রাজনীতি
ইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে জামায়াত
সংস্কার ছাড়া অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়
স্টাফ রিপোর্টার
(৩ সপ্তাহ আগে) ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১২:৫৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১০ পূর্বাহ্ন

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। ছবি: ভিডিও থেকে
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ‘সংস্কার ছাড়া অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সংস্কারের জন্য সময় দিতে প্রস্তুত জামায়াত।’
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীনসহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে বসে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
বৈঠক শেষে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক করার বিষয়ে মতবিনিময় হয়েছে। সক্ষমতা ও সীমাবদ্ধতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা ২৩ দফা দাবি জানিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘জনগণ চায় স্থানীয় সরকার সচল হোক, আমরাও চাই জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন। এছাড়া আমরা সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের পক্ষে বলেছি। বাংলাদেশের জন্য এটি প্রয়োজন, সংসদ কার্যকরের জন্য প্রয়োজন। পাশাপাশি প্রবাসী ভোটারদের ভোট দেয়ার সুযোগ করে দিতে হবে বলেছি। এছাড়া রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইন বিধি কঠোর, তা বাতিল করা উচিত।’ সবার রাজনীতি করার অধিকার আছে বলে জানান তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, ‘৩০০ আসনে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে জামায়াত। প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ জামায়াতের নিবন্ধনের বিষয় আদালতে পেন্ডিং আছে। আমরা আশা করি ন্যয়বিচার পাবো এবং দাঁড়িপাল্লা প্রতীক পাবো।’
পাঠকের মতামত
বিগত ১৮ বছর যাবৎ নির্বাচিত সরকার নাই, জনগন এবার আশা করেছিলো ভোট দিবে, সে আশায় জামাত এসে বাধা সৃষ্টি করতেছে।
বিগত ১৮ বছর যাবৎ নির্বাচিত সরকার নাই, জনগন এবার আশা করেছিলো ভোট দিবে, সে আশায় জামাত এসে বাধা সৃষ্টি করতেছে।
জামাতের ভাব দেখে জাতীয় পার্টির কথা মনে হয়েযায়
Right
ভাবসাব দেখে, কথা বার্তা শুনে মনে হয় জামাত ইসলামি একটা বাঘ, ভাল্লুক, সিংহ টাইপ দল হয়ে গেছে। কিন্তু যতই লাফালাফি করেন, মনে রাখবেন সংগঠন হিসাবে আপনারা বেশ গোছানো কিন্তু ভোটের মাঠে আপনাদের সিট কিন্তু সেই ১০/১৫ টাই।
জনগনের ভোটে নির্বাচিত কোন ভোটের সরকার কোনদিন স্বৈরাচার ছিলোনা, শত্রুদেশ আমাদের সরকার জবর দখল করে ভোটের নাটক দেখিয়ে স্বৈরাচার বসিয়েছে। বিগত ১৮ বছর যাবৎ নির্বাচিত সরকার নাই, জনগন এবার আশা করেছিলো ভোট দিবে, সে আশায় জামাত এসে বাধা সৃষ্টি করতেছে। নতুন কোন স্বৈরাচার আরেকটি ভোটের নাটক সৃষ্টি করে, যাতে আর ক্ষমতায় বসতে না পারে, সে জন্য নির্বাচনমুখী সকল জনগনের উচিৎ শক্তিশালী ঐক্যর মাধ্যেমে সেই অপচেষ্টা রুখে দেয়া।
অবশ্যই জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন এবং বিশ্ববিদ্যালয় সমুহের ছাত্র সংসদ নির্বাচন হতে হবে। কারন ক্ষমতায় যারাই আসে তারা ঐসব নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করে।
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন দেওয়া হাস্যকর বিষয়, মূল বিষয়ে ফোকাস করা উচিত।
mashallah------------we the students with Jamat-e-Islam....