অর্থ-বাণিজ্য
ট্রাম্পের শুল্ক বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে: এডিবি
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
(৪ সপ্তাহ আগে) ৯ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ৮:৩৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ২:৩৯ অপরাহ্ন

চলতি অর্থবছর মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৩ দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুকে এ পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। বুধবার প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে এডিবি’র ঢাকা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
প্রবৃদ্ধির এই হিসাব ডনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক আরোপের আগে করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এডিবি। তবে এডিবি’র ঢাকা কার্যালয়ের অর্থনীতিবিদ চন্দন সাপকোটা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক পুরোপুরি আরোপিত হলে প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বড় ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হবে। এডিবি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছর গড় মূল্যস্ফীতি হতে পারে ১০ দশমিক ২ শতাংশ।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের রপ্তানিতে গতি থাকলেও এডিবি মনে করে, দুর্বল অভ্যন্তরীণ চাহিদা, রাজনৈতিক পালাবদল, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঝুঁকি, শিল্পে অস্থিরতা ও উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে প্রবৃদ্ধির গতি কমে যাবে।
সংস্থাটির এ দেশীয় প্রধান হোয়ে য়ুন জেওং মনে করেন, জরুরি কাঠামোগত সংস্কার করা গেলে বাংলাদেশের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হতে পারে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের গড় মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ২ শতাংশে উঠতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এডিবি। কারণ হিসেবে তারা বলেছে, খুচরা বাজারের প্রতিযোগিতা কমে যাওয়া, বাজার সম্পর্কে যথাযথ তথ্য না থাকা, সরবরাহব্যবস্থা ব্যাহত হওয়া ও টাকার অবমূল্যায়নের কারণে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। তবে চলতি হিসাবের ঘাটতি কমবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এডিবি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে চলতি হিসাবের ঘাটতি ছিল জিডিপি’র ১ দশমিক ৪ শতাংশ। চলতি (২০২৪-২৫) অর্থবছরে তা কমে শূন্য দশমিক ৯ শতাংশে নেমে আসতে পারে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, বাণিজ্য ঘাটতি কমছে এবং রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় বাড়ছে।
পাঠকের মতামত
আমরা আমেরিকার নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য গার্মেন্ট সামগ্রী রফতানি করি। এখন অতিরিক্ত শুল্ক ধার্যের কারণে নিশ্চয়ই রফতানি বন্ধ হয়ে আমেরিকার নিম্ন আয়ের মানুষেরা ন্যাংটা থাকবে না! আমেরিকার আমদানি কারকরা এবং বাংলাদেশের রফতানি কারকরা বসে ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করবে এবং রফতানি সচল রাখবেন। সাময়িক কিছুটা সমস্যা হতে পারে!