দেশ বিদেশ
বরিশালে এনসিপি’র দু’পক্ষের হাতাহাতি
স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল থেকে
২২ মার্চ ২০২৫, শনিবার
জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের সামনেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছে দু’পক্ষ। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর বরিশাল ক্লাবে এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার বিকালে বরিশাল ক্লাবে মতবিনিময় সভায় যোগ দিতে আসেন নাহিদ ইসলাম। এ সময় তার সঙ্গে এনসিপি’র কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।
প্রতক্ষ্যদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মতবিনিময় সভার বক্তব্য শেষে কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে পদবঞ্চিতরা বিক্ষোভ করলে অপর গ্রুপের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু হয়। এ সময় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ মাইকে বারবার তাদের নিবৃত হওয়ার জন্য ঘোষণা দিতে থাকলেও হাতাহাতি চলতে থাকে। পরে নাহিদ ইসলাম বের হয়ে যাওয়ার সময়ও গাড়ির সামনে একই চিত্র দেখা যায়। সেখানে তার পথরোধ করে এক গ্রুপ বিক্ষোভ শুরু করে। মুহূর্তেই জড়ো হয় অন্য গ্রুপের নেতাকর্মীরা। এ সময় সেখানে উত্তেজনা দেখা দেয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মহানগর নেতা জোবায়ের কাইয়ূম বলেন, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অনেকদিন আগ থেকেই দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। বৈষম্যবিরোধীদের যে গ্রুপ (মেসেঞ্জার/ হোয়াটসঅ্যাপ) আছে সেখানে আমরা প্রতিবাদ জানালে তারা আমাদের বের করে দেন। আমাদের বিভিন্নভাবে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করেছে। আজকের (বৃহস্পতিবারের) ঘটনা হচ্ছে নাহিদ ভাই আসার পরে আমরা তার সঙ্গে পাঁচ মিনিট কথা বলতে চেয়েছিলাম। তিনি বলেন, আমাদের যুগ্ম আহ্বায়করা নাহিদ ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলে বরিশালের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানানোর জন্য চেষ্টা করেছিলাম। তিনি আমাদের সঙ্গে কথা বলতে রাজিও হয়েছিলেন। কিন্তু শাহেদ ভাই ও ওয়াহিদুর রহমান ভাই কথা বলতে দিচ্ছিলেন না। শাহেদ ভাইয়ের অনুসারী ইয়াসিন ভাই এসে জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক সুমি হক আপুর সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ান। তখন আমরা প্রতিবাদ জানাই। পরে আর নাহিদ ভাইয়ের সঙ্গে আমরা কথা বলতে পারিনি।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বরিশাল মহানগর কমিটির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম শাহেদ বলেন, অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা করতে কিছু অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছিল। তারা পরিকল্পিতভাবে নাহিদ ইসলামকে অপমান করেছে। এর প্রতিবাদে আমরা নগরীতে বিক্ষোভ করেছি। বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের টহল টিম বরিশাল ক্লাব সংলগ্ন এলাকায় ছিল। হট্টগোল শুনে সেখানে গিয়ে দেখে ক্লাবের মূল ফটক আটকে রেখেছে কিছু নেতাকর্মী। পরে পুলিশ গেট খুলে দিলে নাহিদ ইসলামকে বহনকারী গাড়িসহ মোট ৩টি গাড়ি নিরাপদে বেরিয়ে যায়।