রাজনীতি
দ্রুত নির্বাচনের দিকে যেতে হবে: খন্দকার মোশাররফ
স্টাফ রিপোর্টার
(১ মাস আগে) ৬ ডিসেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ৩:৩৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১০:২৬ পূর্বাহ্ন
দেশের বিরাজমান সংকট নিরসনে আবারও দ্রুত নির্বাচনের দিকে যাওয়ার তাগিদ দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এজন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নির্বাচন সম্পর্কিত সংস্কার করে সরকারকে রোডম্যাপ দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ৯০'র ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ডাকসুর সাবেক ভিপি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, সরকার যে সংস্কারগুলো করতে চাচ্ছে, সেগুলো শেষ করে দ্রুত নির্বাচনের দিকে যেতে হবে। জনগণ ঠিক করবে আগামীর বাংলাদেশ কেমন হবে।
তিনি বলেন, জনগণকে হেয় করার কোনো সুযোগ নেই। জনগণ ঠিক করবে তাদের সরকার কে হবে? সরকারকে রক্ষা করতে পারে, সরকারকে বিদায় করতে পারে, এটা এ দেশের মানুষ প্রমাণ করেছে। এই সরকারকে আমরা সমর্থন করেছি। এজন্য সমর্থন করেছি, এই সরকারকে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিয়ে জনগণের কাছে ক্ষমতা দিয়ে বিদায় হতে হবে।
সংস্কার প্রসঙ্গে ড. মোশাররফ বলেন, সবচেয়ে অগ্রাধিকার হওয়া উচিত নির্বাচনের ক্ষেত্র তৈরির জন্য। এই সম্পর্কিত সংস্কার করা এবং নির্বাচনের রোডম্যাপ দেয়া।
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আজকে আমরা দেখছি ষড়যন্ত্র চলছে। সম্মিলিত আন্দোলনের মুখে একটি সরকার পদত্যাগে বাধ্য হয়েছে এবং দেশ থেকে পলায়ন করতে বাধ্য হয়েছে। তারা একটি দেশে অবৈধভাবে আশ্রয় গ্রহণ করেছে। সেখান থেকে তারা ষড়যন্ত্র করবে, এটা আমরা অবিশ্বাস করি না। তারা পতিত স্বৈরাচার। তারা চেষ্টা করবে বাংলাদেশে অশান্তি সৃষ্টি করার, আমাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করবে।
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মোশাররফ বলেন, আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমরা ঐক্যের জন্য আগেও বলেছি। বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টাও আহ্বান জানিয়েছেন। আমরাও তাদের সমর্থন দিয়ে এসেছি। আমাদের ধর্ম, দল মত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোন ষড়যন্ত্র সফল হবে না।
খালি নির্বাচন আর নির্বাচন, শয়নে স্বপনে খালি নির্বাচন। আহা কবে যাবো ক্ষমতায়, আর করিবো লুটপাট, গোল্লায় যাক দেশ, এবং মানুষ শুধু আমিই হবো লাট।
Why? Hungry for power?
স্যার খন্দকার মোশারফ, স্যার আব্দুল্লাহ আল মঈন, এবং স্যার মির্জা ফখরুল। এনাদের সাম্প্রতিক দাবি দাওয়া, আওয়ামীলীগ ও ভারতের প্রতি আবেগ মাখানো উক্তি, রাজনৈতিক মতামত ও বক্তব্য জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি করছে। পাশাপাশি ছাত্রদল ও বিএনপির কিছু কর্মকান্ডও প্রশ্নের সম্মুখীন। এসব কিন্তু শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এর আদর্শ ও দেশপ্রেমের সাথে সাংঘর্ষিক। আর এসব যদি তারেক রহমানের নির্দেশনার বাইরে হয়, তবে উনার এসব বিষয়ে দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন। আর যদি উনার নির্দেশনার আলোকে এসব হয়ে থাকে, তবে বিএনপি থেকে মানুষ দ্রুতই মুখ ফিরিয়ে নেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।