রাজনীতি
শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের দাবি ছাত্রশিবিরের
স্টাফ রিপোর্টার
(১ মাস আগে) ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, রবিবার, ৯:০৪ অপরাহ্ন

শিক্ষাবিদ, গবেষক, আলেম-ওলামা ও বিশেষজ্ঞ নীতিনির্ধারক নিয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক স্বাধীন শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। রোববার পুরানা পল্টনে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম এ দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম, দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ, প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
৫ই আগস্ট অভ্যুত্থান-পরবর্তী নতুন বাংলাদেশ গঠনের সুযোগ হয়েছে উল্লেখ করে জাহিদুল ইসলাম বলেন,সেই সঙ্গে সুযোগ হয়েছে দেশের জনসাধারণকে জনশক্তিতে পরিণত করতে প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কারের। সরকার ইতোমধ্যে বেশ কিছু সংস্কার কমিশন গঠন করলেও শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়নি। আমরা অনতিবিলম্বে শিক্ষাবিদ, গবেষক, আলেম-ওলামা এবং বিশেষজ্ঞ নীতিনির্ধারক নিয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক স্বাধীন শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করার জোর দাবি জানাচ্ছি। যেখানে শিক্ষাক্রম ও কাঠামোর আধুনিকীকরণ, শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতি প্রক্রিয়া, শিক্ষা বাজেট এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে শিক্ষা কমিশন কাজ করবে।
তিনি বলেন, প্রায় বিগত ত্রিশ বছরের নিষ্ক্রিয় ছাত্রসংসদগুলো কার্যকর করার মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদমুক্ত রাজনীতির সংস্কারের নতুন এক গতিধারা বিনির্মাণের সুযোগ তৈরি হয়েছে। ছাত্রসংসদ নির্বাচন না হওয়ার কারণে ক্যাম্পাসে গণতন্ত্রহীনতার চর্চা, মতপ্রকাশে বাধা ও ফ্যাসিবাদ কায়েম হয়েছে। আমরা মনে করি, শিক্ষার্থীদের অবাধ গণতন্ত্র ও মুক্তবুদ্ধির চর্চার বিকাশ ঘটানোর জন্য ক্যাম্পাসসমূহে ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
জাহিদুল বলেন, সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, কিছু রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের চাঁদাবাজি, ছিনতাই, বিভিন্ন অনলাইন ক্যাম্পেইন ও প্রোপাগান্ডা, ট্যাগিংয়ের রাজনীতিসহ নানাবিধ প্রশ্নবিদ্ধ কার্যক্রমের ফলে দেশে নতুন সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। যা জুলাই অভ্যুত্থানের স্পিরিট পরিপন্থি।
শনিবার গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ঘটনায় আমরা গভীর উদ্বিগ্ন। অবিলম্বে আমরা এ ঘটনায় দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। এছাড়া সাম্প্রতিককালে বিভিন্ন ঘটনায় কয়েকটি ছাত্রসংগঠনের নেতৃবৃন্দ কর্তৃক বিভাজন সৃষ্টিকারী কিছু বক্তব্য আমাদের নজরে এসেছে। এ অবস্থায় ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যেকার অভ্যন্তরীণ সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে সকল পক্ষের নিকট আমরা আন্তরিক, বন্ধুত্বপূর্ণ ও দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশা করি। ছাত্রশিবির ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে ঐক্য করতে প্রস্তুত।
ছাত্রশিবিরের সভাপতি বলেন, রোববার দুপুরে শাহবাগে ইবতেদায়ি শিক্ষকদের ওপর পুলিশের হামলা হয়েছে। শিক্ষক হলেন জাতি গঠনের কারিগর, তাদের ওপর এমন হামলা কোনোভাবেই কাম্য নয়।