খেলা
নতুন সংগঠন গড়ে বিসিবি’র সঙ্গে বসছে ক্লাবগুলো
স্পোর্টস রিপোর্টার
১৮ জানুয়ারি ২০২৫, শনিবার
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) গঠনতন্ত্র সংশোধনী প্রস্তাবনা প্রত্যাহার না করলে কোনো ধরনের লীগে অংশগ্রহণ করবে না ঢাকার ক্লাবগুলো। বিসিবিকে দেয়া তিন দিনের আল্টিমেটাম শেষ হয়েছে গতকাল। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত বিসিবি’র তরফ থেকে কিছুই জানানো হয়নি আন্দোলনকারী ক্লাবগুলোকে। বিসিবি বিরোধী এই আন্দোলনকে আরো গতিশীল করার লক্ষ্যে নতুন সংগঠন গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকাভিত্তিক ক্লাবগুলোর সংগঠকরা। দুয়েক দিনের মধ্যে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করবে বলে নিশ্চিত করেছেন মোহামেডানের ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান ও সিসিডিএম-এর সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদুজ্জামান। তিনি বলেন, “নতুন সংগঠনের নাম হবে ‘ঢাকা ক্রিকেট ক্লাব অর্গানাইজার্স অ্যাসোসিয়েশন’। আজকালের মধ্যে এটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে। ‘ঢাকা ক্রিকেট ক্লাব অর্গানাইজার্স অ্যাসোসিয়েশনে’ ব্যানারে আগামী শনিবার (আজ) বিসিবি’র প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বসবো আমরা। এদিন একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে।”
গত মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিসের (সিসিডিএম) আওতাধীন ক্লাবগুলোর সংগঠকরা মতবিনিময় সভায় বসেন। সেখানে সংশোধনী প্রত্যাহারসহ কমিটির আহ্বায়ক নাজমুল আবেদীন ফাহিমের পদত্যাগ দাবি করা হয়। ক্লাবগুলোর আল্টিমেটামের পরদিন আহ্বায়ক ফাহিমের নেতৃত্বে বৈঠকে বসে সংশোধনী কমিটি। ফাহিমের সঙ্গে কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে আছেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের প্রতিনিধি মো. সাইফুল ইসলাম। বাকি তিন সদস্য হচ্ছেন বিসিবির লিগ্যাল অ্যাডভাইজর মো. কামরুজ্জামান, ব্যারিস্টার শেখ মাহদি এবং এ কে এম আজাদ হোসেন। উল্লেখ্য, বর্তমানে ক্লাব ক্যাটাগরি থেকে ১২ জন পরিচালক আসতে পারবেন। প্রস্তাবিত সংশোধনীতে ক্লাব থেকে সেটি কমিয়ে মাত্র ৪ জন পরিচালকে নিয়ে আসা হয়েছে। অর্থাৎ, ঢাকার প্রিমিয়ার ডিভিশন, ফার্স্ট ডিভিশন ও থার্ড ডিভিশন ক্লাব ক্যাটাগরি থেকে মাত্র ৪ জন পরিচালক আসতে পারবেন বোর্ডে। ক্লাব ক্রিকেটের সংশ্লিষ্টতা কমলেও বাড়ছে বিভাগ ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার প্রভাব। আগে ১০ জন পরিচালক আসতে পারতেন বিভাগ ও জেলা থেকে। সেটি তিনজন বাড়িয়ে ১৩ করার প্রস্তাব আনা হচ্ছে। প্রস্তাবিত গঠনতন্ত্রে ঢাকা বিভাগ থেকে একজন বাড়িয়ে তিনজন করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে ২৫ জন পরিচালক থেকে কমিয়ে আনা হচ্ছে ২১-এ। তাতে দেখা যাচ্ছে বিভাগ, জেলা, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও ইন্সটিটিউশনের ১৭ জন পরিচালকই হবেন সংশ্লিষ্ট সরকারের আস্থাভাজন কেউ। তাতে বোর্ডে বাড়বে ‘সরকারের প্রভাব’ আর কমবে ক্রিকেট-সংশ্লিষ্ট ক্লাবের কর্তৃত্ব।