রাজনীতি
‘কিছু ছাত্রসংগঠন ক্যাম্পাসগুলোতে হত্যার রাজনীতি শুরুর চেষ্টা করছে’
স্টাফ রিপোর্টার
(১ মাস আগে) ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, শুক্রবার, ৬:৪৯ অপরাহ্ন

কিছু ছাত্রসংগঠন ক্যাম্পাসগুলোতে আবারও হত্যার রাজনীতি শুরু করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।
শুক্রবার রাজধানীতে ছাত্রশিবিরের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত বর্ণাঢ্য র্যালি শেষে সমাবেশে তিনি এ অভিযোগ করেন। ‘মেধা ও সততায় গড়ব সবার বাংলাদেশ’- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ঢাকা মহানগর ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে থেকে র্যালি শুরু হয়ে শাহবাগ, মৎস্যভবন, জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে পল্টনে গিয়ে সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, ৫ই আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির মেধা এবং নৈতিকতার চর্চার মধ্য দিয়ে ছাত্রবান্ধব ও গঠনমূলক ইতিবাচক রাজনীতি প্রতিষ্ঠার কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু কিছু ছাত্রসংগঠন ছাত্ররাজনীতির নামে পুনরায় অপরাজনীতি বাংলাদেশের ছাত্রসমাজকে আতঙ্কিত করে তুলছে। তারা বার বার সেই পুরনো ফ্যাসিবাদী রাজনীতির জায়গায় ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছে। ক্যাম্পাসগুলোতে আবারও হত্যার রাজনীতি শুরু করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা বিভক্তি আর বিভাজনের রাজনীতি লক্ষ করছি। বাংলাদেশে কোনো ব্যক্তি বা দলের বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে যদি জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট হয়, তবে তাদেরকে জাতির বিবেকের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। কারও ভূমিকার কারণে যদি ফ্যাসিবাদ আবার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে, তবে ছাত্র-সমাজ অতীতে ফ্যাসিবাদের যে পরিণতি করেছে, ভবিষ্যতে আপনাদেরও সেই একই পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে। জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপিসহ ফ্যাসিবাদের বিপক্ষে ভূমিকা পালনকারী সকল রাজনৈতিক দল ও ছাত্র-সংগঠনকে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানাচ্ছি।
শিশির সভাপতি বলেন, আমরা দেখেছি, রক্ষী বাহিনী ও লাল বাহিনীর নামে এদেশে গুম, খুন ও হত্যার রাজত্ব কায়েম করা হয়েছিল। স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শেখ মুজিব (শেখ মুজিবুর রহমান) বাকশাল কায়েম করেছিলেন। পঁচাত্তর-পরবর্তী সময় ছিল ভয়াবহ সংকটময়, ছাত্রসমাজ ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে, শিক্ষাঙ্গনগুলো অস্ত্রের ঝনঝনানি, হত্যা, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও মাদকের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়। নীতিহীন ছাত্ররাজনীতির কারণে দিশেহারা তরুণসমাজ তখন মুক্তির পথ খুঁজছিল। এই বাস্তবতায় ইসলামের আলোয় তরুণসমাজকে আলোকিত করার ঐতিহাসিক দায়িত্ব নিয়ে ইসলামী ছাত্রশিবিরের আবির্ভাব ঘটে।
জাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে র্যালিতে ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, হাফেজ রাশেদুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম, ছাত্রশিবির সংগীতের রচয়িতা ডা. মোহাম্মদ মোরশেদ আলী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি ও কার্যকরী পরিষদের সদস্যসহ ঢাকা মহানগর ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখাসমূহের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।