৫ দিন বাংলাদেশে থেকে আবার ছুটিতে কাবরেরা

বাংলাদেশ ফুটবল দলের সাবেক বৃটিশ কোচ জেমি ডে অনেকবার খবরের শিরোনাম হয়েছিলেন ছুটি কাটানো ইস্যুতে। স্প্যানিশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরাও সেই পথেই হাঁটছেন। প্রায় তিন সপ্তাহ ছুটি কাটিয়ে গত মঙ্গলবার ঢাকায় আসেন কাবরেরা। ওইদিনই ফেডারেশন কাপের ফাইনাল দেখতে চলে যান ময়মনসিংহ। শুক্রবার ও শনিবার লীগের খেলাও দেখেছেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের স্প্যানিশ কোচ। এরপর রোববার রাতে স্পেনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন কাবরেরা। আগামী ১০ই জুন ঢাকায় সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচের খেলোয়াড় বাছাই করার জন্য লীগের খেলা দেখাই প্রধান কাজ কোচের। সেটা না করেই কোচের বাংলাদেশ ত্যাগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে লীগ চলাকালীন অবস্থায় কোচকে কেন ছুটি দিলো ফুটবল ফেডারেশন? এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়নি ফেডারেশনের সংশ্লিষ্ট কারো কাছ থেকে। এমনকি এই প্রশ্ন খোদ ফেডারেশনের অনেক কর্মকর্তারই। ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় ভালো করা ফুটবলারদের ডাকেন না হাভিয়ের কাবরেরা। আর সুদূর স্পেন থেকে অনলাইনে খেলা দেখে ফুটবলারদের প্রকৃতভাবে কতটুকু যাচাই করতে পারবেন সেই প্রশ্ন বড় আকারেই আসে। এজন্য গত বুধবার জাতীয় দল কমিটির সভায় জিপিএস, অনলাইন সিস্টেম নিয়ে কোচ অনেক ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। ২৫শে মার্চ শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ খেলে পরের দিন ঢাকায় ফেরে বাংলাদেশ দল। এর পরের দিন সকালে কোচ হাভিয়ের কাবরেরা স্পেন যান ছুটি কাটাতে। ৮ই এপ্রিল থেকে ঘরোয়া ফুটবল 
পুনরায় শুরু হয়। বসুন্ধরা কিংস-মোহামেডান, আবাহনী-কিংসের মতো গুরুত্বপূর্ণ খেলাগুলো তিনি স্টেডিয়ামে বসে দেখতে পারেননি। ২৫ দিন ছুটি কাটিয়ে ২২শে এপ্রিল সকালে ঢাকায় ফিরেন। ২২শে এপ্রিল সকালে এসে ওই দিনই বিকালে ময়মনসিংহে ফেডারেশন কাপের ফাইনাল দেখতে যান। শনিবার সকালে স্কুল ফুটবল দেখে কুমিল্লায় আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ দেখে ঢাকায় ফিরে স্পেনে রওনা হন। ফেডারেশনের একাধিক মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তার পিতা শারীরিকভাবে অসুস্থ এজন্য নাকি ছুটি। এমন তথ্য গত ২৬ দিনের ছুটির সময়ও শোনা গেছে। ১০ই জুন ম্যাচের আগে ৩১শে মে থেকে জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরু হওয়ার কথা। ছুটি কাটিয়ে কাবরেরা কবে ফিরবেন জানা যায়নি।