বিশ্বজমিন
ভারতের ওপর ১০০ শতাংশের বেশি শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
মানবজমিন ডেস্ক
(১ মাস আগে) ৫ মার্চ ২০২৫, বুধবার, ১:২৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৯:২৫ পূর্বাহ্ন

আগামী এপ্রিল থেকে ভারতের ওপর ১০০ শতাংশের বেশি শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেয়ার সময় এ ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এ খবর দিয়েছে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। এতে বলা হয়, মঙ্গলবার পুনরায় ভারতকে উচ্চ শুল্কের জন্য লক্ষ্যবস্তু করেছেন ট্রাম্প। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন পারস্পরিক শুল্কের ক্ষেত্রে এবার নয়াদিল্লিকে কোনো প্রকার ছাড় দেয়া হবে না। আগামী ২ এপ্রিল থেকে এই শুল্ক নীতি কার্যকর করবেন ট্রাম্প। মোটরগাড়ি শিল্পের কথা উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেছেন, ভারত ১০০ শতাংশের বেশি শুল্ক আরোপ করে।
ডনাল্ড ট্রাম্প তার ভাষণে বলেন, অন্যান্য দেশ শুল্ক আরোপ করলে ২ এপ্রিল থেকেই তার প্রতিশোধ নেবে যুক্তরাষ্ট্র। তিনি বলেছেন, আমি এটাকে ১লা এপ্রিল করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমি এপ্রিল ফুল দিবসের জন্য অভিযুক্ত হতে চাই না। তাই ২ এপ্রিল থেকে এটি কার্যকর করতে যাচ্ছি। জানুয়ারিতে অনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতাগ্রহণের পর কংগ্রেসে প্রথম ভাষণ দিলেন ট্রাম্প। যৌথ অধিবেশনের ভাষণে ট্রাম্প বলেছেন, ভারত আমাদের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। যা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ন্যায্য নয়। ২ এপ্রিল থেকে পাল্টা শুল্ক আরোপ করা হবে। তারা আমাদের ওপর যে পরিমাণ শুল্ক দেবে আমরাও তাদের ওপর একই পরিমানণ শুল্ক দেব। তারা যদি আমাদের তাদের বাজার থেকে দূরে রাখতে শুল্ক ব্যবহার করে তাহলে আমরাও তাদের আমাদের বাজার থেকে দূরে রাখতে শুল্ক দেব।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মার্কিন সফরের কয়েক সপ্তাহ না যেতেই ভারতের ওপর কর বসানোর এমন কড়া বার্তা দিলেন ট্রাম্প। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্র সফরের পর দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরালো হবে বলে আশা করা হয়েছিল। নয়াদিল্লির ব্যাপক আশা ছিল মার্কিন বাজারে তাদের পণ্য প্রবেশে শুল্ক ছাড়ে বিশেষ সুবিধা পাবে তারা। সে লক্ষ্যে আলোচনা শুরুর আগেই বোরবন হুইস্কির মতো বেশ কয়েকটি মার্কিন পণ্যে শুল্ক কমিয়েছিল দিল্লি। তবে এই নীতি ভারতকে ট্রাম্পের শুল্ক নীতির হাত থেকে রক্ষা করতে পারেনি।
এমন পরিস্থিতিতে পারস্পরিক শুল্ক কমানোর চেষ্ট করবে দিল্লি। ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল সোমবার যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েছেন। সেখানে তিনি মার্কিন বাণিজ প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। আরেকটি বিষয় হচ্ছে চীনের ওপর ট্রাম্পের শুল্ক নীতি ভারতে কিছুটা বারতি সুবিধা দেয়। তার প্রথম মেয়াদে চীনকে লক্ষ্যবস্তু করায় ইলেকট্রনিক খাতে রপ্তানির সুযোগ পেয়েছিল ভারত।
কংগ্রেসকে সম্মোধন করে ট্রম্প বলেন, অন্য বহু দেশ বছরের পর বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর শুল্ক আরোপ করে যাচ্ছে। এখন সময় এসেছে সেই দেশগুলোর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নীতি প্রয়োগ করা। যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, চীন, ব্রাজিল এবং ভারতের মতো দেশগুলো তুলনামূলক বেশি শুল্ক আরোপকে অন্যায্য বলে অভিহিত করেছেন ট্রাম্প।
পাঠকের মতামত
Very good $ love you America and go to hell India - - - - - -
কেনো ভারতের জনগণ মনে করেছিল ট্রাম্প ক্ষমতায় আসলে মোদির গালে চুমু দিবে ! এইত চুমু ? ভারতীয় বংশোদ্ভূত নাগরিকরাও ক্ষমতায় কিন্তু স্বার্থের বেলায় সবাই সমান।
very good decision Mr. Precedent
Well done job president . Tit for tat .
বন্ধুত্বের চমৎকার নিদর্শন! রিপাবলিক বাংলা বলছে, ট্রাম্প বাংলাদেশের দায়িত্ব মোদির উপর ছেড়ে দিয়েছেন। মানে বাংলাদেশ হলো ট্রাম্পের সম্পত্তি। আর সে সম্পত্তি ভোগ করার দায়িত্ব তিনি বন্ধু মোদিকে দিয়েছেন। এমন পাগলও পৃথিবীতে আছে।