দেশ বিদেশ
আইএফআইসি ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা চুরি, গ্রেপ্তার ৩
স্টাফ রিপোর্টার
১২ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার ঢাকার কেরানীগঞ্জের রোহিতপুর এলাকায় আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির উপ-শাখার ভল্ট ভেঙে ১৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা চুরির ঘটনায় যৌথ অভিযানে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- ব্যাংকের নাইট গার্ড মো. সিয়াম, তার সহযোগী আল আমিন হাওলাদার ও ইমরান শেখ। এ সময় তাদের কাছ থেকে লুট হওয়া ১৫ লাখ ২০ হাজার টাকা ও চুরির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আনিসুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গত ৯ই জুন রাতে রোহিতপুর বোর্ডিং মোড় এলাকার ইস্পাহানি স্কুল অ্যান্ড কলেজ মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত ব্যাংকটির ভল্ট ভেঙে ১৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায় সংঘবদ্ধ একটি চক্র। পরে ঢাকা জেলা দক্ষিণ গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ এবং কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। অভিযানে তাদের কাছ থেকে চুরি ১৫ লাখ ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানা সূত্র জানায়, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম, অপস অ্যান্ড ট্রাফিক দক্ষিণ) মো. তরিকুল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে সিয়ামের ভাড়া বাসা থেকে ৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা, আল আমিনের বাসা থেকে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা এবং ইমরানের বাড়ি থেকে ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এ সময় চুরির কাজে ব্যবহৃত গ্রাইন্ডিং মেশিন, লোহার শাবল, চাকু ও হার্ডডিস্কসহ সিসিটিভির ডিভিআর ডিভাইসও জব্দ করা হয়েছে।
পুলিশের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ঈদের ছুটির কারণে ব্যাংকটি বন্ধ ছিল। এ সুযোগে পরিকল্পিতভাবে ব্যাংকের পেছনের দেয়ালে থাকা ওয়াশরুমের অ্যাগজস্ট ফ্যান ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে দুর্বৃত্তরা। প্রথমে সিসিটিভি ক্যামেরার তার কেটে সিস্টেম অকার্যকর করে ফেলে। পরে ভল্ট ভেঙে নগদ অর্থ নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার তদন্তে সন্দেহভাজন হিসেবে প্রথমেই নজরে আসে নাইট গার্ড মো. সিয়াম।
শুরুতে সে দাবি করে, ঘটনার সময় সে ব্যাংকের বাইরে ছিল এবং অজ্ঞাত কেউ ভেতরে ঢুকে চুরি করে। তবে তার বক্তব্যে অসঙ্গতি পাওয়ায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং একপর্যায়ে সে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। এদিকে চুরির ঘটনায় ব্যাংক ম্যানেজারের ভূমিকা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং ঘটনার পেছনে আরও কেউ জড়িত কিনা, তা তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।