দেশ বিদেশ
জনগণকেই শিল্পকলা বাঁচাতে হবে- মহাপরিচালক
স্টাফ রিপোর্টার
৪ নভেম্বর ২০২৪, সোমবারআইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাহারায় নয়, জনগণকেই শিল্পকলার প্রণোদনার দায়িত্ব নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ। বলেছেন, আমরা জনবান্ধব শিল্পকলা একাডেমি চাই। জনগণই যেন শিল্পকলাকে লালন করে। আমি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই বলে আসছি, শিল্প চর্চাকে সমাজের কেন্দ্রে স্থাপন করতে হবে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। গতকাল শনিবার জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে এক অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, যার প্রেক্ষিতে রোববার সকাল ৯টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে নিজ কার্যালয় থেকে এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এসব কথা বলেন।
জুলাই বিপ্লবোত্তর দেশের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সকল মিলনায়তন বন্ধ ছিল ১০ই অক্টোবর পর্যন্ত। কিন্তু পরবর্তীতে একাডেমির সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে স্থবিরতা দূর করতে, রাজধানীসহ সারা দেশে জেলা শিল্পকলা একাডেমিগুলোতেও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম সচল করতে উদ্যোগ গ্রহণ করেন একাডেমির মহাপরিচালক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ। ফলে নানান প্রতিকূলতার মধ্যে সীমিত পরিসরে গত ১১ই অক্টোবর জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তন নাট্য মঞ্চায়নের জন্য এবং ২টি মহড়া কক্ষ নাট্যচর্চার জন্য উন্মুক্ত করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে গতকালের ঘটনা তুলে ধরে তিনি বলেন- সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শিল্পকলার আয়োজনে যাত্রা উৎসব চলছে। আমি এবং নাট্যকলা বিভাগের পরিচালক ফয়েজ জহির সেখানে ছিলাম। নাট্যশালার সামনে বিক্ষোভ হচ্ছে শুনে আমি একাডেমিতে যাই। ততক্ষণে একাডেমির কর্মকর্তাগণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছিলেন। এমতাবস্থায় আমি ব্যাকস্টেজে গিয়ে দেশ নাটকের সদস্যদের মনোযোগ দিয়ে উৎকৃষ্টমানের প্রযোজনা উপস্থাপনের পরামর্শ দেই। একইসঙ্গে বাবুকে তিরস্কার করি কুরুচিসম্পন্ন পোস্ট দেয়ার জন্য। তারপর আমি যাত্রা আসরে ফিরে যাই। এর কিছুক্ষণ পর আবার ফোন আসে। এবার বিক্ষুব্ধ জনতা নিয়ন্ত্রণের বাইরে। আমি একাডেমিতে ফিরে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলি। তারা জানায়, যে সংগঠনের নাটক মঞ্চস্থ হচ্ছে তাদের দলের একজন সদস্য স্বৈরাচারের দোসর। ওই নির্দিষ্ট ব্যক্তির কারণে নাট্যদলের প্রদর্শনী করতে দেবে না। আমি তাদের বুঝিয়েছি, দেশ নাটকের অনেক সদস্যও জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছে। তাদের মধ্যে গুলিবিদ্ধও আছে। আমি তাদের বুঝিয়েছি, শিল্পকলার কণ্ঠ যেন কেউ রোধ না করে। শেখ হাসিনার মতো স্বৈরাচার আমরা হতে চাই না। ২০১৮ সাল থেকে আমি নাটক করে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছি। আরও বিতর্কের পরে তারা আবারো উত্তেজিত হয়ে পড়ে। তাদের একজন নিজেকে রিকশাচালক পরিচয় দিয়ে জানায়, জুলাই আন্দোলনে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।” পরে শিল্পকলা একাডেমি আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা তৈরি হওয়ায় অধ্যাপক ড. জামিল আহমেদ বলেন, “আমি এটাও বলেছি, আমার বুকের উপর দিয়ে যান। তখন আমাকে পাশ কেটে দেয়াল টপকে কয়েকজন ঢুকে পড়ে। যখন গেইট ভেঙে ফেলে। তখন আমি দেশ নাটকের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে প্রদর্শনী বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।