দেশ বিদেশ
শেষ সময়ে ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বৃদ্ধির পথ খুঁজতে মরিয়া বাইডেন প্রশাসন
মানবজমিন ডেস্ক
১৪ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবারপ্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শেষ সময়ে ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বৃদ্ধির উপায় খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র। এই লক্ষ্যে মঙ্গলবার বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে গিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। এ খবর দিয়েছে ভয়েস অব আমেরিকা। এতে বলা হয়, ব্রাসেলসের পর তিনি এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় ইকোনমিক কো-অপারেশন বৈঠকের জন্য পেরুর লিমায় যাবেন। এরপর জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের জন্য মানাউস ও ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে যাত্রাবিরতি করবেন। তিনি পেরু ও ব্রাজিলে বাইডেনের সঙ্গে যোগ দেবেন। বুধবার ইউক্রেনের জন্য অব্যাহত সমর্থন পেতে ন্যাটো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেবেন এবং প্রেসিডেন্ট বাইডেন হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট-নির্বাচিত ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। কর্মকর্তারা জানান, ট্রাম্পকে ইউক্রেন থেকে ‘সরে না যাওয়ার’ আহ্বান জানাবেন বাইডেন। ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার প্রত্যক্ষ সমর্থন ইউরোপীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে ব্লিনকেনের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তা এবং এপেকের কর্মকর্তার মধ্যে আলোচ্যসূচিতে এটি স্থান পাবে। কাউন্সিল অন ফরেইন রিলেশন্সের সিনিয়র ফেলো চার্লস কাপচান বলেন, ট্রাম্প হয়তো ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করতে পারেন। ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারণার সময় এ সম্পর্কে একটি বিশেষ পররাষ্ট্রনীতির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ট্রাম্পের রাজনৈতিক মিত্ররা ইঙ্গিত দিয়েছেন, আসন্ন প্রশাসন ক্রাইমিয়া এবং রাশিয়ার দখলে থাকা অন্য অঞ্চলগুলো পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম করার চেয়ে ইউক্রেনে শান্তি অর্জনকে অগ্রাধিকার দেবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ব্লিনকেন ইউরোপের দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। অন্যদের মধ্যে রয়েছেন ফ্রান্সের ইউরোপ ও পররাষ্ট্র বিষয়কমন্ত্রী জিননোয়েল ব্যারট, জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলানেলা বেয়ারবক এবং যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি। কর্মকর্তারা বলছেন, আলোচনায় ইউক্রেন পরিস্থিতি এবং ইউক্রেন যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার সেনা মোতায়েনের রাশিয়ার সিদ্ধান্তের প্রভাব ও হুমকি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।