রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে স্পেনকে হারিয়ে শিরোপা রোনালদোদের

দুর্দান্ত ম্যাচটির নির্ধারিত সময় শেষ হয় ২-২ সমতায়। অতিরিক্ত সময়ের পর খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। পেনাল্টি শুটআউটে ৫-৩ গোলে স্পেনকে হারিয়ে নিজেদের দ্বিতীয় উয়েফা ন্যাশনস লীগ শিরোপা ঘরে তুলেছে পর্তুগাল।

আলিয়েঞ্জ অ্যারেনায় আক্রমণ আর বল দখলে এগিয়ে ছিল স্প্যানিশরাই। গোলের দিকে ১৬টি শটের মধ্যে ৬টি লক্ষ্যে রাখে স্পেন। পর্তুগালের ৭ শটের মধ্যে লক্ষ্যে থাকে স্রেফ ২টি, দুটিই গোল। পুরো ম্যাচে ৬২ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রাখা স্পেন এগিয়ে যায় ২১তম মিনিটে। ম্যাচের উদ্বোধনী গোলটি করেন মার্তিন জুবিমেন্দি। নুনো মেন্দেজের গোলে মিনিট পাঁচেকের মধ্যে সমতায় ফেরে পর্তুগাল। বিরতির বাঁশি বাজার ঠিক শেষ মিনিটে ব্যবধান বাড়িয়ে নেন স্পেনের মিকেল ওইয়ারসাবাল। মাঠে ফিরে ৬১তম মিনিটে দলকে সমতায় ফেরান ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। আন্তর্জাতিক ফুটবলের সর্বোচ্চ গোলদাতার এটি ১৩৮তম গোল। মেন্দেসের ক্রস এক প্রতিপক্ষের পায়ে লাগলে ফাঁকায় গোলপোস্টের কাছেই বল পেয়ে যান পর্তুগিজ অধিনায়ক। সহজ ট্যাপ ইনে বল জালে জড়ান সিআরসেভেন। মহাতারকার বয়সটা যে বাড়ছে তা অনুধাবন করা যায় ম্যাচের ৮৭তম মিনিটে। হুট করে মাঝ মাঠে বসে পড়েন রোনালদো। ইশারায় করে জানান তার পক্ষে আর খেলা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব না। অতিরিক্ত সময়ের খেলায় দুদলই ভালো কিছু সুযোগ তৈরি করলেও আর গোল না হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। পর্তুগালের হয়ে লক্ষ্যভেদ করেন গনসালো রামোস, ভিতিনহা, ব্রুনো ফার্নান্দেজ, নুনো মেন্দেজ ও রুবেন নেভেস। স্প্যানিশদের হয়ে প্রথম তিন শটে গোল করেন মিকেল মেরিনো, অ্যালেক্স বায়েনা ও ইস্কো। আলভারো মোরাতার চতুর্থ শটটি আটকে দেন পর্তুগিজ গোলকিপার দিয়োগো কস্তা। পঞ্চম শটে নেভেস গোল করতেই নিশ্চিত হয়ে যায় পর্তুগালের শিরোপা। এর সঙ্গে নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারেননি রোনালদো। আগে থেকেই ডাগ আউটে বসে কাঁদতে দেখা চায় এই ৪০ বছর বয়সী ফরোয়ার্ডকে। ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে এসে পর্তুগাল ফুটবলের মহানায়ক রোনালদোর হাতে ধরা দিল আরেকটি দুর্দান্ত অর্জন। এদিন ন্যাশনস লীগের ট্রফি নিয়ে মাঠে আসেন জাতীয় দলে রোনালদোর পুরনো বন্ধু ও পর্তুগালের কিংবদন্তি ডিফেন্ডার পেপে। এর আগে ২০১৯-এ নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে ন্যাশনস লীগের প্রথম আসরে চ্যাম্পিয়ন হওয়া পর্তুগালকে নেতৃত্ব দেন রোনালদোই।