দেশ বিদেশ
কুষ্টিয়ায় খুতবায় ইসকন নিয়ে আলোচনা করায় চাকরি হারালেন ইমাম
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
২ ডিসেম্বর ২০২৪, সোমবারকুষ্টিয়ার কুমারখালীর নন্দলালপুর ইউনিয়নের সোন্দাহ বাইতুল হামদ জামে মসজিদের ইমাম মিনহাজ আল আদনানকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। গতকাল সকালে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সিংহভাগ সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। তবে গত শুক্রবার জুমার খুতবা শেষে ‘ইসকন’ নিয়ে আলোচনা করায় তিনি চাকরি হারালেন নাকি প্রকাশ্যে কমিটির বিরুদ্ধে বেতন ও অন্য সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আলোচনা করায় তার চাকরি গেল- এ নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া গেছে। এ নিয়ে ওই ইমাম তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিলে তা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়।
ইমাম মিনহাজ আল আদনান মাগুরা জেলার সদর উপজেলার বাসিন্দা। তিনি গত ১লা নভেম্বর থেকে সোন্দাহ বাইতুল হামদ জামে মসজিদে আট হাজার টাকা বেতনে দায়িত্ব পালন করছিলেন। ইমাম মিনহাজ আল আদনান বলেন, গত শুক্রবার জুমার খুতবায় তাওহিদ, আকিদা ও ইমান নিয়ে আলোচনা চলছিল। এক পর্যায়ে দেশের চলমান পরিস্থিতি ও ইসকন নিয়ে আলোচনা হয়। সেদিন তাৎক্ষণিক কেউ কিছু বলেনি। তবে শনিবার রাতে মসজিদের সহ-সভাপতি আজিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ, হিসাবরক্ষক আবুল হোসেন শমছেরসহ কয়েকজন তাকে বলেন, মসজিদে ইসকন ও বিশ্ব রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করা যাবে না। এ নিয়ে কিছুটা কথাকাটি হয়। এরপর রোববার ফজরের নামাজের পর চাকরি থেকে অব্যাহতি দেন। তিনি জানান, ইসকন নিয়ে আলোচনা করায় তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মসজিদের সহ-সভাপতি আজিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ, হিসাবরক্ষক আবুল হোসেন শমছের। তারা বলেন, গত ২২শে নভেম্বর ইমাম সাহেব মসজিদে বেতন ও অন্য সুযোগ-সুবিধা নিয়ে প্রকাশ্যে কমিটির বিরুদ্ধে অসৎ বক্তব্য ও আচরণ করেছেন। সেজন্য কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তারা জানান, গত শুক্রবার মসজিদে ইমাম ইসকন নিয়ে কথা বলেছে। তবে এ নিয়ে তাদের কোনো অভিযোগ নেই। স্থানীয় মুসল্লি জাহাঙ্গীর আলম জানান, শুক্রবার হুজুর তাওহিদ, আকিদার পাশাপাশি ইসকন নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। সেজন্য রোববার তাকে মসজিদ থেকে বাদ দেয়া হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন। সভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, ইমাম মসজিদে ইসকন ও বেতন নিয়ে আলোচনা করায় কমিটির সিংহভাগ সদস্যদের সম্মতিতে আজ তাকে বাদ দেয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মিকাইল ইসলাম বলেন, ইমামের ঘটনাটি জেনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
তদন্ত করে দেখা দরকার কমিটির লোক ইনুর লোক কিনা?
একটু বেশি?
ইসলামী জ্ঞান সম্পন্ন আলেমগণকে মসজিদ কমিটির হাল ধরতে হবে। অন্যথায় এরকম অবিচার বন্ধ করা কঠিন। মসজিদ কমিটিকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হোক। তাঁরা প্রমাণ করুন খতিব মহোদয়ের বক্তব্যে ইসলাম বিরোধী কিছু ছিল কি না।
একজন ইমামকে মাত্র ৮০০০ হাজাব টাকা বেতন দেন! কমিটির লোকজন আপনাদের লজ্জা করে না? ইসকন দেশের শত্রু তাদের নিয়ে সবাই কথা বলছে। সে জন্য একজন ইমাম কে চাকুরিচ্যুত করলেন? এই অন্যায় কাজের জন্য আপনাদের আল্লাহর কাছে জবাব দিতে হবে। অবস্হা দৃষ্টে মনে হচ্ছে আপনারা পতিত স্বৈরাচারের দোসর।
এদেশের শতকরা ৯৫ ভাগ মানুষ নাকি মুসলিম! খুতবায় চলমান বিষয় আসতেই পারে। এদেশে ইমাম সাহেবদের চাকরি এমনই ঠুনকো! সকালে আছে, বিকেলে নেই।
দেখেন স্বৈরাচারের দোসর কী না?