দেশ বিদেশ
দেশের সব মসজিদে দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা
স্টাফ রিপোর্টার
১৪ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার
মুসল্লিদের সুবিধার্থে সারা দেশের সব মসজিদে দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ আদায় করার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। রোববার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আ. ছালাম খান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেয়া হয়। চিঠিতে বলা হয়, জুমার দিন সর্বাপেক্ষা উত্তম ও বরকতময় দিন। সপ্তাহের শ্রেষ্ঠতম দিন। মহান আল্লাহ বলেছেন, হে বিশ্বাসীরা জুমার দিন যখন নামাজের জন্য ডাকা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দিকে ধাবিত হও। আর বেচাকেনা বর্জন করো। এটি তোমাদের জন্য সর্বোত্তম; যদি তোমরা জানতে। (সুরা জুমা, আয়াত: ৯) জুমা পারস্পরিক দেখা সাক্ষাৎ ও সাপ্তাহিক ঈদের দিন। এদিন বিশেষ মর্যাদা ও তাৎপর্যপূর্ণ হওয়ার কারণ হলো এ দিনে বিশেষ সময়ে বরকত ও কল্যাণ রয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, বাংলাদেশে বিভিন্ন মসজিদে বিভিন্ন সময়ে জুমার নামাজ আদায় করতে দেখা যায়। কোনো মসজিদে দুপুর ১টায়, কোনো মসজিদে ১.৩০ মিনিটে, আবার কোনো মসজিদে দুপুর ১.৫০ মিনিটে জুমার নামাজ শুরু করতে দেখা যায়। সময়ের তারতম্যের কারণে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা বিশেষ করে পথচারীরা (সফররত মুসল্লি) বিভ্রান্ত ও সমস্যার সম্মুখীন হন। এ সমস্যা দূরীকরণে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। বিভাগ/জেলায় অবস্থিত সব মসজিদে একই সময়ে অর্থাৎ ১টা ৩০ মিনিটে জুমার নামাজ আদায় করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
পাঠকের মতামত
This is good initiative , thanks to all concern .
এই নিয়মটা সারাদেশে চালু করা হলে পথযাত্রী ও ভ্রমণকারীদের নামাজ আদায়ে বেশি সুবিধা হবে। সময়ের তারতম্যের কারণে অনেকেরই জামাত মিস হয়। তাই সিদ্ধান্তটি খুবই যুক্তিযুক্ত ও বাস্তবসম্মত। প্রসঙ্গত আরও উল্লেখ্য শুধু জুমআর নামাজ কেন-প্রতি ওয়াক্তিয়া নামাজ ও আজান সারা দেশে একই সময়ে হলে আরও উত্তম। অনেক নামাজি ভাইদরে সদিচ্ছা থাকা সত্বেও নামাজের সময়ের তারতম্যের কারণে ভ্রমণকারীদের ও পথচারীদের তাকবিরেওলা ছুটে যায়। তাই কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন বিষয়টি বিবেচনা করবেন ইনশায়াল্লাহ।
Yes
এই নিয়মটা প্রত্যেক মসজিদে চালু করা হলে পথযাত্রী ও ভ্রমণকারীদের নামাজ আদায়ে বেশি সুবিধা হবে। সময়ের তারতম্যের কারণে অনেকেরই জামাত মিস হয়। তাই সিদ্ধান্তটি খুবই যুক্তিযুক্ত ও বাস্তবসম্মত। প্রসঙ্গত আরও উল্লেখ্য পবিত্র মাহে রমজানের তারাবিতেও কুরআন তিলাওয়াতের ক্ষেত্রে প্রতিটি মসজিদে একই নিয়ম চালু হলে যে কোনো মসজিদে খতম তারাবি পড়তে মুসল্লীদের জন্য খুবই সুবিধা হবে। বিষয়গুলো আমরা সবাই মানার চেষ্টা করলে সুন্দর একটি ইসলামী সমাজ বিনির্মাণে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে ইনশাল্লাহ।
সঠিক সিদ্ধান্ত, আরো আগেই নেওয়া উচিত ছিল ।
আমি এই নির্দেশের পক্ষে। আর এটা হলে ভালো হবে ।
Good Decision
মহতি উদ্যোগ।
সুন্দর নিদেশনা।
আলহামদুলিল্লাহ, ভাল উদ্যোগ।
আলহামদুলিল্লাহ। খুবই উত্তম সিদ্বান্ত।
প্রতি ওয়াক্ত নামাজের সময় এবং আজানের সময় নির্ধারণ করে দেয়া উচিত। বিশেষ করে আজান বিভিন্ন সময় প্রচারিত হওয়ায় সমস্যা হয়।
খুবই প্রয়োজনীয় এবং অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, অসংখ্য ধন্যবাদ।
যাজাক আল্লাহুম্মা খাইরান