রাজনীতি
রিজভীর বক্তব্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: জামায়াত
স্টাফ রিপোর্টার
(৩ সপ্তাহ আগে) ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, সোমবার, ১০:০৯ পূর্বাহ্ন
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ‘ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে হাসিনাকে ক্ষমা করতে চায় জামায়াত’ মর্মে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা বিভ্রান্তিকর, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। রোববার রাতে এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।
রফিকুল ইসলাম খান বলেন, বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী জামায়াত সম্পর্কে ‘ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে হাসিনাকে ক্ষমা করতে চায় জামায়াত’ মর্মে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা বিভ্রান্তিকর, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। রুহুল কবির রিজভী জামায়াতে ইসলামীর দিকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, ‘৫ই আগস্টের পর একটি রাজনৈতিক দলের আত্মসাৎ দেখেছে জনগণ, কারা পায়ের রগ কাটে তাদের চিনে জনগণ, ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে একাত্তরের বিরোধিতাকারী জামায়াত।' রিজভীর এ জাতীয় বক্তব্য বিগত কয়েক দশক যাবত প্রচার করা হচ্ছে। রগ কাটা, ঘোলা পানিতে মাছ শিকার, ৭১ এর বিরোধিতা এ সব বক্তব্য জনগণ বহু পূর্বেই প্রত্যাখ্যান করেছে।
তিনি বলেন, রিজভী জামায়াতের বিরুদ্ধে এসব কথা উচ্চারণ করে কী অর্জন করতে চান, তা জনগণের কাছে স্পষ্ট নয়। জামায়াত রগকাটা ও ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের রাজনীতি কখনো করেনি। তিনি জামায়াতের দিকে ইঙ্গিত করে ‘ইসলাম নিয়ে রাজনীতি করেন, ইসলাম মানে তো বারবার মোনাফেকি করা না’ তার এই বক্তব্য চরম মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছু নয়। জামায়াত ‘ইসলাম’ নিয়ে রাজনীতি করে না। ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে রাজনীতি করে জামায়াত। জামায়াতে ইসলামী কখনো মোনাফেকি করেনি। জামায়াত দেশের মানুষের অধিকার, আইনের শাসন, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আপসহীনভাবে লড়াই করেছে। জামায়াত কখনো মোনাফেকির আশ্রয় নেয়নি।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, রিজভী অবশ্যই অবগত আছেন ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত জোটকে এড়িয়ে ভিন্ন মতের লোকদের সঙ্গে জোট করে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য যে ঐক্য করা হয়েছিল তা কী জাতির সাথে মোনাফেকি নয়? জনগণ এই রাজনৈতিক ছন্দ পতনের ইতিহাস ভুলে যায়নি। তিনি ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে ‘শেখ হাসিনাকে ক্ষমা করতে চায় জামায়াত’ মর্মে যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে জনগণ বিস্মিত। ভারতের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে জামায়াতের প্রতি অভিযোগ উত্থাপনের আগে রিজভীর আত্ম-পর্যালোচনা করা উচিত। কারা দলীয় টিম নিয়ে ভারত সফর করে ভারতের সঙ্গে সখ্যতা করার চেষ্টা করেছেন, তা জনগণ খুব ভাল করেই জানেন।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি ভারতের আধিপত্যবাদ ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে। জামায়াতের এই ভূমিকা গোটা জাতি গ্রহণ করেছে। আর এ কারণেই সম্ভবত রিজভীর গাত্রদাহ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা এ ধরনের বিভ্রান্তিকর ও অপবাদ আরোপের রাজনীতি থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
রিজভী নিজ দলের দখলদারদের দখলবাজীতে নামিয়ে জামায়াতের বিরুদ্ধে হাস্যকর অপবাদ দিচ্ছে। জাতি হাওয়া ভবনের চাদাবাজদের ঠিকই চিনেছে। জাতির জামায়াতের গ্রহনযোগ্যতায় দিশেহারা হয়ে গেছে আধিপত্যবাদের নতুন এজেন্টরা,তাই তারা প্রলাপ বকছে।।
এই সব অপপ্রচার ও মিথ্যাচার কুয়াশার মতো বিলিন হয়ে যাবে। ইসলামি দলগুলো কাছাকাছি সমঝোতায় আসুন।
এই সব অপপ্রচার ও মিথ্যাচার কুয়াশার মতো বিলিন হয়ে যাবে। ইসলামি দলগুলো কাছাকাছি সমঝোতায় আসুন।
Onek din theke lokko korci Amar comment approved korenna why?Amar prio news paper er theke eta asa kori na........
সব ইসলামী আদৰ্শেৱ দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ দেখতেচাই। বিশেষত জামায়াতে ইসলাম হেফাজতে ইসলাম ইসলামী আন্দোলন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি জিন্দাবাদ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি জিন্দাবাদ