ঢাকা, ৯ মে ২০২৫, শুক্রবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৬ হিঃ

অর্থ-বাণিজ্য

আলাদা মন্ত্রণালয় চান পোশাক ও বস্ত্রখাতের মালিকরা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

(১ মাস আগে) ৯ মার্চ ২০২৫, রবিবার, ৬:৪৫ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৫ পূর্বাহ্ন

mzamin

টেকসই পোশাক ও বস্ত্র খাতের জন্য একটি আলাদা মন্ত্রণালয় চান শিল্প মালিকরা। তারা বলছেন, একক খাত হিসেবে রপ্তানি আয়ের বড় উৎস পোশাক খাত। তবে, বৈশ্বিক ও স্থানীয় নানামুখী নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এসব মোকাবিলা করতে, দীর্ঘমেয়াদি নীতি দরকার, এজন্য আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন করা জরুরি।

শনিবার রাজধানীর কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে পোশাক শিল্প মালিকরা এসব কথা বলেন। বিজিএমইএ নির্বাচনী জোট-ফোরাম সাধারণ ব্যবসায়ীদের নিয়ে আলোচনা ও ইফতারের এ আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ীরা বলেন, আগামী দিনে যারা বিজিএমইএর নেতৃত্বে দেবেন, তারা যাতে কেবল কার্ড বহনকারী পরিচালক হিসেবে পরিচিতি না পান। তাদের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি থাকতে হবে। সরকারের সঙ্গে আঁতাত নয়; দেশের স্বার্থে, পোশাক খাতের জন্য নির্দেশনা দিতে হবে। অন্যথায় শিল্প টিকবে না।

এ সময় ফোরাম প্যানেল লিডার মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত নীতি সহায়তা দরকার পোশাক খাতের জন্য। এই খাত নিয়ে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলে সব সময়। শ্রমিক অসন্তোষের নামে নৈরাজ্য তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন সময়। এর পেছনে রাজনীতি জড়িত কিনা খতিয়ে দেখতে হবে। কারণ শ্রমিকরা তাদের রুটিরুজি নষ্ট করতে পারে না। একইসঙ্গে কাস্টমসের নিরীক্ষা হয়রানি থেকে উদ্যোক্তাদের রেহাই দিতে হবে। আর টেকসই নীতির জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় দরকার।

বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান সিনহা বলেন, সরকার ব্যবসা বোঝে না, সরকারকে বোঝানোর দায়িত্ব আমাদের। যেকোন সমস্যা সমাধানের জন্য সংগঠন হিসেবে বিজিএমইএকে ভূমিকা নিতে হবে। আন্তর্জাতিক ব্যবসার জন্য যেসব সমস্যা তৈরি হচ্ছে, সেগুলো ঠিকভাবে তুলে ধরা হচ্ছে না। মালিকরা খুব হতাশভাবেই কাজ করছে। সমস্যাটা সবার।

ফোরাম মহাসচিব রশিদ আহমেদ হোসাইনী বলেন, সংবাদ মাধ্যমে খবর বেরিয়েছে, এরই মধ্যে প্রায় ৭০০ ভুয়া ভোটার শনাক্ত হয়েছে। তাদের ভোটাধিকার বাতিল করা হয়েছে। এটি খুব লজ্জার। আমরা চাইবো, আগামী নির্বাচন, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য হবে। মনে রাখতে হবে, এই খাত ছাড়া বাংলাদেশের অর্থনীতি টিকিয়ে রাখা যাবে না। আর বিজিএমইএ কোনো দলীয় কার্যালয়ে পরিণত করা যাবে না।

আরেক সাবেক সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী (পারভেজ) বলেন, সংকট পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে বিজিএমইএতে দক্ষ নেতৃত্ব দরকার।

বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি. ড. রুবানা হক বলেন, বহু বছরের জঞ্জাল থেকে মালিকরা রেহাই চান। নানা কারণে বিজিএমইএ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে বিগত দিনে। এবার একটি স্বচ্ছ ভোট হতে হবে ভাবমূর্তি ফেরাতে। এছাড়া নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কারণে কোনো কারখানা রুগ্ণ হতে পারে। কিন্তু কোনো মালিক বিপদে পড়লে তার এক্সিট নাই। একটি বিশদ এক্সিট পলিসি (ব্যবসা গুটিয়ে বের হয়ে আসার পদ্ধতি) করতে হবে পোশাক খাতের জন্য। বিদেশি ক্রেতাদের সঙ্গে ন্যায্য দর নিয়ে দর কষাকষি বাড়াতে হবে মালিকদের।
 

পাঠকের মতামত

আলাদা মন্ত্রণালয়ের কোন দরকার নাই।

মিলন আজাদ
৯ মার্চ ২০২৫, রবিবার, ৯:৫৮ অপরাহ্ন

Still two ministries are working together in the name of Ministry of Textiles and Jute.probably in the 11th floor of Building No.6 Bangladesh Secretariat Dhaka.

Anwarul Azam
৯ মার্চ ২০২৫, রবিবার, ৯:৪৬ অপরাহ্ন

অর্থ-বাণিজ্য থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অর্থ-বাণিজ্য সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status