দেশ বিদেশ
‘মাইনসে খায় গোস্ত, হামরা খাই চামড়ি আর ঠ্যাং’
সিদ্দিক আলম দয়াল, গাইবান্ধা থেকে
১৫ আগস্ট ২০২২, সোমবার‘হামরা খাই মুরগির ঠ্যাং আর চামড়া। খোস্ত খাওয়ার স্বাদ মেটাই চামড়ি আর ঠ্যাং দিয়া। দেশি ব্রয়লার আর সোনালী মুরগি কিনতে চাউলের দাম ফুড়ি যায়। সেই জন্যে গোস্ত খাওয়ার স্বাদ মেটাই ঠ্যাং আর চামড়ি দিয়া।’ গতকাল গাইবান্ধার মুরগির আড়তে গিয়ে এমন কথা শুনতে হয়েছে। শহরের মুন্সিপাড়ার প্রতিবন্ধী রোকেয়া বেগম। আগে কাজ করতেন বিভিন্ন মেস ও বাসাবাড়িতে। ষ্ট্রোক হওয়ার পর বেকার। নিজের কোনো জায়গা জমিও নেই। যখন হাত নেড়ে কাজ করতে পারতেন তখন অন্যের রান্না করে নিজের ভাগ্যেও দুই এক টুকরা জুটতো।
রোকেয়া বেগম আফসোস করে বলেন, ‘অনেকদিন ধরে মাছ-গোস্ত জোটে না।
বিজ্ঞাপন
ফুলুরানী নিজের সন্তানদের মুখে একটু ভালো খাবার তুলে দিতে ২শ’ টাকা দেনা করে বাজারে এসেছিলেন। কিন্তু এ দামে কোনো মুরগি নাই। তাই বাধ্য হয়ে সস্তÍায় ১৫০ টাকা কেজিতে মুরগির চামড়া, পা ও গলা,গিলা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। সেই গলাগিলা, পা ও চামড়ার দামও কেজিতে বেড়েছে ১শ’ টাকা। বেকায়দায় পড়েছেন চামড়া, ঠ্যাং আর গলা,গিলা কিনতেও পারছেনা না অনেকেই। তারা এ দোকান সে দোকান ঘুরে ঘুরে দাম করছেন। রোকেয়া বেগমও গিয়েছিলেন মুরগির চামড়া, পা আর গলাগিলা কিনতে। এটাও কেনার সাধ্য তার নাই। তাই খালিহাতেই বাড়ি আসেন তিনি। বলেন, গোস্তাতো দূরের কথা, দেশি আর ব্রয়লার মুরগির মাংসতো দূরের কথা কয়দিন পর ভাতে জুটপে না। চমড়া ও ঠ্যাং বিক্রেতা জয়নাল মিয়া জানান, তারা প্রতিদিন মুরগির কাটাছেড়া করেন। তাতে তাদের ভালোই চলে। অতিরিক্ত লাভের মধ্যে গিলা কলিজা আর চামড়া বিক্রি।
মন্তব্য করুন
দেশ বিদেশ থেকে আরও পড়ুন
দেশ বিদেশ সর্বাধিক পঠিত
৫