রকমারি
১৮ বছর আগে প্রেমিকের হাতে খুন, এআইয়ের মাধ্যমে বাবার কাছে ফিরলেন মেয়ে
মানবজমিন ডিজিটাল
(২ সপ্তাহ আগে) ২৬ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ৪:৪৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৯:৩১ পূর্বাহ্ন
এআইয়ের মাধ্যমে আজকাল কী না হয়। মরা মানুষও জ্যান্ত হয়ে যায়। গলা থেকে মুখ, ছবি থেকে কর্মকাণ্ড যে কাউকে হুবহু নকল করতে পারে এআই। ২০০৬ সালে স্কুলে পড়ার সময় প্রেমিকের হাতে খুন হন জেনিফার। ১৮ বছর পর তার বাবা ড্রু ক্রিসেন্ট এই অক্টোবর মাসে দেখতে পান মেয়েকে গুগলে। বায়োতে লেখা ভিডিও গেম জার্নালিস্ট ও টেকনোলজি এক্সপার্ট। যা দেখে চমকে যান ড্রু। মেয়ে কি তবে ফিরে এল! খোঁজ করে জানতে পারেন, এআই দিয়ে জেনিফারের নামে প্রোফাইল খোলা হয়েছে। প্রোফাইলে একটি চ্যাটবটের অপশন রয়েছে, যেখানে ঢুকে মানুষ কথা বলতে পারেন।
ওয়াশিংটন পোস্টকে ড্রু জানান, আমার পালস বেড়ে গিয়েছিল এটা দেখে। মনে হচ্ছিল বন্ধ করে দিই এখনই। এসব আবার কী। জেনিফারের নাম ও ছবি দিয়ে চ্যাটবট খোলা হয়। এই প্ল্যাটফর্মে যে কেউ এই ধরনের চ্যাটবটে ঢুকে কথোপকথন করতে পারেন। জেনিফারের প্রোফাইলেও বহু মানুষকে কথা বলতে দেখা যায়। পরে অবশ্য প্রোফাইলটি ডিলিট করা হয়।
ড্রু আরও বলেন, পরিবারের সম্মতি ছাড়া একজন মৃত কিশোরীর ছবি ব্যবহার করা ভয়ঙ্কর ঘটনা। চ্যাটবটের একজন মুখপাত্র ক্যাথরিন কেলি বলেছেন, সংস্থাটি তার পরিষেবার শর্তাবলি লঙ্ঘন করে এমন চ্যাটবটগুলো সরিয়ে দেয় এবং কমিউনিটির সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দেয়ার জন্য সুরক্ষা অনুশীলনগুলো ক্রমাগত বিকাশ ও পরিমার্জন করছে। যখন জেনিফারের চরিত্র সম্পর্কে অবহিত করা হয়, তখন আমরা বিষয়বস্তু এবং অ্যাকাউন্ট পর্যালোচনা করেছি। আমাদের নীতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে পদক্ষেপ নিয়েছি।’
এআই চ্যাটবট, যা কথোপকথন অনুকরণ করতে পারে এবং বাস্তব বা কাল্পনিক চরিত্রের ব্যক্তিত্ব বা জীবনী সংক্রান্ত বিবরণ গ্রহণ করতে পারে তা ডিজিটাল সঙ্গী হিসেবে ইতিমধ্যেই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। জেনিফারের পরিবার জানিয়েছে, বাড়ির মেয়েকে এই ভাবে দেখে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন তার বাবা। ১৮ বছর পর এমন হবে, সেটা তিনি ভাবতেও পারেননি।
সূত্র: এনডিটিভি