খেলা
ভারতের ৫ শহর ও শ্রীলঙ্কার ৫ ভেন্যুতে হবে নারী বিশ্বকাপ
স্পোর্টস রিপোর্টার
৩ জুন ২০২৫, মঙ্গলবারআসন্ন নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের সময়সূচি ও ভেন্যু চূড়ান্ত করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। আগামী ৩০শে সেপ্টেম্বর থেকে ২রা নভেম্বর ভারতের পাঁচটি শহর এবং শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোর মোট পাঁচটি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে নারীদের ১৩তম ওয়ানডে বিশ্বকাপ।
বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে- এম. চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম (বেঙ্গালুরু), এ.সি.এ. স্টেডিয়াম (গৌহাটি), হোলকার স্টেডিয়াম (ইন্দোর), ভিসিএ স্টেডিয়াম (বিশাখাপত্তনম), আর. প্রেমদাসা স্টেডিয়াম (কলম্বো)। এই বিশ্বকাপে অংশ নেবে- ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান।
ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে ৩০শে সেপ্টেম্বর মাঠে গড়াবে উদ্বোধনী ম্যাচ। দীর্ঘ ১২ বছর পর নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফিরছে ভারতীয় উপমহাদেশে, ফলে ঘরের মাঠে ভারতের জন্য এটি হতে যাচ্ছে এক দারুণ সুযোগ। প্রথম সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ২৯শে অক্টোবর, গৌয়াহাটি অথবা কলম্বোতে। পরদিন, ৩০শে অক্টোবর দ্বিতীয় সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে বেঙ্গালুরুতে। আর ২রা নভেম্বর, রোববার ফাইনাল ম্যাচের ভেন্যু নির্ধারিত হয়েছে বেঙ্গালুরু অথবা কলম্বো। দুই দলের জন্যই অন্তত দুইদিনের প্রস্তুতির সুযোগ থাকবে।
একইসঙ্গে আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দশম আসরের দিনক্ষণ প্রকাশ করেছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। টুর্নামেন্ট শুরুর সময় ও আয়োজক ৭টি ভেন্যুর নামও ঘোষণা করেছে সংস্থাটি। আগামী বছরের ১২ই জুন শুরু হয়ে আসরের পর্দা নামবে ৫ই জুলাই। ছয় শহরের সাতটি মাঠে গড়াবে ম্যাচগুলো। মেগা ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহাসিক লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে।
বিশ্বকাপে ২৪ দিনে হবে ৩৩টি ম্যাচ। এই আসরে প্রতিযোগীর সংখ্যা বাড়িয়ে ১২ করা হয়েছে। যেখানে ৬টি করে দল ভাগ হয়ে খেলবে দুই গ্রুপে। গত বছরের অক্টোবরে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ আটে থাকা দলগুলো বিশ্বকাপে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করেছে। বাছাইপর্ব খেলে উঠবে আরও ৪ দল।
আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের বিত্তশালী ও বৈচিত্র্যপূর্ণ আয়োজন প্রতিটি দলের জন্য আবেগীয় সমর্থনের বহিঃপ্রকাশ। এখানে এমন ইভেন্ট অতীতেও স্মরণীয় হয়ে আছে। ২০১৭ আসরে লর্ডস দারুণ নারী ক্রিকেটে দারুণ মাইলফলক তৈরি করেছিল, তাই ফাইনালের জন্য এর চেয়ে উপযুক্ত ভেন্যু হতে পারে না। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের মাধ্যমে সমর্থকদের সঙ্গে আমরাও যেমন রোমাঞ্চিত, তেমনি ২০২৮ লস অ্যানজেলেস অলিম্পিকে ক্রিকেটের প্রত্যাবর্তনের জন্যও পূর্ব-প্রদর্শনী।’