রাজনীতি
সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া সমন্বয়ক তানিফার পরিবারের পাশে জামায়াত নেতারা
স্টাফ রিপোর্টার
(৩ দিন আগে) ৪ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার, ২:৪৭ অপরাহ্ন

চট্টগ্রামের লোহাগড়ায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক তানিফা আহমেদ ও তার মামা শামীমের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর নেতারা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর মিরপুরে ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের নেতৃত্বে দলটির নেতারা তাদের স্বজনদের সমবেদনা জানাতে যান।
এসময় সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘তানিফা আহমেদ স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে এক ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করে বাংলাদেশের ইতিহাসে স্থায়ীভাবে স্থান করে নিয়েছেন। তার এ ঐতিহাসিক অবদানের কথা বাংলাদেশের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’ তিনি মরহুম তানিফাসহ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো সকলের রূহের মাগফিরাত কামনা করে সকলকে জান্নাতের আ’লা মাকাম দানের জন্য মহান আল্লাহ তা’য়ালার দরবারে দোয়া করেন।
তিনি বলেন, ‘মৃত্যু যেভাবেই হোক তা আল্লাহর ফয়সালা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়েই হয়ে থাকে। আর দুর্ঘটনাতে কারও কোনো হাত নেই। মরহুম তানিফা আহমেদ ছিলেন জাতির শ্রেষ্ঠ ও গর্বিত সন্তানদের মধ্যে একজন। তার দুনিয়ার সংক্ষিপ্ত সফরে দেশ ও জাতির যে অনন্য সাধারণ অবদান রেখেছেন তা আমরা কখনোই বিস্মৃত হবো না। তাই শোক কাতর না হয়ে আমাদেরকে মরহুমের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে সকলকে আত্মনিয়োগ করতে হবে।’ নিহত পরিবারের পাশে থাকতে সম্ভব সবকিছু করার আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।
মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন কর্নেল (অব.) আব্দুল বাতেন, ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য নাসির উদ্দীন, পল্লবী দক্ষিণ থানা আমীর আশরাফুল আলম, ঢাকা মহানগর উত্তর ও ৬নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী হাসানুল বান্না চপল, পল্লবী জোন প্রচার-মিডিয়া সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার মিজানুর রহমান ও উত্তরের নাসির উদ্দিন সজল প্রমুখ।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মিরপুর মডেল থানার সহ-মুখপাত্র তানিফা আহমেদ তার মামা শামীমসহ এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। চট্টগ্রামের লোহাগড়ার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকায় গত ২ এপ্রিল সকাল ৭টায় যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১০ জন প্রাণ হারান। চট্টগ্রাম থেকে ফেরার পথে তানিফা ও তার মামা শামীম, মামি ও ২ মামাতো বোন মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। এতে শামীমের এক বন্ধু তার স্ত্রীসহ ও আরেকজন বন্ধু এবং ড্রাইভারসহ একই পরিবারের ৬ জন মর্মান্তিকভাবে মারা যান।