রাজনীতি
নভেম্বর-ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ চায় বিএনপিসহ সমমনারা
স্টাফ রিপোর্টার
(১ মাস আগে) ২৬ অক্টোবর ২০২৪, শনিবার, ৮:১৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৪:২৬ অপরাহ্ন
নভেম্বর এবং ডিসেম্বর মাসের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছে বিএনপিসহ সমমনারা। একইসঙ্গে তারা প্রত্যাশা করছে যে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করবে। এটা অতিদ্রুত হবে বলেও মনে করেন তারা। আজ রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সমমনা দলগুলোর সঙ্গে বিএনপি’র লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গেছে। এসব বৈঠকে বিএনপি’র পক্ষে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র জানায়, বৈঠকগুলোতে ৩১ দফা বাস্তবায়নে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। পাশাপাশি বিএনপি যুগপৎ আন্দোলনের শরীক দল ও জোটদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে যুগপৎ আন্দোলনের দল এবং জোটদের সর্বোচ্চ মূল্যায়ন করা হবে। একইসঙ্গে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে তরুণদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে এবং রাষ্ট্র বিনির্মাণের সুযোগ দেয়া হবে।
বেলা সাড়ে ৩টায় ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ন্যাপ ভাসানীর সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপি’র লিয়াজোঁ কমিটির নেতৃবৃন্দরা। এতে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান এডভোকেট মো. আজহারুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট মো. তাজুল ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব মো. রুবেল হোসেন, যুব ন্যাপ সভাপতি মো. আল-আমিন, বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক মো. ইরফান আহম্মেদ সাকিব, যুব ন্যাপ কেন্দ্রীয় সদস্য মো. ইমরান হাওলাদার, মো নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
পরে বিকাল ৪টা ১০ মিনিটে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি। এতে বাম গণতান্ত্রিক ঐক্যের সমন্বয়ক হারুন আল রশিদ খান, সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি’র আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টি’র সাধারণ সম্পাদক ডা. সামছুল আলম, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড হারুন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। এরপর বিকাল ৪টা ৪০ মিনিটে বাংলাদেশ পিপলস পার্টি’র সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ। এতে বাংলাদেশ পিপলস পার্টি’র চেয়ারম্যান মোহাম্মদ বাবুল সরদার চাখারি, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হারুন অর রশিদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য আতিকুর রহমান লিটন, মো. কামাল আহমেদ, বিলকিস খন্দকার, রানী শেখ, মো. মামুন হোসেন, মো. আরিফুল ইসলাম, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. নাজমুল করিম, খাদিজা আক্তার, যুগ্ম মহাসচিব মোশাররফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
ওদিকে বিকাল ৫টায় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপি’র নেতারা। এতে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক ইসমাইল সম্রাট, সদস্য সচিব সাজ্জাদুর রহমান রাফি, তাওহিদুল ইসলাম, হামিদ প্রিথু, মোহাম্মদ রাকিব, নাদিম খান নিলয়, রাবেয়া সাইদ মিম, রুবাইয়া হক রিদিকা, মোহাম্মদ ইব্রাহীম, জুয়েল আহমেদ, মোহাম্মদ মিনহাজ উপস্থিত ছিলেন।
আমরা দেখছি দেশ এখন ঝিমিয়ে পড়েছে। মানুষের হাতে টাকা নেই, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতী, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ইত্যাদি। এরই প্রেক্ষাপটে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। একটি গণতান্ত্রিক সরকারের বিকল্প নাই। গণতান্ত্রিক সরকার না হলে কিছুই ঠিক হবেনা। সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা, এভাবে দেশ চলতে পারেনা। জিনিসপত্রের দাম জনগণের ক্ষয়-ক্ষমতার নাগালে নিয়ে আসতে হবে। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী, টেন্ডারবাজী, ঘুষ-দুর্নীতি সহ সকল অসুস্থ প্রতিযোগিতা বন্ধ করতে হবে।
Valoi
আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে আপনাদের এত তাড়াহুড়ো কেন ? বাংলাদেশের জনগণ প্রয়োজনীয় সংস্কার ছাড়া কোনো নির্বাচন হউক সেটা চায় না।