রাজনীতি
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে একযোগে কাজ করি: তারেক রহমান
স্টাফ রিপোর্টার
(৩ সপ্তাহ আগে) ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ৪:৪৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৯ পূর্বাহ্ন
খৃষ্টীয় নববর্ষ উপলক্ষে দেশ-বিদেশের সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, অতীতের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আসুন আমরা রাষ্ট্র ও সমাজে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে একযোগে কাজ করি। আমরা এমন একটি জাতি নির্মাণের প্রত্যাশা করছি, যেখানে প্রত্যেকটি নাগরিকই গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রত্যেকের কন্ঠ স্বাধীন থাকবে। মঙ্গলবার খৃষ্টীয় নববর্ষ উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, খৃষ্টীয় নববর্ষ উপলক্ষে আমি দেশ বিদেশের সবাইকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। কামনা করি-সবার জীবনে খৃষ্টীয় নববর্ষ অনাবিল আনন্দ, সুখ, স্বাচ্ছন্দ্য, শান্তি ও কল্যাণ বয়ে আনুক। শুভ নববর্ষ। গেল বছরটি এখন আমাদের মনে জাগরূক হয়ে থাকবে। গত বৎসরের বেশকিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা, ছাত্র-জনতার আত্মদান এবং অধিকার হারানোর যন্ত্রণা আগামী বৎসরে আমাদের একদিকে যেমন বেদনার্ত করবে আবার অন্যদিকে নুতন উদ্যোমে শান্তি, সম্প্রীতি ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের অধিকার ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনায় আমাদেরকে উদ্বুদ্ধ করবে।
তিনি বলেন, অতীতকে পিছনে ফেলে সময়ের চিরায়ত আবর্তনে খৃষ্টীয় নববর্ষ নতুন বার্তা নিয়ে আমাদের মাঝে সমাগত। পুরনো বছরের ব্যর্থতা, গ্লানি, হতাশাকে ঝেড়ে ফেলে নবউদ্যমে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগায় নববর্ষ। নতুনকে বরণ করা মানুষের সহজাত প্রবণতা। নতুন বছরে আমরা দেশের সামগ্রিক রূপান্তরের একটি পর্বে উপনীত হতে পারবো বলে আশা রাখি।
তারেক রহমান বলেন, আজকের দিনে আমাদের অঙ্গীকার হবে-জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সমূহ শক্তিশালী করা ও অর্থনীতির পুনরুদ্ধারসহ বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবনে একযোগে কাজ করা। বাংলাদেশে অজস্র রক্তঋণে অর্জিত গণতন্ত্রের প্রয়োগ ও অনুশীলনে আমাদেরকে তৎপর হতে হবে। গণবিরোধী পরাজিত শক্তি এতদিন জনগণের সকল অধিকারকে বন্দী করে রেখেছিল। এমতাবস্থায় সকল গণতান্ত্রিক শক্তির মিলিত প্রচেষ্টায় বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করতে হবে।
তিনি বলেন, নববর্ষ সবার জীবনে জাগায় প্রাণের নতুন স্পন্দন, নতুন আশা ও নতুন সম্ভাবনা। অমিত সম্ভাবনার পথে এগিয়ে যাক বাংলাদেশ। চিরদিনের জন্য দূর হয়ে যাক সব অন্যায়-উৎপীড়ন, নির্যাতন। খিস্টাব্দ বিশ্ব পরিমণ্ডলে প্রাত্যহিক জীবনযাত্রায় অবিচ্ছেদ্য হয়ে মিশে আছে। তাই তো নতুন বছরকে বরণ করতে বিশ্বব্যাপী চলে বর্ণাঢ্য উৎসব। হৃত গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য বাংলাদেশের সংগ্রামী মানুষকে অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্য আমি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
অপর এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বহমান সময়ের সঙ্গে আরও একটি বছর পেরিয়ে গেল। নানা ঘটনা দুর্ঘটনার কালের সাক্ষী হয়ে বছরটি বিদায় নিলো। অতীতের সফলতা ও ব্যর্থতার ওপর দাঁড়িয়ে ভবিষ্যৎ নির্মাণের জন্য এখন দৃপ্তপায়ে এগিয়ে যেতে হবে। একটি আধুনিক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মাণই আমাদের অভিষ্ট্য লক্ষ্য হবে। নতুন বছর অর্জন আর প্রাচুর্যে, সৃষ্টি আর কল্যাণে সমৃদ্ধ হোক। নববর্ষের মূল সুর হলো নতুনের আগমণ। নতুন জীবন নতুন আশায় মানুষের মনকে ভরিয়ে রাখে। মানুষকে সোনালী ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখায়।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদেরকে হয়তো আরও কষ্টকর পথ অতিক্রম করতে হবে। প্রকৃত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে। রাষ্ট্র ও সমাজে গণতন্ত্রের চর্চা এবং বিকাশ সাধনে আমাদেরকে আরও বেশী তৎপর হতে হবে। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে আমাদের সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। নতুন বছরে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার। নতুন বছরটি হয়ে উঠুক আনন্দময়, আমি এ কামনা করি।