ঢাকা, ২১ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২১ শাওয়াল ১৪৪৬ হিঃ

অর্থ-বাণিজ্য

৫ বছরের জন্য উৎসে কর কমানোর দাবি বিজিএপিএমইএর

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

(১ মাস আগে) ১৫ মার্চ ২০২৫, শনিবার, ৯:১০ অপরাহ্ন

পাঁচ বছরের জন্য পণ্য রপ্তানিতে উৎসে কর ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ০.৫ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছে তৈরি পোশাকশিল্পের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও মোড়কপণ্য সরবরাহকারী কারখানামালিকদের সংগঠন বিজিএপিএমইএ। এ ছাড়া স্থানীয় বাজার থেকে কেনা কাঁচামালের ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার, স্থায়ী বা অস্থায়ী আন্তঃ বন্ড স্থানান্তরের ব্যবস্থা, একসঙ্গে দুই বছরের জন্য আমদানিপ্রাপ্যতা প্রদানসহ কয়েকটি দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে বাস্তবায়নের জন্য এই দাবিগুলো জানায় বিজিএপিএমইএ। গত বৃহস্পতিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় দাবিগুলো তুলে ধরেন বিজিএপিএমইএর সভাপতি মো. শাহরিয়ার।

বিজিএপিএমইএ বলছে, তৈরি পোশাক খাতের বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম এবং পোশাকসহ অন্য খাতের মোড়কপণ্য উৎপাদনে দেশ এখন স্বাবলম্বী। বর্তমানে কার্টন, পলিব্যাগ, হ্যাঙ্গার, বোতাম, লেবেল, জিপার, হ্যাংট্যাগ ও গাম টেপসহ পোশাক খাতের ৩০ থেকে ৩৫ ধরনের সরঞ্জাম এবং অন্যান্য খাতের মোড়ক তৈরি করে এ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো। বিজিএপিএমইএর সদস্যসংখ্যা প্রায় দেড় হাজার।

মো. শাহরিয়ার কাঁচামালের আমদানি প্রাপ্যতা একসঙ্গে দুই বছর দেয়ার দাবি জানান। তিনি বলেন, দুই বছরের জন্য আমদানি প্রাপ্যতা দেওয়া হলে সেবাদাতা ও গ্রহীতা উভয়ের সময়, শ্রম ও অর্থ সাশ্রয় হবে। বন্ডের আওতায় বিনা শুল্কে আমদানির সুযোগ থাকায় রাজস্বের ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব পড়বে না। এ ছাড়া তিনি কন্টিনিউয়াস বন্ডের সুবিধা চান। তিনি বলেন, তৈরি পোশাক খাতের মতো এ উপখাতের প্রতিষ্ঠানগুলোয় কন্টিনিউয়াস বন্ডের সুযোগ না থাকায় উৎপাদন কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়। এতে রপ্তানি কমে যায়।

কোম্পানির সঞ্চয়ী ও স্থায়ী আমানতের মুনাফার ওপর উৎসে কর ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করার দাবি জানান বিজিএপিএমইএর সভাপতি। তিনি বলেন, টাকার অবমূল্যায়ন ও ডলার–সংকটসহ বিভিন্ন কারণে তফসিলি ব্যাংকগুলোতে তারল্যসংকট রয়েছে। তারল্যসংকট দূরীকরণে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সঞ্চয়ী বিনিয়োগ ভালো ভূমিকা রাখে। তাই আমানতের মুনাফার ওপর উৎসে কর কমালে দেশের রপ্তানি বাড়বে।

পাঁচ বছরের জন্য উৎসে কর দশমিক ৫ শতাংশ করার দাবি জানানোর পেছনে মো. শাহরিয়ারের যুক্তি হলো, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হলে কোনো পণ্যে আর্থিক প্রণোদনা দিতে পারবে না। এরই মধ্যে প্রণোদনা কমাতে শুরু করেছে সরকার। প্রণোদনা হ্রাস বা বন্ধ হলে কিছু পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে টিকে থাকতে পারবে না। সে জন্য উৎসে কর কমানো হলে রপ্তানি উৎসাহিত হবে।

পাঠকের মতামত

পোষাক রফতানি কারকদের প্রকৃত আয় কত? কত টাকা কর দেয় সরকারকে? সব তথ্য প্রকাশ্যে আসা উচিৎ। এরা হাসিনা সরকারের আমলে প্রচুর প্রনোদনা সহ অনেক সুযোগ সুবিধা ভোগ করে আসছে কিন্ত দেশ কতটুকু লাভবান হয়েছে জনগণ সব জানতে চায়।

মিলন আজাদ
১৮ মার্চ ২০২৫, মঙ্গলবার, ১:৩৫ অপরাহ্ন

জন্মের পর থেকে নিয়ে আজ প্রজন্ত আপনারা কতো বৎসর প্রণোদনা পেয়ে আসছেন ?????????? যুগের পর যুগ এই ভাবে এই কমিয়ে দেওয়া ঐ কমিয়ে দেওয়ার আবেদন চলছেই তো চলছে যুগের পর যুগ , এবার একটু সরকারকে সাহায্য করেন অন্যান্য দেশের গারমেন্ট বেবসাইদের মতন করে , যুগের পর যুগ সরকারকে দেখাচ্ছেন জু জুর ভয়ে , এঁর থেকে বেরিয়ে আসেন প্লিজ এখন নিজের পায়ে দাড়ান ।

হাফিজ মোহাম্মদ
১৬ মার্চ ২০২৫, রবিবার, ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন

অর্থ-বাণিজ্য থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অর্থ-বাণিজ্য সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status