বিশ্বজমিন
গাজাবাসীকে অন্য দেশে পাঠিয়ে দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান চান ট্রাম্প, কাতারের সমর্থন
মানবজমিন ডেস্ক
(১ মাস আগে) ২৮ জানুয়ারি ২০২৫, মঙ্গলবার, ১১:৪০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১:৪২ অপরাহ্ন

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডকে ‘পরিষ্কার’ করে ফেলতে চান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তিনি গাজাবাসীকে অন্য কোনো দেশে পাঠিয়ে দিয়ে এই ইচ্ছা পূরণের কথা সোমবার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। বলেছেন, গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের পাঠিয়ে দেয়া হবে মিশর অথবা জর্ডানে। তার এ বক্তব্যের পর মঙ্গলবার কাতার দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানে সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে। বার্তা সংস্থা এএফপিকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল আরাবিয়া। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারি এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কর্তকতাদের সঙ্গে কি কথা হয়েছে তার বিস্তারিত জানাননি। তবে তিনি বলেছেন, মিত্রদের চোখের ওপর চোখ রাখে না কাতার। ট্রাম্পের মন্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে আল আনসারি বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণ যেন তাদের অধিকার পায় সে বিষয়ে সব সময়ই আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। তা হলো একমাত্র পথ হলো দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান। শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয় আমাদের অনেক মিত্রদের সঙ্গে অনেক বিষয়েই মাঝে মাঝে আমরা চোখে চোখ রেখে কথা বলি না। কিন্তু তাদের সঙ্গে মিলে একটি পলিসি তৈরিতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করি। উল্লেখ্য, গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তিতে যে চুক্তি হয়েছে তাতে যৌথভাবে মধ্যস্থতা করেছে কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিশর। কিন্তু সোমবার ট্রাম্প আবারো বলেছেন, তিনি গাজার অধিবাসীদের অন্য কোনো দেশে পাঠিয়ে দেয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন। তবে এর আগে তিনি বলেছিলেন, বিপর্যস্ত ফিলিস্তিনি ওই ভূখণ্ডকে তিনি পরিষ্কার করতে চান। সাংবাদিকদের কাছে ট্রাম্প বলেন, তিনি গাজার মানুষদের জন্য এমন একটি এলাকা চান, যেখানে তারা কোনো রকম বিঘ্ন ছাড়াই, সহিংসতা ছাড়াই বসবাস করতে পারবে।
উল্লেখ্য, মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি আছে কাতারে। সেই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আল আনসারি বলেন, তারা পুরোপুরিভাবে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে, মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকোফ-এর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছেন। আল আনসারি বলেন, তাদের সঙ্গে কি ধরনের আলোচনা হয়েছে, সে বিষয়ে আমি এখন কোনো কথা বলবো না। তবে আমি বলবো, আমাদের কথা খুব ফলপ্রসূ হয়েছে। ফিলিস্তিনসহ পুরো অঞ্চলের ইস্যু নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি আমরা।
পাঠকের মতামত
গাজাবাসী ফিলিস্তিনের মূল অধিবাসী, তারা কেন নিজ মার্তৃভূমি ত্যাগ করবে ? বরং ইহুদিরা হলো বহিরাগত অনুপ্রবেশকারী,১৯৪৮ সালের আগে ইসরাইল নামক রাষ্ট্রের কোন অস্তিত্ব ছিল না পৃথিবীর মানচিত্রে। তারা ফিলিস্তিনের ভূমি জবরদখল করে অবৈধ ইসরাইল নামক রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়েছে। সুতরাং ইনসাফের দাবি হলো ইহুদিরা ইসরাইল ত্যাগ করে ইউরোপ ও আমেরিকায় চলে যাবে এবং ইসরাইল রাষ্ট্র কে বিলুপ্ত করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটবে। গোটা পৃথিবীর অধিবাসীরা ইসরাইল নামক অভিশপ্ত রাষ্ট্রের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবে ।
ইন শা আল্লাহ্র, ইন শা আল্লাহ্র, ইন শা আল্লাহ্র. গাজা বাসার ও মজলুম ফিলিস্তিনিরা আল্লাহ্রর দেওয়া প্রবিত্র ভুমিতেই থাকবে, ট্রামফ কেন দুনিয়ার কোন শক্তি ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করতে পারবো না,
দেড় বছর ধরে ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের গণহত্যা ও ধংসযজ্ঞ চালানোর পর ট্রাম্পের গাজা পরিস্কারের নামে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে চূড়ান্ত উচ্ছেদের মহাপরিকল্পনায়ও মুসলিম বিশ্বের নীরবতা অস্বাভাবিক ব্যাপার নয়!!
কাতারের অবস্থান বেঈমানীসুলভ। ভাবতে কষ্ট হয়,আজকের বিশ্বে মুসলমানরাই মুসলমানদের শত্রু। ইসলাম আজ নির্যাতিত হচ্ছে মুসলমানদের হাতেই।
ফিলিস্তিনিদের গাজায় রেখেই সমস্যার সমাধান করতে হবে। জীবন থাকতে একজন ফিলিস্তিনিও গাজা ত্যাগ করবে না।
নিজ দেশ ,নিজ জন্মস্থান থেকে স্থানান্তরিত করে দখলদার ইজ্রায়েলিদের বসতি করতে দেয়া মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হিসেবে প্রতীয়মান হবে, আর বিশ্ব বিবেকও কি তা মেনে নিবে ?
আমেরিকা, কানাডা এবং অষ্ট্রেলিয়া যেহেতু অভিবাসী দেশ, তাই ফিলিস্তিনিদের নাগরিকত্ব দিতে পারে!
ফিলিস্তিনিদের গাজায় রেখেই সমস্যার সমাধান করতে হবে। জীবন থাকতে একজন ফিলিস্তিনিও গাজা ত্যাগ করবে না।
The People Gaza never leave their land. Trump should say stop genocide against Palestine.
Trump should not escalate the situation this situation by commenting like that
Its a ploy. Gazzan must not leave their homeland. It is their destiniy. Vitory comes from Allah SWT. صْرٌ مِّن اللَّهِ وَفَتْحٌ قَرِيبٌ.
গাজাবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব দিতে পারে।
গাজার মানুষ সরবে না
I think trump should find a new home to amazon forest. Hypocrite