অনলাইন
ফায়ার সার্ভিসের সতর্কতা
বড় ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকিতে দেশের ৪ অঞ্চল
স্টাফ রিপোর্টার
(২ দিন আগে) ২৯ মার্চ ২০২৫, শনিবার, ৩:১১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৪ পূর্বাহ্ন

মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের মতো বাংলাদেশের ৪ অঞ্চলে ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে থাকা ওই অঞ্চলগুলো হলো-চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ ও ঢাকা। শনিবার এক সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর।
সতর্কবার্তায় বলা হয়, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলে পর পর দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্প সংঘটিত হয়েছে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্প দুটির মাত্রা ছিল যথাক্রমে ৭ দশমিক ৭ ও ৬ দশমিক ৪। এতে দেশ দুটি বেশ ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। বাংলাদেশেও একই মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
ভূমিকম্প মোকাবিলার জন্য সব পর্যায়ে পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ ও সচেতনতা তৈরির আহ্বান জানানো হয় ওই সতর্কবার্তায়।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড ২০২০ অনুযায়ী ভূমিকম্প প্রতিরোধী ভবন নির্মাণ, ঝুঁকিপূর্ণ ও পুরোনো ভবনগুলোর সংস্কার ও শক্তিশালী করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ, সব বহুতল ও বাণিজ্যিক ভবনে অগ্নি-প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করা, ইউটিলিটি সার্ভিস, যেমন: গ্যাস, পানি ও বিদ্যুতের লাইন ঠিকঠাক আছে কিনা তা নিশ্চিত করা, ভূমিকম্প চলাকালীন সময়ে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি পর্যায়ে বিভিন্ন করণীয় সম্পর্কে নিয়মিত মহড়া অনুশীলন ও প্রচারের ব্যবস্থা করা, জরুরি টেলিফোন নম্বর যেমন ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স, পুলিশ, হাসপাতাল ও অন্যান্য জরুরি নম্বর ব্যক্তিগত পর্যায়ের পাশাপাশি সকল ভবন বা স্থাপনায় সংরক্ষণ করা এবং তা দৃশ্যমান স্থানে লিখে রাখা, ভলান্টিয়ার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে দুর্যোগকালীন কার্যকর ভূমিকা রাখার পরামর্শ দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর।
একই সঙ্গে জরুরি প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য সরঞ্জামাদি, যেমন: টর্চলাইট, রেডিও (অতিরিক্ত ব্যাটারিসহ), বাঁশি, হাতুরি, হেলমেট/কুশন, শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, প্রয়োজনীয় ঔষধ সামগ্রী, ফার্স্ট এইড বক্স, শিশু যত্নের সামগ্রী ইত্যাদি বাসা-বাড়িতে নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।