ভারত
ভারতের সংসদে 'এক ভোট, এক দেশ' বিল পেশ, বিরোধীদের তুমুল আপত্তি
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা
(১ মাস আগে) ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ৩:১৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১১:৩১ পূর্বাহ্ন
আগে থেকেই বিরোধীরা সমালোচনায় মুখর ছিলেন। এরইমধ্যে মঙ্গলবার লোকসভায় সরকারের পক্ষ থেকে ‘এক ভোট, এক দেশ’ সংক্রান্ত সংবিধান সংশোধনী বিল পেশ করা হয়। এদিন একই সঙ্গে দুটি বিল উপস্থাপন করা হয়। একটি সংবিধান (১২৯তম সংশোধনী) বিল, অন্যটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আইন (সংশোধনী) বিল। এই বিল দু'টি সংসদে পেশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস এবং সমাজবাদী পার্টির এমপিরা বিরোধিতায় সরব হন। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল প্রস্তাব করেন, এই বিলগুলো যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো উচিত। প্রস্তাবিত বিলটি সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকে আঘাত করছে বলে বিরোধীরা অভিযোগ করেন। এর মাধ্যমে একনায়কতন্ত্র কায়েম করার চেষ্টা হচ্ছে বলেও অভিযোগ বিরোধী দলগুলোর। বিরোধীদের আরও অভিযোগ এই বিলের মাধ্যমে রাজ্যগুলোর বিধানসভার সায়ত্ত্ব শাসনের আধিকার কেড়ে নেয়া হবে। এই বিল গণতন্ত্রের ওপর একটি নির্লজ্জ হামলা বলে অভিহিত করে তৃণমূল কংগ্রেসের এমপি অভিষেক বন্দোপাধ্যায় বলেন, ‘এক দেশ, এক ভোট’ বিল জনগণের নিয়মিত ভোট দেয়ার মৌলিক অধিকার হরণ করতে চায় - এটি এমন একটি অধিকার যা সরকারকে দায়বদ্ধ রাখে এবং অনিয়ন্ত্রিত ক্ষমতাকে বাধা দেয়। কংগ্রেস এমপি কে সুরেশ বলেন, সরকার যখন এক দেশ, এক ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তখন আমরা আমাদের মতামত জানিয়েছিলাম। কংগ্রেস দল এই বিলটি গ্রহণ করছে না, আমরা এই বিলের তীব্র বিরোধিতা করছি। এটা ভারতীয় গণতন্ত্রের স্বার্থের বিরুদ্ধে।
‘এক দেশ এক ভোট’ ব্যবস্থা চালু করার বিষয়ে বিজেপি অনেক দিন ধরেই আগ্রহ প্রকাশ করেছে। লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহারেও এ বিষয়ে জোর দেয়া হয়। এই বিল কার্যকর হলে সারা দেশে একসঙ্গে লোকসভা, বিধানসভা নির্বাচনের আয়োজন করবে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। মোদি সরকারের যুক্তি, এই ব্যবস্থা চালু হলে ভোট প্রক্রিয়ার জন্য যে বড় অঙ্কের খরচ হয়, তা কমে যাবে। ভোটের আদর্শ আচরণবিধির জন্য বার বার সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ থমকে থাকবে না এবং তার সঙ্গে সরকারি কর্মীদের ওপর থেকেও ভোটার তালিকা তৈরি ও ভোট সংক্রান্ত নানা কাজকর্মের চাপ কমবে।
এক ভোট, এক দেশ এর অর্থ মোদি বাংলা সংস্কৃতি ভারতের ভূখণ্ড থেকে তুলে দিবে।