ঢাকা, ৪ মার্চ ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩ রমজান ১৪৪৬ হিঃ

শেষের পাতা

রহমতের প্রথম দশক

আতিকুর রহমান নগরী
৩ মার্চ ২০২৫, সোমবার

আজ দ্বিতীয় রমজান। রহমত-মাগফিরাত আর নাজাতের বারতা নিয়ে বছর ঘুরে আমাদের কাছে আবারো আসলো মাহে রমজানুল মোবারক। রমজান মাসকে আল্লাহর পক্ষ থেকে স্পেশাল নেয়ামত হিসেবে গ্রহণ করে পুরোটা সময় কাটিয়ে দেই রাব্বে কারিমের ইবাদতে।

রমজান এসেছে ‘জ্বালিয়ে দিতে, ভূষ্মীভূত করতে, পুড়িয়ে ছাই বানিয়ে দিতে’। আমাদেরকে নয়, ‘রমজান’ আমাদের পাপগুলোকে নিঃশেষ করে দিতেই এসেছে। 

এ পবিত্র মাসে ঘটেছে অসংখ্য ঘটনা। মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে আল্লাহতায়ালা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহাগ্রন্থ আল-কোরআনুল কারিম এ মাসেই নাজিল করেছেন। এ মাসেই আল্লাহতায়ালা ইসলামের সুমহান বিজয় দান করেছেন। মুসলিম উম্মাহর জন্য অনেক মূল্যবান ও মর্যাদার উপদেশ এবং শিক্ষাগ্রহণের মাস রমজান।

ইসলামের ইতিহাসে দ্বিতীয় রমজানে ঘটে যাওয়া উল্লেখ্যযোগ্য কিছু ঘটনা মুসলিম উম্মাহর ঐতিহ্য জানা এবং শিক্ষাগ্রহণের জন্য তুলে ধরা হলো-

মক্কা বিজয়ের উদ্দেশ্যে রওয়ানা: ৮ হিজরির ২রা রমজান মোতাবেক ৬২৯ খ্রিস্টাব্দে প্রিয়নবি সালালাহু আলাইহি ওয়া সালাম মক্কা বিজয়ের উদ্দেশ্যে মদিনা থেকে পবিত্র ভূমি মক্কার দিকে রওয়ানা করেন।

কায়রোয়ান শহরের ভিত্তি স্থাপন: ৫০ হিজরির (৬৭০ খ্রিস্টাব্দ) ২য় রমজান বিখ্যাত সাহাবি হজরত উকবা ইবনে আমের (রা.)’র নেতৃত্বে বর্তমান তিউনেশিয়ার ১৮৪ কিলোমিটার দক্ষিণে ঐতিহাসিক ‘কায়রোয়ান’ শহরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।

আব্বাসীয়দের খেলাফত লাভ: ১৩২ হিজরি রীর ২য় রমজানে (১৩ই এপ্রিল ৭৫০ খ্রিস্টাব্দে) আবুল আব্বাস আব্দুল্লাহর খিলাফতে আরোহণের মাধ্যমে আব্বাসীয় খেলাফতের গোড়াপত্তন হয় এবং উমাইয়া শাসনের অবসান ঘটে।

আসকালান শহর ধ্বংস: ১১৯১ খ্রিস্টাব্দের ২য় রমজান সুলতান সালাহ উদ্দিন আইয়ুবী বাইতুল মুকাদ্দাসের নিরাপত্তায় ক্রুসেডারদের আক্রমণ প্রতিহত করতে আসকালান শহর ধ্বংস করে দেন। তার উদ্দেশ্য ছিল, ইসলামের ইতিহাসে ঐতিহাসিক পুণ্যভূমি বাইতুল মুকাদ্দাস যাতে খ্রিস্টানরা বসতি স্থাপন এবং দখল করতে না পারে।

আরবি বারো মাসের মধ্যে রমজান হচ্ছে নবম মাস। আসমানি রহমতের বার্তা আর অফুরন্ত  মাগফিরাতের আহ্বান নিয়ে এ মোবারক মাহিনা আমাদের মাঝে হাজির হয়েছে। বছরের বাকি এগারো মাসের তুলনায় এ মাসটির ফজিলত ও বরকত অনেক বেশি। ‘রমজান’ আরবি শব্দ। যা বিভিন্ন অর্থে ব্যবহার হয়ে থাকে। কিন্তু মূলত এর অর্থ হচ্ছে ভষ্ম করে দেয়া, ঝলসে দেয়া। এ মাসটির নামকরণের কারণ হচ্ছে, সর্বপ্রথম রোজার বিধান যে মাসে এসেছিল সে মাসটি ছিল প্রচণ্ড গরমের। ঝলসে দেয়ার মতো গরম, তাই এর নাম রাখা হয়েছে ‘রমজান’। তবে আলিমগণ বলেন, ‘বান্দা যেহেতু এ মাসের বিধানাবলি সুচারুরূপে পালন করে বিধায় আল্লাহতায়ালা তার সমস্ত পাপকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ভষ্ম করে দেন। তাই এ মাসকে ‘রমজান’ বলা হয়। 
 

শেষের পাতা থেকে আরও পড়ুন

শেষের পাতা সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status