রাজনীতি
রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের ফলাফল ভালো কিছু বয়ে আনে না: গয়েশ্বর
স্টাফ রিপোর্টার
(১ মাস আগে) ৪ নভেম্বর ২০২৪, সোমবার, ২:৪৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১০:৫৫ পূর্বাহ্ন
রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার মধ্য দিয়ে ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করার ফলাফল কখনো ভালো কিছু বয়ে আনে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বাধীনতা ফোরামের উদ্যোগে ‘ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের প্রেক্ষাপটে আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, যাদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করব, তারাই তো নিজেরাই নিজেদের নিষিদ্ধ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। একটা বিবৃতিতে দেয়ার লোক নাই, স্লোগান দেয়ার লোক নাই।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সর্বস্তরের মানুষ দেশ স্বাধীন করল আর সরকার গঠন করলো আওয়ামী লীগ। ৭২-র তারা যে সংবিধান লেখেছে, সেই সংবিধান কি তারা মেনে চলেছে? চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি, ব্যাংক ডাকাতি, নারী নির্যাতন- এসব কি সংবিধানে লেখা ছিলো? তারাই ৭২-র সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। তারাই সংবিধান লঙ্ঘন করে একদলীয় শাসন কায়েম করে। গত ৫২ বছরে আওয়ামী লীগের মতো সংবিধান লঙ্ঘনকারী দল বাংলাদেশে আর নেই।
জুলাই বিপ্লবের নেতৃত্বদানকারী ছাত্র নেতাদের স্যালুট জানিয়ে তিনি বলেন, দেশ গঠন করা ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে যার যেটুকু করা উচিত, সেটুকু করলে দেশের মানুষ খুশি হবে। দেশের জনগণ নির্বাচন চায়, বিএনপিও নির্বাচন চায়। কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত শান্তি বয়ে আনে না। সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সকল নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। বাকশালী আওয়ামী লীগকেও রাজনীতি করার সুযোগ দেন।
স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ।
নাৎসিদের নিষিদ্ধ করে জার্মানি এখন অর্থনৈতিক পরাশক্তি , আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল নয় , এরা ফ্যাসিস্ট ।এদের নিষিদ্ধ করলে দেশে ইতি বাচক রাজনীতি চালু হবে ।
আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট দল ছিল, রাজনৈতিক দল না, ছাত্রলীগ সন্ত্রাসী সংগঠন।
বিএনপির নেতাদের যে রাজনৈতিক প্রজ্ঞার অভাব আছে গয়েশ্বরর এই মন্তব্যে বুঝা যায়।যে দলটি দেশের অর্থনীতিকে ধবংস করে দিয়েছে, গুম খুন সহ এমন কোন অপরাধ নেই যা তাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত হয় নাই।তার পরেও আওয়ামী লীগের সাফাই গাওয়া মানে আওয়ামীলীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা।
আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দল না এটা একটা উগ্র জংগীবাদি খুনি সংগঠন। যারা ক্ষমতায় থাকলে হয় মাফিয়া সংগঠন আর বিরোধী থাকলে হয় চরম সন্ত্রাসী সংগঠন। ওনারাও এখন হাসিনা স্টাইলে সবকিছু জনগন দোহাই দিয়ে বলে। এই কিছুদিন আগেও যে আপনাদের নেতা কর্মিরা মাঠে ঘুমাতো ভুলে গেছেন?
আমি একজন BNP সমর্থক সেই 1986 সাল থেকে কখনো দলের কোন বক্তব্যে দ্বীমত করিনি But আজকে দাদার বক্তব্য মতের সাথে মিলাতে পারছিনা
তাহলে এতোদিন আওয়ামিলীগের জুলুমের রাজ্য টিকিয়ে রেখেছিলেন আপনাদের মতো গুপ্ত আওয়ামী প্রেমীরা। হারুনের ভাতের হোটেলের আপ্যায়নটা কাজ করছে ঠিকমতো!
ভাতের হোটেলের বড় লোকমা খাইতে বড় মজারে খাইতে বড় মজা...
বাকশালী আওয়ামী লীগকেও রাজনীতি করার সু্যোগ করে দেয় বিএনপি,এভাবেই আওয়ামী লীগ বার বার স্বৈরাচার হয়ে ফিরে আসে।
বলি আপনিই আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নেন। সাধারণ মানুষেকে বোকা মনে করার কারনেই আওয়ামী লীগের এই হাল।
মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি হয়ে গেলো না? তাহলে কি আপনারা আওয়ামীলীগের রাজনীতির পক্ষে? হায়রে কপাল!
রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ ভালো কিছু বয়ে আনে না অবশ্যই৷ কিন্তু সন্ত্রাসী দল রাজনীতি করলে সেটা নিষিদ্ধ করতে হয়৷ আর আপনারা যদি এইসব বয়ান দিয়া নিজেদের ক্ষমতার লোভে আওয়ামী মাফিয়াদের, সন্ত্রাসীদের পুনর্বাসনের দায়িত্ব নেন তাহলে মানুষ আপনাদের দুইদিনও ক্ষমতায় টিকতে দিবেনা। শিক্ষা নেন গয়েশ্বর সাহেব। এত নিকট অতিতে উজ্জ্বল জ্বলন্ত উদাহরণ আছে৷ এখনই এসব বলা শুরু করলে আওয়ামী মাফিয়াদের মত আপনারাও ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবেন। খুব বেশি সময় লাগবেনা।
দলীয় রাজনীতির জাতীয় চরিত্র ফ্যাসিবাদ ও জঙ্গিবাদ হলে এমন দলের রাজনৈতিক অধিকার কোন রাষ্ট্রের জন্য কি সুখকর হবে?
এই আওয়ামীলিগ আবার বিএনপিকে ফাসিতে ঝুলাবে, মামলা দিবে, ক্রস ফায়ার করবে কিন্তু বিএনপির তলায় হাত দিয়ে দেখেনা, আওয়ামীলিগ ভারতের প্রডাক্ট, নির্বাচন আসলে ভারত ১১টি করে সেনাবাহিনীকে ঘোরা দিবে আর দেশের শক্তিধর সেনাবাহিনীকে ধ্বংস করে দিবে।
এইতো ওপাড়ের লাইনে চলে আসছে। জার্মানী হালুয়া খাইছে?
আওয়ামীলীগ থেকে কত পরিমান টাকা পেয়েছে আল্লাহ ভাল জানে, মিত্র দল জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল ও রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হলে তখন বিএনপির গনতন্ত্র কোথায় ছিল। তখন তো নীতি কথা আমরা শুনতে পাই নাই।
Dalal................
রাজনৈতিক দলের সংজ্ঞা কি ? কাকে আমরা সন্ত্রাসী দল বলবো ?
কইছে অন্নেরে....
মেনে নিলাম, রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের ফলাফল ভালো কিছু বয়ে আনে না। তার মানে তারা আমীলীগকে রাজনীতি করতে দিতে চান! তো কে এই লীগের হাল ধরবে? গয়েশ্বর বাবুরা কার হাতে লীগের দায়িত্ব দিতে চান? যার হাতেই দিবেন সে ক্ষমতায় আসলেই প্রথমেই গয়েশ্বর বাবুদের ফাঁসিতে ঝুলাবে। গত ১৬ বছরে আমরা লীগের নেতৃত্বের কোন পর্যায়ে এমন কাউকে দেখিনি যে তার আগেরটার চেয়ে ভাল। বরং সব ক্ষেত্রে এটাই দেখা গেছে যে, আগেরটা চোর থাকলে পরেরটা ডাকাত হয়েছে! হাসিনা এটাকে কোন রাজনৈতিক দলের কাতারে রাখেনি, একটা অভিশপ্ত দলে পরিণত করেছে!
আপনাদের বর্তমান সিদ্ধান্ত গুলো বিপ্লবী আন্দোলনের স্পিরিটকে রিপ্রেজেন্ট করছেনা। বিপ্লবী জনতার চেতনাকে লালন করার মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়ার আশাবাদ।