অনলাইন
সহযোগীদের খবর
সংবিধানের মূলনীতির বদল চায় না বিএনপি
অনলাইন ডেস্ক
(৩ দিন আগে) ২৭ মার্চ ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৯:৪২ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৭:২৬ অপরাহ্ন

প্রথম আলো
দৈনিক প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম ‘সংবিধানের মূলনীতির বদল চায় না বিএনপি’। খবরে বলা হয়, সংবিধানের মূলনীতি ও রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি থেকে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ দেওয়ার বিষয়ে সংবিধান সংস্কার কমিশন যে সুপারিশ করেছে, তাতে একমত নয় বিএনপি। দলটি মনে করে, এ–সংক্রান্ত সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৮, ৯, ১০ ও ১২-কে পঞ্চদশ সংশোধনীর আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়া অধিকতর যুক্তিযুক্ত।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে জমা দেওয়া সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ওপর বিএনপি এ মতামত তুলে ধরেছে। গত রোববার সংবিধানসহ পাঁচ সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ওপরও বিস্তারিত মতামত জমা দেয় বিএনপি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশের ওপর দেওয়া মতামতে বিএনপি জাতীয় সংসদের মেয়াদ পাঁচ বছর বহাল রাখার পক্ষে মত দিয়েছে। সংসদের মেয়াদ চার বছর করার বিষয়ে সংস্কার কমিশনের সুপারিশের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছে দলটি। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক দলের প্রধান ও সংসদ নেতা হতে পারবেন না বলে সংস্কার কমিশন যে প্রস্তাব দিয়েছে, সেটির সঙ্গেও ভিন্নমত জানিয়েছে বিএনপি। দলটি বলেছে, এটি সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের নিজস্ব সিদ্ধান্তের বিষয়। এ বিষয়ে বিএনপির ব্যাখ্যা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী দলের প্রধান অথবা সংসদ নেতার পদে কোনো এক বা একাধিক ব্যক্তি অধিষ্ঠিত হবেন কি না, তা একান্তই সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে সাংবিধানিকভাবে কোনো বিধিনিষেধ আরোপ সংসদীয় গণতন্ত্রের মূল চেতনার পরিপন্থী।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশে সংবিধানের মূলনীতি হিসেবে ‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার, বহুত্ববাদ ও গণতন্ত্র’ অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, বাংলাদেশ একটি বহুত্ববাদী, বহুজাতি, বহুধর্মী, বহুভাষী ও বহুসংস্কৃতির দেশ, যেখানে সব সম্প্রদায়ের সহাবস্থান ও যথাযথ মর্যাদা নিশ্চিত করা হবে। এ বিষয়ে বিএনপি দ্বিমত জানিয়ে বলেছে, সংবিধানের ৮, ৯, ১০ ও ১২ অনুচ্ছেদ পঞ্চদশ সংশোধনীর আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়া অধিকতর যুক্তিযুক্ত। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৮–এ বলা হয়েছে, ‘জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা—এই নীতিসমূহ এবং তৎসহ এই নীতিসমূহ হইতে উদ্ভূত এই ভাগে বর্ণিত অন্য সকল নীতি রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি বলিয়া পরিগণিত হইবে।’ অনুচ্ছেদ ৯, ১০, ও ১২-এ জাতীয়তাবাদ, সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা ও ধর্ম নিরপেক্ষতা নীতি বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে।
এই অনুচ্ছেদগুলো পঞ্চদশ সংশোধনীর আগের অবস্থায় নেওয়াকে সমীচীন মনে করে বিএনপি। মূলত তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্ত করে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আইন পাস করা হয়।
রাষ্ট্রীয় মূলনীতি প্রশ্নে বিএনপির এ অবস্থানকে একেবারেই দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বলে মনে করেন লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপি সর্বশেষ যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন তারা যে অবস্থায় সংবিধানকে রেখে গিয়েছিল, সেই অবস্থাতেই ফেরত চাইছে। তারা বাহাত্তরের চার মূলনীতিও চায় না। ১৯৭৬ সালে অধ্যাদেশের মাধ্যমে যেটা হয়েছিল, তারা মূলত সেটা চায়। ১৯৭৬ সালে অধ্যাদেশের মাধ্যমে জিয়াউর রহমান বাহাত্তরের সংবিধানের চার মূলনীতি বাদ দিয়েছিলেন।
জরুরি অবস্থা ঘোষণা প্রসঙ্গে
সংবিধান সংস্কার কমিশন জরুরি অবস্থা ঘোষণাসংক্রান্ত যে সুপারিশ করেছে, সেটার সঙ্গেও বিএনপির দ্বিমত রয়েছে। সুপারিশে বলা হয়, কেবল জাতীয় সাংবিধানিক কমিশনের (এনসিসি) সিদ্ধান্তক্রমে রাষ্ট্রপতি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে পারবেন। বিএনপি বলেছে, জরুরি অবস্থা জারির সঙ্গে সরকারের নির্বাহী কর্তৃত্বের বিষয়টি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত বিধায় এ–সংক্রান্ত ক্ষমতা সরকার ও সংসদের বাইরে অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের কাছে থাকা সংগত নয়।
সংস্কার কমিশনের সুপারিশে আরও বলা হয়, জরুরি অবস্থার সময় নাগরিকদের কোনো অধিকার রদ বা স্থগিত করা যাবে না এবং আদালতে যাওয়ার অধিকার বন্ধ বা স্থগিত করা যাবে না। তাই সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৪১(খ) ও অনুচ্ছেদ ১৪১(গ) বাতিল হবে। এ প্রস্তাবের সঙ্গেও একমত নয় বিএনপি। দলটির মত, নাগরিকদের কোনো অধিকার রদ বা স্থগিত না করে জরুরি অবস্থা জারির কী উদ্দেশ্য থাকতে পারে, প্রস্তাবিত সুপারিশে তা বোধগম্য নয়।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ
সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ তিন মাসের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ চার মাস করার প্রস্তাব করেছে। এ সময়ে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুপারিশ করা হয়েছে।
এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে বিএনপি বলেছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাংলাদেশের বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে একটি ব্যতিক্রমধর্মী ব্যবস্থা। জনগণের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনা সাংবিধানিক বিধান। তাই এ ক্ষেত্রে অতীতের মতো ৯০ দিন মেয়াদেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার হওয়া বাঞ্ছনীয়। এ সরকারের প্রধান দায়িত্ব একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। এ সময়ে শুধু জাতীয় সংসদ নির্বাচন করা আবশ্যক, অন্য কোনো নির্বাচন নয়। সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের কোনো সুযোগ নেই।
যুগান্তর
‘র’ নিষিদ্ধের সুপারিশ মার্কিন কমিশনের-এটি দৈনিক যুগান্তরের প্রথম পাতার প্রতিবেদন। খবরে বলা হয়, ভারতের গুপ্তচর সংস্থা ‘রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (র)’কে নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করেছে আমেরিকার ফেডারেল সরকারের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতাসংক্রান্ত কমিশন (ইউএসসিআইআরএফ)। মঙ্গলবার প্রকাশিত বার্ষিক রিপোর্টে ইউএসসিআইআরএফ ভারতে সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার দল বিজেপিরও সমালোচনা করেছে। তবে মার্কিন কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশের পরপরই কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে নয়াদিল্লি। বলেছে, ওই রিপোর্টটি একপেশে এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
‘রয়টার্স’ জানিয়েছে, শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হত্যার চেষ্টায় ‘র’র যোগসূত্র রয়েছে। সে কারণেই ইউএসসিআইআরএফ এ সুপারিশ করেছে। ইউএসসিআইআরএফের মূল কাজ হলো বিভিন্ন দেশের ধর্মীয় স্বাধীনতাসংক্রান্ত বিষয়ের ওপর নজর রাখা। সেই সঙ্গে আমেরিকার সরকারকে নীতিনির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সুপারিশ করা। খালিস্তানপন্থি নেতা মার্কিন নাগরিক গুরপতবন্ত সিংহ পন্নুনকে ২০২৩ সালে হত্যা করা হয়।
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই দাবি করে, ভারতে ‘নিষিদ্ধ’ ঘোষিত সংগঠন ‘শিখ ফর জাস্টিস’র (এসএফজে) নেতা পন্নুনকে হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন ‘র’র সাবেক কর্তা বিকাশ যাদব। যদিও নয়াদিল্লি তখনই জানিয়ে দিয়েছিল, ওই ঘটনার সঙ্গে ভারত সরকারের কোনো যোগাযোগ নেই। রয়টার্স জানিয়েছে বিকাশ এবং ‘র’-উভয়ের উপরেই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার জন্য সুপারিশ করেছে মার্কিন কমিশন।
কালের কণ্ঠ
দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম ‘স্থবির অর্থনীতিতে গতি আনছে ঈদ’। প্রতিবেদনে বলা হয়, ঈদ উৎসব ঘিরে বাড়ছে কেনাকাটা। রোজার দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেটে ক্রেতা উপস্থিতি বেড়েছে। তবে গত বছরের তুলনায় বিক্রি বাড়ার আশা করছেন না ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, এবারের ঈদে ক্রেতা সমাগম বাড়লেও বিক্রি এখনো ৩০ শতাংশ কম।
ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদরা বলছেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষ খরচ কমাতে বাধ্য হচ্ছে। রাজনৈতিক অস্থিরতায় ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা চলছে। শ্রমিক অসন্তোষসহ নানা কারণে শতাধিক শিল্প-কারখানা বন্ধ হয়ে লাখো কর্মী কাজ হারিয়েছেন। এতে কমেছে তাঁদের ক্রয়ক্ষমতা।
অনেক প্রতিষ্ঠান এখনো ঠিকমতো বেতন-বোনাস পরিশোধ করতে পারেনি। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে ঈদের কেনাকাটায়। স্থবির অর্থনীতিতে ঈদ কেনাকাটা গতি এনে দেবে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। গতকাল বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন শপিং মল ঘুরে দেখা যায়, ঈদের ঠিক আগ মুহূর্তে এই ছুটির দিনটিকে বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগাচ্ছে মানুষ।
ব্যস্ততায় আগে যারা করতে পারেনি কেনাকাটা, শেষ সময়ে তারা সেরে নিচ্ছে সেটি। ফলে কাপড়, জুতা, কসমেটিকস কিংবা গয়নার দোকান—সবখানেই দেখা গেছে ক্রেতার চাপ।
সমকাল
‘নির্বাচনের প্রস্তুতিতে এনসিপি নেতারা’-এটি দৈনিক সমকাল পত্রিকার প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনার পতন ঘটানো ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের নেতাদের রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। গণপরিষদ গঠনের কথা বললেও দলের ৩৫ নেতা আসন গোছাচ্ছেন। এনসিপির প্রতি সহানুভূতি বাড়বে– এমন আশায় ভোটের মাঠে বাধা-হামলা ইতিবাচক হিসেবেই নিচ্ছেন তারা। গাড়িবহর নিয়ে শোডাউনের মতো পুরোনো ধাঁচের রাজনীতির সমালোচনা হলেও তারা তা গায়ে মাখছেন না।
এনসিপি সূত্র জানিয়েছে, দলটির কয়েক নেতা রাজনৈতিক পরিবারের হওয়ায় নির্বাচনী এলাকায় আগে থেকেই তাদের ভালো অবস্থান রয়েছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সামনের সারির নেতারা দেশজুড়ে পরিচিতি পাওয়ায় এলাকায় প্রভাব তৈরি হয়েছে। আবার অনেকে আগে থেকেই নির্বাচনী এলাকায় সামাজিক-সাংস্কৃতিক কাজে যুক্ত থাকায় কিছুটা পরিচিতি রয়েছে। এই তিন শ্রেণি ছাড়াও এনসিপির জেলা ও উপজেলা নেতৃত্বে আসতে চান– এমন অনেকেও নির্বাচনে আগ্রহী।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২১৭ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে এনসিপি। কমিটির সবাই নির্বাচনে লড়বেন না। এনসিপির ভাবনায় রয়েছে– নির্বাচন ঘনিয়ে এলে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও বিভিন্ন দলের প্রভাবশালী জনপ্রিয় নেতাদের দলে ভিড়িয়ে প্রার্থী করা।
ইত্তেফাক
দৈনিক ইত্তেফাকের প্রথম পাতার প্রতিবেদন ‘প্রধান বিচারপতির হাতে থাকবে সার্বিক নিয়ন্ত্রণ’। খবরে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের অধীনেই বিচার বিভাগের পৃথক সচিবালয় হচ্ছে। যা সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় নামে অভিহিত হবে। এই সচিবালয়ের সার্বিক নিয়ন্ত্রণ থাকবে প্রধান বিচারপতির হাতে। তবে সরকারের কোন মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা দপ্তরের আওতাধীন বা নিয়ন্ত্রণাধীন থাকবে না সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়। সচিবালয়ের জন্য বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় অনুমোদনে প্রধান বিচারপতিকে চূড়ান্ত কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে এ সংক্রান্ত খসড়া প্রণয়ন করেছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। প্রণীত এই খসড়ার ওপর ইতিমধ্যে মতামত দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ঐ মতামত পাওয়ার পর সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ, ২০২৫ নামে খসড়াটি চূড়ান্ত করেছে আইন মন্ত্রণালয়।
সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ কর্তৃক নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার পরই রাষ্ট্রপতি কর্তৃক অধ্যাদেশ জারি হবে। তবে বিদ্যমান সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের কারণে অধ্যাদেশ জারির প্রক্রিয়া নিয়ে এক ধরনের অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে বলে আইন মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে। সূত্র বলছে, মন্ত্রণালয় মনে করছে বিদ্যমান সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ বহাল থাকাবস্থায় বিচার বিভাগের পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার আইন করা হলে তা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হতে পারে। এমন পরিস্থিতি এড়াতেই সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদের সংশোধন বা সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক বাতিল হলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে মন্ত্রণালয়।
তবে আইনজ্ঞরা বলছেন, ১১৬ অনুচ্ছেদ বহাল থাকলেও বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠায় অধ্যাদেশ জারি করতে আইনগত বাধা নাই। এ প্রসঙ্গে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সদস্য সাবেক জেলা ও দায়রা জজ মো. মাসদার হোসেন ইত্তেফাককে বলেন, ১১৬ অনুচ্ছেদ বিচার পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কোনোক্রমেই বাধা নয়। কারণ সংবিধানের ১০৯ অনুচ্ছেদের আলোকেই এই সচিবালয় প্রতিষ্ঠার গেজেট জারি হবে। ১১৬ অনুচ্ছেদের সঙ্গে এর কোন সম্পর্ক নাই।
নয়া দিগন্ত
দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রথম পাতার খবর ‘ভারতে ১৪ বিলিয়ন ডলারের ওয়াকফ সম্পদ যেভাবে লুট হচ্ছে’। খবরে বলা হয়, খোদ ভারত সরকার পর্যন্ত মুসলিমদের ওয়াকফ সম্পদ আইনের মারপ্যাঁচে লুণ্ঠন করছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা অনুসন্ধানী এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উজ্জয়নি শহরে একটি হিন্দু মন্দির সম্প্রসারণের জন্য বিজেপি সরকারের ‘ওয়াকফ’ জমি অধিগ্রহণ ভারতজুড়ে ১৪ বিলিয়ন ডলারের ওয়াকফ সম্পদ লুণ্ঠনের একটি বৃহত্তর প্রক্রিয়ার প্রতিফলন।
মধ্য প্রদেশের উজ্জয়নি শহরে বাড়ি, দোকান এবং শতাব্দীর প্রাচীন তাকিয়া মসজিদসহ প্রায় ২৫০টি সম্পত্তি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলে, ২.১ হেক্টর (৫.২৭ একর) বিস্তৃত জমি খালি করা হয়। জমিটি মধ্য প্রদেশ ওয়াকফ বোর্ডের ছিল। ‘ওয়াকফ’ বলতে স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি বোঝায়- মসজিদ, স্কুল, কবরস্থান, এতিমখানা, হাসপাতাল এমনকি খালি জমি- যা মুসলমানরা ধর্মীয় বা দাতব্য উদ্দেশ্যে দান করে, যার ফলে এই ধরনের সম্পত্তি হস্তান্তর অপরিবর্তনীয় এবং বিক্রয় ও অন্যান্য ব্যবহার নিষিদ্ধ। কিন্তু উজ্জয়নির ওয়াকফ জমি তথাকথিত মহাকাল করিডোরের জন্য অনুমোদন করা হয়, যা শহরের বিখ্যাত মহাকালেশ্বর মন্দিরকে ঘিরে এক বিলিয়ন ডলারের একটি সরকারি প্রকল্প।
ভারতীয় সংসদে সম্ভবত এই সপ্তাহে কয়েক দশক ধরে প্রচলিত ওয়াকফ আইনের সংশোধনী নিয়ে আলোচনা হতে যাচ্ছে। এই আইন ওয়াকফ বোর্ডগুলোকে পরিচালনা করছে এবং যা বছরের পর বছর ধরে তাদের হাতে আরো বেশি ক্ষমতা অর্পণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) প্রস্তাবিত এই সংশোধনী বিলটি ওয়াকফ সম্পত্তির ওপর সরকারকে একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ এনে দিতে পারে।
বণিক বার্তা
‘গ্যাস অনুসন্ধান এলাকা বাড়াতে চায় শেভরন’-এটি দৈনিক বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সিলেটের জালালাবাদ গ্যাস ক্ষেত্রের অধীন এলাকাগুলো তিনটি গ্যাস অনুসন্ধান ব্লকে (ব্লক নম্বর ১২, ১৩ ও ১৪) বিভক্ত। ব্লক তিনটিতে অনুসন্ধান ও উত্তোলন কার্যক্রম চালাচ্ছে মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানি শেভরন। এর মধ্যে ১২ নম্বরের কিছু অংশের অনুসন্ধান কার্যক্রম ছেড়ে দিয়েছিল মার্কিন কোম্পানিটি। বর্তমানে আবারো এ ছেড়ে দেয়া অংশ এবং ১১ নম্বর ব্লকের আওতাভুক্ত এলাকায় (সুনামগঞ্জ, শেরপুর ও ময়মনসিংহ) কার্যক্রম সম্প্রসারণে আগ্রহী হয়ে উঠেছে শেভরন।
এসব এলাকায় এককভাবে কাজ পেতে পেট্রোবাংলা ও জ্বালানি বিভাগে প্রস্তাবও দিয়েছে কোম্পানিটি। একই সঙ্গে সেখানে গ্যাস পেলে অফশোর পিএসসির (মূল ভূখণ্ডের বাইরে সাগরে পাওয়া গ্যাসের উৎপাদন বণ্টন চুক্তি) শর্তে চুক্তি করতে চায় শেভরন। কিন্তু অনশোরে (স্থলভাগে) অফশোর পিএসসির শর্তের চুক্তির বিষয়টি আইনসংগত না হওয়ায় এবং বিগত সরকারের করা জ্বালানি খাতের বিশেষ বিধান বাতিল হয়ে যাওয়ায় এরই মধ্যে শেভরনের ওই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে জ্বালানি বিভাগ।
পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা গেছে, ১১ ও ১২ নম্বর ব্লকের বর্ধিত এলাকায় গ্যাস সম্প্রসারণ নিয়ে মাস দুয়েক আগে পেট্রোবাংলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে শেভরনের একটি বৈঠক হয়। এছাড়া এসব এলাকায় গ্যাস অনুসন্ধানে আগ্রহের কথা জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের শীর্ষ পর্যায়েও চিঠি দিয়েছে মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানিটি।
আজকের পত্রিকা
দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম ‘ঢাকায় চাঁদাবাজি চরমে’। প্রতিবেদনে বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে কর্তৃপক্ষের নানা অঙ্গীকার এবং তৎপরতার পরও রাজধানীতে অপরাধের মাত্রা কমাতে দৃশ্যমান প্রভাব নেই; বিশেষ করে চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য চরমে উঠেছে। চাঁদাবাজেরা এমনই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে আতঙ্ক ছড়াতে গুলি করে তার ভিডিও ধারণ করার ঘটনা পর্যন্ত ঘটেছে। পুলিশের কর্মর্কতারা বলছেন, পরিবর্তিত রাজনৈতিক আবহে শীর্ষ সন্ত্রাসীরা এলাকায় এলাকায় প্রভাব বিস্তারে মরিয়া হয়ে ওঠায় চাঁদাবাজির মতো অপরাধ বেড়েছে। সমস্যার সমাধানে ‘রাজনৈতিক সহায়তা’ দরকার বলে মত দিয়েছেন তাঁরা।
চাঁদাবাজদের গুলি করে ভিডিও ধারণের ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরের টাউন হল এলাকায়। চাঁদা চেয়ে না পেয়ে মনির আহমেদ নামের এক আবাসন ব্যবসায়ীর অফিসে ঢুকে গুলি করে সন্ত্রাসীরা। একজন গুলি করার সময় তার ভিডিও করছিল সঙ্গের একজন। তৃতীয় আরেকজন মোটরসাইকেলে বসে অপেক্ষা করছিল। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ বলেছে, জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
অপহরণের হুমকি দিয়ে আগেই চাঁদা চাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটছে। স্কুলশিক্ষকের মতো মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষও এর শিকার হয়েছেন। ১৭ মার্চ রাজধানীর গুলশানের একটি স্কুলের শিক্ষিকাকে ফোন করে চাঁদা চাওয়া হয়। অন্যথায় তাঁর সন্তানকে অপহরণের হুমকি দেন ফোন করা ব্যক্তি। ভুক্তভোগী নারী জানান, ফোনে তাঁকে বলা হয় থানা, পুলিশ, র্যাব করে কোনো কাজ হবে না। তাঁর ছেলে বা মেয়েকে তুলে নেওয়া হবে। তা এড়াতে চাইলে এখনই বলতে হবে কত দেওয়া হবে। টাকা না দিলে ছেলের লাশ পাওয়া যাবে। ছেলেপেলে বাসায় গিয়ে পাঁচটি করে গুলি করবে।
দেশ রূপান্তর
‘বৈষম্য কমেনি সচিবালয়ে’-এটি দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি চাকরিজীবীরা আইনে, বিধিবিধানে সবাই কর্মচারী। কর্মকর্তারা এর মধ্যেও নিজেদের আলাদা ভাবতে ভালোবাসেন, নিজেদের একটু আলাদা রাখেন। সুযোগ-সুবিধার পাল্লাও তাদের দিকেই হেলে থাকে। কর্মচারীরা উপেক্ষিত থাকেন। আবার অন্যান্য দপ্তরের কর্মচারীদের সুবিধার তুলনায় সচিবালয়ের কর্মচারীরা পিছিয়ে আছেন। ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর বৈষম্য কমার আশা করেছিলেন সংশ্লিষ্টরা। তা তো কমেইনি বরং কিছু ক্ষেত্রে বেড়েছে।
গত ১২ মার্চ বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ সরকারকে বলেছে, তাদের সঙ্গে চরম বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে। বৈষম্য দূর করার জন্য তারা রেশন সুবিধা চেয়েছে। খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদারের কাছে লেখা আবেদনে বলা হয়েছে, ‘সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দক্ষতার সঙ্গে সুচারুভাবে কাজ করেন। এসব করতে ছুটির দিনে বা নির্দিষ্ট সময়ের পরও অফিস করতে হয় তাদের। এজন্য তাদের অতিরিক্ত আর্থিক সুবিধা বা রেশন বা সচিবালয় ভাতা দেওয়া হয় না। কিন্তু অন্যান্য দপ্তর, অধিদপ্তর বা সংস্থার প্রায় আট লাখ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা-কর্মচারী রেশনের পাশাপাশি ঝুঁকি ভাতাও পান।’
বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবীর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘১৭টি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রেশন পান। কিন্তু সচিবালয়ের কর্মচারীরা পান না। এর বাইরেও অনেক বৈষম্য রয়েছে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে ভুগছি।’
ডেইলি স্টার
দৈনিক ডেইলি স্টারের প্রথম পাতার খবর Yunus ‘extremely vague’ about polls timeline অর্থাৎ ‘ভোটের সময়সূচি নিয়ে ‘চরম অস্পষ্ট’ ইউনূস।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে নির্বাচনের কোনো রোডম্যাপ উপস্থাপন না করায় আমি হতাশ।
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা আশা করি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রয়োজনীয় সংস্কার বাস্তবায়ন করবে এবং দেরি না করে একটি রোডম্যাপ দেবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান একজন বীর উত্তম ও বীর মুক্তিযোদ্ধা’ যার বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা ইতিহাসে লিপিবদ্ধ আছে, তার কথা উল্লেখ না করায় তিনি হতাশ হয়েছেন।