বিশ্বজমিন
কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী কার্নি, ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধে জয়ের প্রত্যয়
মানবজমিন ডেস্ক
(৯ ঘন্টা আগে) ১০ মার্চ ২০২৫, সোমবার, ৯:২৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৪ অপরাহ্ন

কানাডার নুতন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন মার্ক কার্নি। এর মাধ্যমে দেশিটতে জাস্টিন ট্রুডোর অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি হলো। নির্বাচিত হয়েই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধে জয়ী হওয়ার অঙ্গীকার করেছেন কার্নি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়, কানাডার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সাবেক গর্ভনর ছিলেন নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী। তিনজন শক্ত প্রতিদ্বন্দীকে হারিয়ে ভূমিধস বিজয় পেয়েছেন মার্কি কার্নি।
৫৯ বছর বয়সী কার্নি তার বিজয় ভাষণে বেশির ভাগ সময় ট্রাম্পকে আক্রমণ করেছেন। কেননা ক্ষমতায় এসেই কানাডার ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছেন ট্রাম্প। এছাড়া কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছিলেন তিনি। এতে তার বিরুদ্ধে কানাডার বাসিন্দাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ রয়েছে। যা কাজে লাগিয়েছেন কার্নি। তিনি বলেন, হকির মতো বাণিজ্য খেলাতেও কানাডার জয় হবে।
আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন কার্নি। সামনের সাধারণ নির্বাচনে লিবারেলদের নেতৃত্ব দেবেন তিনি। আশা করা হচ্ছে পরের সপ্তাহতেই সাধারণ নির্বাচনে ভোট দেবে কানাডার সাধারণ জনগণ। কার্নি এখন পর্যন্ত মনোনীত প্রধানমন্ত্রী। এর আগে কখনও তিনি নির্বাচিত পদে দায়িত্ব পালন করেন নি।
প্রায় এক দশক ক্ষমতায় থাকার পর পদত্যাগের ঘোষণা দেন জাস্টিন ট্রুডো। পরে জানুয়ারিতে লিবারেল নেতৃত্ব বাছাইয়ের প্রতিযোগিতা শুরু হয়। ক্রমাগত আবাসন সংকট এবং জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় বৃদ্ধির ফলে ভোটারদের কাছে অজনপ্রিয় হয়ে ওঠেন ট্রুডো। এতে তার ওপর পদত্যাগের চাপ তীব্র হতে থাকে। যার ফলে অনেকটা বাধ্য হয়েই তিনি পদত্যাগ করেন।
রোববার সদস্যদের ভোটে লিবারেল পার্টির নতুন নেতা বাছাই হয়। সেখানে ৮৫ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট পেয়ে ভূমিধস জয় পান মার্ক কার্নি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। তিনি রিতীমতো ধরাসায়ী হয়েছেন। কার্নি মোট ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ৩১ হাজার ৬৭৪ ভোট। পক্ষান্তরে ফ্রিল্যান্ড পেয়েছেন মাত্র ১১ হাজার ১৩৪ ভোট।
ওই দিন দেশটির রাজধানী অটোয়াতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। সেখানে প্রায় ১৬০০ দলীয় সমর্থক উপস্থিত ছিলেন। ফলাফল ঘোষণার পর পরই উল্লাসে ফেটে পড়েন তারা। এই নির্বাচেন এক লাখ ৫০ হাজারের বেশি মানুষ ভোট দিয়েছেন। এখানে বলে রাখা ভালো কানাডার রাজনৈতিক ব্যবস্থায় হাউস অব কমন্সের সবচেয়ে বড় দল হিসেবে যিনি লিবারেল পার্টির প্রধান হবেন তিনিই দেশটির প্রধানমন্ত্রী হবেন। এ হিসেবে মার্ক কার্নি নির্বাচনের আগপর্যন্ত প্রধামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারেন।