিবার গুজরাটের আহমেদাবাদের বিমান বিধ্বস্ত হওয়া নিয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রকের অধীনে বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত ব্যুরো ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তে সহায়তা করতে এসেছেন যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞরা। এসেছেন বোয়িং বিমান নির্মাণ সংস্থার বিশেষজ্ঞরাও। বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার সম্ভাব্য কারণ নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। তবে সবই টেকনিক্যাল ত্রুটি বা পারিপার্শ্বিক ঘটনা কতোটা দায়ী তা নিয়ে বিভিন্ন মত পাওয়া যাচ্ছে।
তবে এই দুর্ঘটনার পেছনে কি কোনো অন্তর্ঘাতের সম্ভাবনা রয়েছে কিনা তা নিয়েই এবার তদন্তের ভাবনা চিন্তা চলছে। সবদিক খতিয়ে দেখার জন্য জাতীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে জানা গেছে। শুক্রবারই এনআইএ এবং অন্যান্য কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বলে সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানানো হয়েছে। তবে এই পরিদর্শন নিয়ে কোনো তথ্যই আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি। শনিবার জানা গেছে ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড এনএসজি’র কমান্ডোদের দুর্ঘটনাস্থল ঘিরে রাখার দায়িত্বে নিয়োজিত করা হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তারক্ষী বা এনএসজি ভারতের একটি অভিজাত সন্ত্রাসবিরোধী বাহিনী, যা সন্ত্রাসী হামলা, জিম্মি পরিস্থিতি এবং ছিনতাইয়ের মতো বিভিন্ন নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে। প্রাথমিক তদন্তে যদিও অন্তর্ঘাতের কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি, তবুও গোয়েন্দারা অন্তর্ঘাতসহ সবদিক খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সূত্রের খবরে জানা গেছে, যেহেতু খলিস্থানী সন্ত্রাসীরা এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান উড়িয়ে দেবার হুমকি দিয়েছিল তাই গোয়েন্দারা অন্তর্ঘাতের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না।
বিশেষত কট্টর ভারতবিরোধী খলিস্তানী সন্ত্রাসী গুরপতবন্ত সিং পাপ্পুনের কোনো ভূমিকা রয়েছে কিনা তাও গোয়েন্দাদের নজরে রয়েছে। নিষিদ্ধ খলিস্তানী সংগঠন ‘শিখ ফর জাস্টিস’-র নেতা পাপ্পুন এক সময় এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে না চড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সে সময় হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। তাই পাপ্পুনের কোনো হাত রয়েছে কিনা তা নিয়ে গোয়েন্দারা খতিয়ে দেখার কাজ করছেন। আবার পাকিস্তানের আইএসআইয়ের মদতপুষ্ট কোনো ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠনের যোগ নিয়েও গোয়েন্দারা তদন্ত করছেন বলে জানা গিয়েছে।