চাঁদাবাজির বিপক্ষে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: গণতন্ত্র মঞ্চ

সারাদেশে দখলদারি, চাঁদাবাজি ও ভিন্নমতের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাধা প্রদানের বিপক্ষে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। শনিবার সন্ধ্যায় নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের পরিচালনা পর্ষদের সভায় নেতৃবৃন্দরা এ মন্তব্য করেন। 
নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারের বড় বড় সংস্কারের সঙ্গেই জনগণকে তাদের নাগরিক অধিকার নিয়ে বাঁচতে চাওয়ার প্রচেষ্টায় সঙ্গে থাকতে হবে। সারাদেশে হাটবাজার, পরিবহন ব্যবস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এমন কি সরকারি সেবা প্রদানও প্রায় সবটুকু কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। মানুষের কাছে ৫ই আগস্টে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের পতনের পর এমন কোনো পরিস্থিতি অপ্রত্যাশিত ছিলো। সরকার তা বন্ধ করতে না পারলে বড় সংস্কারের পথে এগুতে জনগণকে তারা পাশে পাবে না। অপরদিকে বর্তমান সময়ের চাঁদাবাজি, দখলদারী, অপরাপর রাজনৈতিক এবং অরাজনৈতিক সংগঠনের কার্যক্রমে বাধা প্রদানকারীদেরও আগামীতে ত্যাগ করবে জনগণ। 
নেতৃবৃন্দ দেশের অন্যায়, অবিচার, অনৈতিক দখলদারি, চাঁদাবাজি, নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রচেষ্টার যে কোনো বাধার বিপক্ষে তাদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন। বলেন, গণতন্ত্র মঞ্চের রাজনীতি জনগণের পক্ষে থাকার, অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যহীন দেশ গড়ার রাজনীতি। এসময়ে সরকারের সংস্কার কার্যক্রমের অগ্রগতি, দ্রব্যমূল্য ও অন্যান্য প্রেক্ষিতে জনগণের দু:সহ অবস্থা প্রভৃতি বিষয়েও কথা বলেন নেতৃবৃন্দরা। 
গণতন্ত্র মঞ্চের বর্তমান সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে সভায় নাগরিক ঐক্যর সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।