বিশ্বজমিন
হিমালয় অববাহিকায় দুর্গম অঞ্চলজুড়ে নতুন গ্রাম গড়ে তুলছে চীন
মানবজমিন ডেস্ক
(১ মাস আগে) ৬ নভেম্বর ২০২৪, বুধবার, ১০:৪৯ পূর্বাহ্ন
হিমালয় অববাহিকায় নিজ সীমান্তের কাছে দুর্গম অঞ্চলজুড়ে নতুন গ্রাম গড়ে তুলছে চীন। কুয়াশায় ঘেরা সুউচ্চ পাহাড়ের গায়ে দেখা গেছে তিব্বতী শৈলীর ধাচে নির্মিত ছোট ছোট ঘর। ভূমি থেকে পাইন বনের মধ্য দিয়ে পাহাড়ি গ্রামে ঢুকে গেছে একটি সড়ক। প্রতিটি ঘরের উপরে রয়েছে চীনের পতাকা। এ খবর দিয়েছে অনলাইন সিএনএন।
এতে বলা হয়, হিমালয় ঘেষা চীনের দুর্গম এলাকাগুলোতে এমন ঘরবাড়ি গড়ে উঠার প্রবণতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেখানের সড়কগুলোতে ঘর নির্মাণের সরঞ্জামাদি দেখা গেছে। এছাড়া ঘর বানানোর ভারী যন্ত্রপাতির মাধ্যমে কাজও চলমান রয়েছে।
চীনের ভ্রমণপিয়াসু এক ভ্লগারের ভিডিওতে এসব চিত্র দেখা গেছে। ভিডিওতে তিনি বলেছেন, তারা সেখানে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ঘরবাড়ি নির্মাণ করছে। তাকে সড়কের পাশের চিত্র দেখানোর পাশাপাশি তার বর্ণনা দিতে দেখা যায়। তিনি বলেন, যেহেতু লোকজন এখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন, অর্থাৎ এটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই যে- এটা আমাদের দেশেরই অংশ।
গ্রামটির নাম দেমালং। ৭০টি পরিবারের বসবাসের মধ্য দিয়ে গত বছরের মার্চ মাসে এই গ্রামের গোড়াপত্তন হয়। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, একটি সরকারি নোটিশে গ্রামটিকে চীন নিজের বলে দাবি করেছে। তবে এই অঞ্চলটি শুধু চীনের সীমানার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। চীন সীমান্তজুড়ে যে বসতি স্থাপন করছে এটি তারই ধারাবাহিক একটি অংশ। তবে উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে ভুটানের সরকারী মানচিত্রে দেখানো সীমানার মধ্যেও এই অংশটি রয়েছে। দেশটিতে ১ মিলিয়নেরও কম সংখ্যক মানুষ বাস করে। সিএনএন-এর খবরে বলা হচ্ছে ভুটানের সম্মতি ছাড়াই এভাবে হিমালয় অববাহিকায় গ্রাম গড়ে তুলছে চীন।
শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে পূর্ব হিমালয়ের সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৪ হাজার ফুট উপরে গ্রীষ্মকালীন চারণভূমির সন্ধানে এখানে জড়ো হয় পশুপালনকারী সম্প্রদায়গুলো। কিন্তু এখন ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার ফলে চীন সরকার ভুটানের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বসতি বাড়াচ্ছে। যার কিছু কিছু অঞ্চল ভুটানের মানচিত্রেও রয়েছে। উল্লেখ্য, কয়েক দশক ধরে অমীমাংসিত সীমান্ত নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে চীন ও ভুটান। সেই আলোচনার পটভূমিতে রয়েছে ভারত। দেশটি চীনের সবচেয়ে বড় আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী এবং ভুটানের কূটনৈতিক মিত্র।