দেশ বিদেশ
ইসলামের সুমহান আদর্শ প্রতিষ্ঠা ছাড়া কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন সম্ভব নয়: চরমোনাই পীর
স্টাফ রিপোর্টার, যশোর থেকে
৩ নভেম্বর ২০২৪, রবিবারচরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, ‘জুলুম নির্যাতন অত্যাচারে অতিষ্ঠ জনগণ বিগত দিনের মতো নতুন করে দেশে আর কোনো দখলদার, চাঁদাবাজ ও গুম খুনের সরকার চায় না’। তিনি বলেন, ‘শুধু নেতার পরিবর্তন করলে হবে না সঙ্গে সঙ্গে নীতির সংস্কার করতে হবে। দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দেশ থেকে দুর্নীতি, দুঃশাসন ও লুটপাট বন্ধ করতে হবে। ইসলামের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি সকল ইসলামী দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। মনে রাখতে হবে, ইসলামের সুমহান আদর্শ প্রতিষ্ঠা ছাড়া কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন সম্ভব নয়। ‘ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবে সংঘটিত গণহত্যার বিচার, দুর্নীতিবাজদের অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত ঘোষণা ও সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি প্রবর্তন এবং কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে গতকাল বিকালে যশোর টাউন হল ময়দানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, যশোর জেলা শাখার সভাপতি মিয়া মুহাম্মদ আব্দুল হালিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপদেষ্টা অধ্যক্ষ নাজমুল, সিনিয়র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজুল আলম খোকা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আবু নসর, সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল হালিম, যুগ্মসম্পাদক মোহাম্মদ আলী সরদার, জেলা সদস্য মাওলানা গোলাম আজম খান, ঝিকরগাছা খানার সভাপতি আব্দুল কাদের, শার্শা খানার সভাপতি মাওলানা কামালসহ প্রমুখ। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে আরও বলেন, সকল ষড়যন্ত্রকারীদের বিষয়ে চোখ কান খোলা রেখে আগামী নির্বাচনে হাতপাখাকে বিজয়ী করতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলেও তার দোসররা অর্জিত বিজয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এখনো নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। ইসলামী আন্দোলনের সকল নেতাকর্মীদের এসব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে অতন্দ্র প্রহরীর ন্যায় কাজ করতে হবে। সমাবেশে ৩৬ জুলাইয়ে হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং গত ১৬ বছরে সংঘটিত রাজনৈতিক, প্রশাসনিক হত্যা, গুম ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার, দুর্নীতিবাজ ও বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের সব সম্পত্তি ক্রোক করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমার দাবি জানানো হয়। বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা শোয়াইব হোসেন বলেন, ‘গতানুগতিক নির্বাচন ব্যবস্থা বাতিল করে প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পি আর) পদ্ধতির একটি নির্বাচনী ব্যবস্থা চালু করতে হবে। এটি চালু করলে জনগণের ভোটের ভিত্তিতে আসন বরাদ্দ হবে এবং প্রত্যেক রাজনৈতিক দল বা প্রার্থী তাদের প্রাপ্ত ভোটের শতাংশ অনুযায়ী আসন পাবে, যা জনগণের ইচ্ছাকে আরও সঠিকভাবে প্রতিফলিত করবে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মানুষের জানমাল লুটপাট করবে না বরং মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবো। বিগত ৫৩ বছরে যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে বলে বক্তারা উল্লেখ করেন।