ঢাকা, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিঃ

রকমারি

২৬০০ লিটারেরও বেশি মাতৃদুগ্ধ দান করে সাড়ে তিন লাখ সদ্যোজাতের জীবন বাঁচালেন টেক্সাসের 'জননী'

মানবজমিন ডিজিটাল

(৩ সপ্তাহ আগে) ১৮ নভেম্বর ২০২৪, সোমবার, ৫:০২ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন

mzamin

শিশুদের জন্য মাতৃদুগ্ধের বিকল্প কিছু নেই। তবে নানা কারণে অনেক শিশুই সেই মাতৃদুগ্ধ থেকে বঞ্চিত হয়। সেইসব শিশুদের নতুন জীবনদান করলেন আমেরিকার টেক্সাসের বাসিন্দা অ্যালিস ওগলট্রি। সম্প্রতি ২৬৪৫.৫৮ লিটার মাতৃদুগ্ধ দান করে বিশ্ব রেকর্ড করেছেন ৩৬ বছরের এই নারী। এর আগে ২০১৪ সালে ১৫৬৯.৭৯ লিটার মাতৃদুগ্ধ দান করে, রেকর্ড করেছিলেন অ্যালিস। ২০২৩ সালের জুলাই পর্যন্ত ওগলেট্রি তার সমস্ত বুকের দুধ উত্তর টেক্সাসের মাদার  মিল্ক ব্যাংকে দান করেছেন। অ্যালিস জানিয়েছেন মায়েদের সাহায্য করার লক্ষ্যেই তার এই পদক্ষেপ। নর্থ টেক্সাসের সেই ‘মাতৃদুগ্ধ ব্যাংকের’ তথ্য অনুযায়ী—এক লিটার বুকের দুধ অন্তত ১১টি শিশুকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে। এই গণনার ওপর ভিত্তি করে অনুমান করা হচ্ছে, সংস্থাটিতে এখন পর্যন্ত ওগলেট্রি যে পরিমাণ দুধ দান করেছেন, তা সাড়ে তিন লাখ শিশুকে টিকে থাকতে সাহায্য করেছে। অ্যালিসের এই অভিনব পদক্ষেপ কেবল তাকে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি গড়ে দেয়নি বরং অসংখ্য ‘প্রিম্যাচিউর'(সময় পূর্বেই জন্ম হয় যাদের) সন্তানের প্রাণ বাঁচিয়েছেন তিনি। ২০১০ সালে নিজের প্রথম সন্তান কাইলের জন্মের পরেই বুকের দুধ দান করা শুরু করেন অ্যালিস। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি সাক্ষাৎকারে ওগলট্রি বলেন, “আমি অতিরিক্ত দুধ উৎপাদন করছিলাম এবং তা ফেলে দিচ্ছিলাম। যেখানে অন্যান্য মায়েদের দুধ উৎপাদন করতে সংগ্রাম করতে হত, সেখানে অজান্তেই আমি অতিরিক্ত উৎপাদন করছিলাম।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের প্রথম সন্তান, কাইল তখন হাসপাতালে, অতিরিক্ত দুধ উৎপাদনের ফলে নার্সদের ফ্রিজার ভর্তি হয়ে গিয়েছিল। তখন একজন নার্স প্রথম জিজ্ঞাসা করেন, আমি দুধ দান করছি কিনা? তখনই আমি প্রথম এটা সম্পর্কে জানতে পারি।” পরবর্তীকালে তার আরও সন্তান হওয়ার সঙ্গে অ্যালিস মাতৃদুগ্ধ দান করাও চালু রাখেন। প্রত্যেক তিন-চার ঘণ্টা অন্তর তিনি পাম্প করে দুধ সংগ্রহ করতেন।
তবে এই বিপুল পরিমাণ দুধ উৎপাদন করলেও কখনই তার স্বাস্থ্যে কোনও প্রভাব পড়েনি। বিপুল উৎপাদন ক্ষমতার জন্য সারাদিন পর্যাপ্ত পানি খাওয়া, পুষ্টিগুণে ভরপুর ডায়েট এবং নির্দিষ্ট সময় অন্তর ‘ব্রেস্ট পাম্পিং’ রুটিনই দায়ী বলে মনে করেন তিনি।

সূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস

পাঠকের মতামত

A rokom khamar amader deshe khubi dorker. Karon amra onekei opustite vuktechi.

Akash Roy Chowdhury
১৯ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ১০:৫০ পূর্বাহ্ন

রকমারি থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

রকমারি সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status