দেশ বিদেশ
সাংবাদিকদের সত্য প্রকাশে সর্বদা অবিচল থাকতে হবে- ডা. শফিকুর রহমান
স্টাফ রিপোর্টার
২১ জানুয়ারি ২০২৫, মঙ্গলবারবাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ফ্যাসিস্ট আমলে সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের ওপর জুলুম চালানো হয়েছিল। সেই সময় সংবাদ মাধ্যম যদি সত্যকে পুরোপুরি তুলে ধরতে পারতো তাহলে ফ্যাসিস্টরা চেপে বসতে পারতো না। সাংবাদিকদের সেনাপতি হয়ে সত্য প্রকাশে সর্বদা অবিচল থাকতে হবে। পরিস্থিতি যেমনই হোক সত্য প্রকাশে পিছপা না হওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
সোমবার রাজধানীর মগবাজারে দৈনিক সংগ্রামের কার্যালয়ে আয়োজিত ‘দৈনিক সংগ্রামের সুবর্ণ জয়ন্তী’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সম্পাদক আযম মীর শহীদুল আহসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ, সাধারণ সম্পাদক আইয়ূব ভূঁইয়া, দৈনিক যুগান্তর সম্পাদক কবি আব্দুল হাই শিকদার, বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, ডিইউজে সভাপতি মো. শহীদুল ইসলাম, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, প্রচার সেক্রেটারি এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল, উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আমীর ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, দৈনিক সাতমাথা সম্পাদক মো. সাহাবুদ্দিন। অনুষ্ঠান শেষে সবাইকে ধন্যবাদ জানান সুবর্ণ জয়ন্তী উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক ও বিপিএল-এর ভাইস চেয়ারম্যান মো. মোবারক হোসাইন।
শফিকুর রহমান বলেন, রাষ্ট্রের তিনটি স্তম্ভ গঠনতান্ত্রিকভাবে স্বীকৃত আর সিভিল কনভেনশন হিসেবে মিডিয়াকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। একটি ঘরের চারটি পিলারের মধ্যে একটি যদি বিধ্বস্ত থাকে তাহলে ঘর তো টিকবে না। এই একটি কারণেই ভেঙে পড়বে। চারটি পিলার শক্তভাবে দাঁড়িয়ে থাকলে ঘরটি ভালোভাবে দাঁড়িয়ে থাকবে। আমাদের সমাজটা ভেঙে পড়ার এটাও একটি কারণ কিনা- এ বিবেচনা করার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, দৈনিক সংগ্রামের নামের সঙ্গেই তার পরিচয়টা লেগে আছে। আসলে দৈনিক সংগ্রামের বয়স পঞ্চাশ নয়, বয়স আরও অনেক বেশি। দৈনিক সংগ্রামের পুনর্জন্ম থেকে বয়সটা আজকে ধরা হয়েছে। এবং কেন সেই পুনর্জন্ম হয়েছে? আপনারা জানেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর পরই সংবাদপত্রের ওপর চরম নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছিল। সবগুলো মিডিয়াকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত মাত্র চারটি মিডিয়া ছিল। এই তলোয়ারের মধ্যে যারা পড়েছিলেন, সংগ্রামও তার মধ্যে একটি ছিল। পরবর্তীতে আস্তে আস্তে সেই যাত্রা আবার শুরু হয়েছে।
অনুষ্ঠানে আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকতে হবে, মত প্রকাশের জন্য কাউকে হয়রানি করা যাবে না। কোনো সরকারের আমলেই যেন কোনো সাংবাদিককে যেন চাকরিচ্যুত করা না হয়। একইসঙ্গে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত আটক না করতে আইন করতেও সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।