বিবিধ
প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে পাওয়ার গ্রিডের ব্যাখ্যা
(১ মাস আগে) ২ ডিসেম্বর ২০২৪, সোমবার, ৮:০১ অপরাহ্ন
মানবজমিন অনলাইন ভার্সনে ১লা ডিসেম্বর রাতে প্রকাশিত ‘মব জাস্টিসের কবলে পাওয়ার গ্রিডের কর্মকর্তা, থানায় জিডি’ শীর্ষক সংবাদের পরিপ্রক্ষিতে প্রতিবাদ জানিয়েছে পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ। সোমবার কোম্পানি সচিব জাহাঙ্গীর আজাদ এই প্রতিবাদ জানান।
প্রতিবাদে বলা হয়েছে, পাওয়ার গ্রিডের কর্মকর্তা মুহাম্মদ ছলিমুল্লাহকে হেনস্তার যে অভিযোগ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে তা ভিত্তিহীন। এই প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘ ঐতিহ্য ও প্রাতিষ্ঠানিক সুনাম বজায় রেখে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, প্রাতিষ্ঠানিক বিধিবিধান ও রীতিনীতি কঠোরভাবে অনুসরণ করে কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। এ অবস্থায় সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই না করে এ ধরনের সংবাদ প্রচার কাম্য নয় বলে আমরা মনে করি। পাওয়ার গ্রিড দেশের স্বনামধন্য গণমাধ্যমের সঙ্গে পারস্পরিক তথ্য বিনিময়সহ সুসম্পর্ক বজায় রেখে কার্যক্রম পরিচালনায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এতে আরও বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে উক্ত কর্মকর্তা ঢালাওভাবে অযাচিত, অযৌক্তিক ও অসৌজন্যমূলকভাবে কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক বিষোদ্গার ও অশোভন আচরণ করে আসছিলেন যা প্রাতিষ্ঠানিক অসদাচরণ ও শৃঙ্খলার পরিপন্থি। গত ৩০শে নভেম্বর অপরাহ্নে কোম্পানির নিয়মিত মহাব্যবস্থাপক (পিঅ্যান্ডএ) চাকরি থেকে ইস্তফা প্রদানের পর ওই পদে একজন সিনিয়র কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদানকে ঘিরে ২৮শে নভেম্বর তিনি সব ধরনের শালীনতার সীমা লঙ্ঘন করে কোম্পানির ব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে অকথ্য ও অশালীন ভাষা ব্যবহার করেন, যা প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলার চরম লঙ্ঘন। ওই কর্মকর্তা প্রাতিষ্ঠানিক অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ায় তাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে মর্মে যে অভিযোগ করা হয়েছে- সেটি একেবারেই ভিত্তিহীন। প্রকৃতপক্ষে এ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ, বদলি, পদায়ন এবং উন্নয়নমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়নে দীর্ঘকাল ধরেই সর্বোচ্চ সতর্কতা, নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতার নীতি অনুসরণ করা হয়ে থাকে।
প্রতিবাদে বলা হয়েছে, এ পরিপ্রেক্ষিতে গত ১লা ডিসেম্বর এই প্রতিষ্ঠানের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ ছলিমুল্লাহর এমন ধারাবাহিক অসৌজন্যমূলক আচরণ ও অকথ্য ভাষা ব্যবহারের বিষয়ে সম্মিলিতভাবে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের নিকট প্রাতিষ্ঠানিক নিয়মরীতি মেনে লিখিতভাবে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এ সময় অভিযুক্ত কর্মকর্তার সঙ্গে কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী তার এমন আচরণের বিষয়ে সাধারণভাবে কথা বলতে চাইলে তিনি তার মোবাইলে স্থির ও ভিডিওচিত্র ধারণ করেন। এ ছাড়াও তাকে অবরুদ্ধ করা ও হেনস্তা করা হয়েছে মর্মে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সঠিক নয়। একইসঙ্গে বর্ণিত কর্মকর্তা ওই ঘটনাকে নেতিবাচকভাবে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন, যা এ প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘ ঐতিহ্য ও প্রাতিষ্ঠানিক সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে।
প্রতিবাদে উল্লেখ করা হয়েছে, এ পরিস্থিতিতে পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণের কক্ষের সম্মুখে অযাচিতভাবে হট্টগোল করে কর্ম পরিবেশ নষ্ট করা, অনুমতি ব্যতিরেকে কর্মকর্তা/কর্মচারীদের ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা এবং বিভিন্ন মনগড়া তথ্য সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে বিধি মোতাবেক কোম্পানির ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। বর্তমানে কোম্পানির অভ্যন্তরে সামগ্রিক কাজের পরিবেশ স্থিতিশীল রয়েছে এবং নৈমিত্তিক কার্যক্রম পুরোপুরি সচল রয়েছে।
নিয়োগের বিষয়ে কেন এত সাফাই গাওয়া হইল লেখায় বুঝলাম না। নিয়োগ পদ্ধতির তদন্ত হওয়া দরকার।