ঢাকা, ২২ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৩ জিলক্বদ ১৪৪৬ হিঃ

প্রথম পাতা

মেট্রোরেলের সাবেক এমডি’র আয়েশে গচ্চা সাড়ে সাত কোটি

নাজমুল হুদা
১৬ অক্টোবর ২০২৪, বুধবার
mzamin

নিজের সুবিধার জন্য বাসার কাছেই নেন অফিস ভাড়া। বাসা থেকে অফিসের দূরত্ব ছিল ৭০০ মিটার। শুধু অফিস ভাড়া বাবদই মাসে খরচ হতো কয়েক লাখ টাকা। মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানকে একচ্ছত্র ক্ষমতায় পরিচালনা করা সাবেক এমডি এম এ এন ছিদ্দিকের বিরুদ্ধে রয়েছে এমন অভিযোগ। উত্তরার দিয়াবাড়িতে বিশাল জায়গায় মেট্রোরেলের নিজস্ব ভবন থাকলেও এতদিন ভাড়া কার্যালয়ে অফিস করেছেন ছিদ্দিক। এজন্য মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানকে গচ্চা দিতে হয়েছে প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা। ডিএমটিসিএল সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, সাবেক এমডি এম এ এন ছিদ্দিকের সুবিধার জন্য এতদিন অফিস স্থান্তরিত করা হয়নি। তাই এই অর্থ ভাড়া হিসেবে দেয়া লেগেছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের। 

উত্তরার দিয়াবাড়িতে অবস্থিত এমআরটি লাইন-৬ এর ডিপো। সেখানে অবস্থিত ডিএমটিসিএল ভবন। ওই ভবনটি নির্মাণে চুক্তি বাস্তবায়নের মেয়াদ ছিল ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর। নির্দিষ্ট সময়েই শেষ হয়েছে কাজ। এরপর ডিফেক্ট লাইবিলিটি পিরিয়ড (ডিএলপি) ছিল দেড় বছর। ২০২১ সালে ভবনের কাজ শেষ হওয়ার পরই ডিএমটিসিএলে অফিস করেছেন মেট্রোরেলের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী। তবে ডিএমটিসিএল এর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ইস্কাটন রোডের প্রবাসী কল্যাণ ভবনে ভাড়া অফিসেই এতদিন কার্যক্রম চালিয়েছেন। এমআরটি লাইন-১, লাইন-৬ ও লাইন-৫ এর রুটের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সেখানে অফিস করেছেন। চলতি মাস থেকে এ সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের নিজস্ব ভবনে স্থানান্তরিত হয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) সাবেক এমডি এম এ এন ছিদ্দিকের কারণে এতদিন নিজস্ব ভবনে স্থানান্তরিত হতে পারেনি ডিএমটিসিএল এর অফিস। প্রবাসী কল্যাণের ভবন থেকে মাত্র ৭০০ মিটার দূরে রাজধানীর বেইলী রোডের সরকারি অফিসার্স কোয়ার্টার গুলফিশানে থাকতেন ছিদ্দিক। সেখান থেকে প্রবাসী কল্যাণ ভবন কাছাকাছি হওয়ায় এতদিন ভবনটি ভাড়া নিয়ে অফিসের কার্যক্রম চালিয়েছেন। যদিও দিয়াবাড়িতে ডিএমটিসিএল এর নিজস্ব অফিসটি দৃষ্টিনন্দন। এতদিন সেখানে অফিস না করা নিয়ে উষ্মাও রয়েছে কিছু কর্মকর্তাদের মধ্যে। মঙ্গলবার বেইলী রোডের গুলফিশানে গিয়ে খোঁজ নিলে জানা যায়, ডিএমটিসিএল’র সাবেক এমডি সেখানে আর নেই। ডিএমটিসিএল থেকে তার নিয়োগের চুক্তি বাতিল হওয়ার পর গুলফিশান থেকে চলে গেছেন ছিদ্দিক। 

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৫ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে প্রবাসী কল্যাণ ভবন ভাড়া নিয়েছে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষ। এমআরটি লাইন-১ এর জন্য ১১ হাজার ৮৯০ স্কয়ারফিট জায়গায় ভাড়া নিয়েছিলো প্রবাসী কল্যাণ ভবনে। তবে দিয়াবাড়িতে ডিএমটিসিএল এর নিজস্ব ভবন নির্মাণ হওয়ার পর অর্থাৎ ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত ভাড়া দিতে হয়েছে ২ কোটি ৪০ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। এরমধ্যে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত মাসে প্রতি স্কয়ার ফিট ভাড়া ছিল ৫৫ টাকা করে। আর ওই বছরের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত প্রতি স্কয়ার ফিট ভাড়া ছিল ৬০ টাকা ৫০ পয়সা। এরপর থেকে গত আগস্ট পর্যন্ত ভাড়া ছিল ৬৬ টাকা ৫০ পয়সা। এ ছাড়া এমআরটি লাইন-১ এর আরও একটি ফ্লোর ভাড়া নেয়া হয় ২০২৩ সালের জুলাই মাসে। ৫ হাজার ৪৪৪ স্কয়ার ফিটের প্রতি স্কয়ার ফিটের মাসিক মূল্য ছিল ৫৫ টাকা। অর্থাৎ তখন থেকে চলতি বছর আগস্ট পর্যন্ত ভাড়া দিয়েছে ৪১ লাখ ৯১ হাজার টাকা। 

সূত্র জানায়, প্রবাসী কল্যাণ ভবনে মেট্রোরেল সাউদার্ন রুটের জন্য ভাড়া নেয়া হয়েছিল ৭ হাজার ৮৫৭ স্কয়ার ফিট। ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত এজন্য ভাড়া দিতে হয়েছে ১ কোটি ৬১ লাখ ১৮ হাজার টাকা। এরমধ্যে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মাসে প্রতি স্কয়ার ফিট ভাড়া ছিল ৫৫ টাকা করে। আর তারপর থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত ভাড়া দিয়েছে ৬০ টাকা ৫০ পয়সা। এ ছাড়া মেট্রোরেল লাইন-৬ এর জন্য ১৩ হাজার ৭৮৫ স্কয়ার ফুটের অফিস ভাড়া নিয়েছিল ডিএমটিসিএল। ২০২১ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত এজন্য ভাড়া দিতে হয়েছে ২ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। এরমধ্যে ২০২২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত মাসে প্রতি স্কয়ার ফিট ভাড়া ছিল ৫৫ টাকা। এরপর থেকে চলতি বছর মার্চ পর্যন্ত ভাড়া ছিল ৬০ টাকা ৫০ পয়সা। এপ্রিল থেকে চলতি আগস্ট পর্যন্ত ভাড়া ছিল ৬৬ টাকা ৫০ পয়সা। সব মিলে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরের পর থেকে প্রবাসী কল্যাণে অফিস ভাড়া নেয়ার জন্য ডিএমটিসিএলকে দিতে হয়েছে ৭ কোটি ৩৬ লাখ ৮৭ হাজার টাকা প্রায়। 

ডিএমটিসিএলের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, ২০২১ সালের ভেতরেই দিয়াবাড়ির ভবনের কাজ হয়েছে। তারপর থেকে সেখানে অপারেশন, মেইনটেইনেন্স দলের সবাই অফিস করেছেন। চলতি মাস থেকে প্রবাসী কল্যাণের ভবনে কাজ করা কর্মকর্তারাও এখানে অফিস শুরু করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএমটিসিএল’র আরেক কর্মকর্তা বলেন, সাবেক এমডি চাননি দেখে এতদিন দিয়াবাড়িতে অফিস নেয়া যায়নি। তার নিজস্ব সুবিধার কারণে প্রবাসী কল্যাণে আমাদের অফিস করতে হয়েছে। এখানে আমাদের এতদিন শুধু শুধু ভাড়া দিতে হয়েছে। তিনি বলেন, আগের এমডি বলেছেন, কমলাপুরের কাজ শেষ না হলে দিয়াবাড়ির অফিস আনা যাবে না। তাহলে এখন কীভাবে এনেছে। প্রবাসী কল্যাণে যখন অফিস ছিল সেখান থেকে তো দিয়াবাড়ির কাজ চালানো গেছে। তাহলে এখান থেকে কমলাপুরের কাজ চালাতে তো অসুবিধা নেই। তার ব্যক্তিগত সমস্যা ছিল সেজন্য সেখানে অফিস রাখতে হয়েছে। 

অভিযোগ রয়েছে, মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ডিএমটিসিএলে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন সাবেক এমডি। যেকোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে তার বাইরে কথা বলতে পারতেন না কেউই। গণমাধ্যমের সঙ্গেও তার ভয়ে কথা বলতেন না কোনো কর্মকর্তা। এমনকি জনসংযোগের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের কাছে সাংবাদিকরা কিছু জানতে চাইলেও সাবেক এমডি’র কাছেই জানার জন্য বলতেন। সাবেক এমডি’র ব্যবস্থাপনায় কর্মকর্তাদের মধ্যেও অসন্তোষ ছিল।

এ ব্যাপারে জানতে মঙ্গলবার ডিএমটিসিএলের সাবেক এমডি এম এ এন ছিদ্দিকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি মানবজমিনকে বলেন, সিপি-০২ এর কাজ ২০২২ সালে পরিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছিল। তৎপূর্ব থেকেই ডিএমটিসিএল’র পূর্ণ অপারেশন ও কারিগরি টিম দিয়াবাড়ি কার্যালয়ে নিয়মিত অফিস করছে। অতি নগণ্য সংখ্যক অকারিগরি জনবল প্রবাসী কল্যাণ ভবনে অবস্থিত এমআরটি লাইন-৬ এর প্রকল্প অফিসের অব্যবহৃত কক্ষ ব্যবহার করেছে। ডিএমটিসিএল কখনো কোনো কক্ষ ভাড়া করেনি। 

তিনি আরও বলেন, ডিএমটিসিএল’র নিজস্ব অকারিগরি জনবল কম থাকায় বিভিন্ন লাইনের (লাইন-৬, লাইন-১, লাইন-৫ (উভয় রুট) জনবলকে নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে কাজ চালানো হয়েছে। তারা সবাই প্রবাসী কল্যাণ ভবনের স্ব স্ব প্রকল্প কার্যালয়ে বসতেন। এখান থেকে জনস্বার্থে স্বল্প ব্যয়ে মতিঝিল-কমলাপুর অংশের এবং বিনা ব্যয়ে অন্যান্য সকল লাইনে কাজের সহজ সমন্বয় করা গিয়েছে। প্রতি মাসে সচিবালয়ে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অনুষ্ঠিত সভায় অংশগ্রহণে সময় ও ব্যয় সাশ্রয় হয়েছে। সর্বোপরি অপারেশন ও কারিগরি সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম একইসঙ্গে দিয়াবাড়ি অফিসে যেয়ে নিয়মিত পরিচালনা করা হয়েছে। কাজেই কোনো ভাড়ার অপচয় হয়নি বরং সাশ্রয় হয়েছে। 

যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. শামসুল হক মানবজমিনকে বলেন, ডিএমটিসিএলের চাহিদা অনুযায়ী তাদের অফিস ধরাই ছিল ডিপোতে হবে। সেটা চুক্তি অনুযায়ী নির্মাণ হয়ে যাওয়ার পর অস্থায়ীভাবে বসে যে অর্থ খরচ হলো সেটা বেচে যাওয়ার কথা। এজন্যই বিনিয়োগ করা হয়েছে। কেউ যদি বিনিয়োগের সদ্ব্যবহার না করে অপচয় করে তাহলে নিশ্চয়ই এখানে আইন বহির্ভূত কাজ হয়েছে। এই অর্থ অপচয়ে যদি সঙ্গত কোনো কারণ না থাকে তাহলে তদন্ত করে যার দায় তার কাছ থেকে আদায় করতে হবে। কারণ জনগণের টাকায় এটা করা হয়েছে। যারা এটা তদন্ত করবে না তারাও দায়ী থাকবে। 

৩৫০ কোটি নয়, দেড় কোটিতে চালু ক্ষতিগ্রস্ত স্টেশন:
এদিকে বিগত সরকারের তরফে ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রোরেলের স্টেশন সংস্কার করতে ৩৫০ কোটি টাকা লাগবে বলে দাবি করা হয়েছিল। এ ছাড়া কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ স্টেশন চালু করতেও এক বছর লাগতে পারে বলে দাবি করা হলেছিল। তবে মাত্র দেড় কোটি টাকার মধ্যেই চালু করা হয়েছে স্টেশন দু’টি। এ ছাড়া মিরপুর স্টেশন চালু করতে সময় লেগেছে ২ মাস ২৭ দিন ও কাজীপাড়া স্টেশন চালু হয়েছে গত ২০শে সেপ্টেম্বরে। মঙ্গলবার পুনরায় চালু হওয়া মিরপুর-১০ স্টেশন পরিদর্শন করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, এই স্টেশন চালু করতে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। মেট্রোরেলের সব স্টেশন মিলিয়ে আরও খরচ লাগবে ১৭ কোটি টাকা। মোট লাগবে ১৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। তবে এই টাকা এই মেট্রো থেকেই নেয়া হবে। এ ছাড়া সাড়ে ২০ লাখ টাকায় মেট্রোরেলের কাজীপাড়া স্টেশন চালু করা হয়েছে বলেও জানিয়েছিল মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। মেট্রোরেলের ভাড়া কমানোর ব্যাপারে চেষ্টা করা হবে বলে জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, বিভিন্ন অজুহাতে প্রকল্পের মেয়াদ ও টাকা বাড়ানো হয়েছে। প্রকল্পে দুর্নীতি নাকি অপচয়, সেটি চিহ্নিত করতে হবে।
 

পাঠকের মতামত

এই টাকা প্রাক্তন এমডির নিকট থেকে আদায় করা হোক।

mokbul
২৪ অক্টোবর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৮:৪২ পূর্বাহ্ন

শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা।। চারিদিকে একি শুনি চোর-ডাকাতদের জয়ধ্বনি।এও সম্ভব। একজন কম খরচে মেট্রোরেল চালু করতে ২৪ ঘন্টা লেগে রয়েছে আর একজন ৭ কোটি টাকা+ ব্যয় করে দিব্যি বসে আছে। লে হালুয়া। এমডি বটে। দাদা চালিয়ে যাও।

Anwarul Azam
১৭ অক্টোবর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১:২৯ পূর্বাহ্ন

রাস্ট্রের টাকা যে যেভাবে পারছে, খরচ করছে, বলতে গেলে অপচয় করছে বা নিজের বিলাসিতায় খরচ করেছে। প্রকৃষ্ট উদাহরণ: MAN Siddique. স্বদেশপ্রেমহীন এ ব্যক্তি থেকেই আলাদা আয়েশি খরচের টাকা আদায় করা উচিত। তাহলে উচিত শিক্ষা হবে ও নজির হয়ে থাকবে।

Mohammad Yousuf
১৬ অক্টোবর ২০২৪, বুধবার, ৭:৪২ অপরাহ্ন

ম্যান সিদ্দিক বলে কথা। নাম এম, এ, এন ছিদ্দিক, কিন্তু ওকার মাল বলে সবাই ডাকে ম্যান সিদ্দিক। বাড়ি নোয়াখালী, অবসরে গেছে ২০১৭ সালে। সেই থেকে ২০২৪ পর্যন্ত মেট্রোরেলে। বাকিটা বুইজ্যা নেন, অনেক বড় খেলোয়াড় তিনি।

obak
১৬ অক্টোবর ২০২৪, বুধবার, ৬:৫৫ অপরাহ্ন

এই টাকা প্রাক্তন এমডির নিকট থেকে আদায় করা হোক।

pp
১৬ অক্টোবর ২০২৪, বুধবার, ৪:১১ অপরাহ্ন

মেট্রোরেলের সাবেক এমডি’র আয়েশে গচ্চা প্রবাসীকল্যাণে অফিস ভাড়া নেয়ার জন্য ডিএমটিসিএলকে দিতে হয়েছে ৭ কোটি ৩৬ লাখ ৮৭ হাজার টাকা প্রায়। এই টাকা প্রাক্তন এমডির নিকট থেকে আদায় করা হোক।

Mohammad Nazrul Isla
১৬ অক্টোবর ২০২৪, বুধবার, ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন

যাদের চাকরি চলে গেলে লেঃটি কিনার সামর্থ্য নাই তারাও সরকারি চাকরি পেলে শুটকির ভাড়ারে বিলাই বনে যান। একটি মানুষের মাঝে ও দেশপ্রেম নাই। ভারতে 1996 এ আমার ট্রানজিট এবং যাত্রা বিরতি ছিল। বুম্বাই থেকে রাজস্থান ফ্লাইট, তারপর সড়ক পথে আজমীর শরিফ জিয়ারত করে সড়ক পথে দিল্লী। সেখান থেকে বাংলাদেশে ফ্লাইট। আমি ভারতীয় জনগণের সততা দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম। আমার ট্রলি ব্যাগ ভুল করে রাজস্থান টার্মিনালের ভেতর রেখে বাইরে আসি । ট্যাক্সিতে উঠার সময় দেখি ব্যাগ নাই । টার্মিনালের ভেতর গিয়ে দেখি ব্যাগ টি যথাস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশে হলে উধাও হয়ে যেত। এই ব্যাগের মধ্যেই ছিল আমার ডলার। যখন আজমির পৌছি তখন স্টেশনে ট্যাক্সি খোঁজ ছিলাম। রাত একটা । এখানে শুধুমাত্র সিনজি সার্ভিস। যে ড্রাইভার আমাদের কে হোটেলে নিয়ে এল মনে মনে ভয় পাচ্ছিলাম, আমাদের হত্যা করে সব নিয়ে পালিয়ে যায় কি না। কিন্ত সে এয়ারকণ্ডিশন হোটেলে সিট না পেয়ে আরেকটি এয়ার কোলার হোটেলে নিয়ে রুমের ব্যবস্থা করে বিদায় নেয় । আমাদের যে হোটেলে নিয়ে এসেছিল তাদের ডাইনিং তখন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বিশেষ অনুরোধ করে আমাদের খাওয়ার ব্যবস্থা ও করে । পরদিন এসে আবার খোঁজ নিল আমাদের কোন অসুবিধা হয়েছিল কি না । এতসব করার পর ও সে অতিরিক্ত ভাড়া চার্জ করেনি বরং কম নিয়েছিল। পরের দিন দিনের বেলা আমরা এর চেয়েও বেশি ভাড়া দিয়ে দিল্লীর বাসের জন্য সেই স্টেশনে যেতে হয়েছিল। ঘটনাক্রমে ঐ সময়ে সেও স্টেশনে ছিল । আমাদের দেখে দৌড়ে এসে আমাদের লাগেজ পরিবহন করে । এবং দিল্লীর বাসে তুলে দিয়ে বিদায় জানায়। আজ ও আমি তার আথিতেয়তা ভুলতে পারি নি । কত সৎ ও অমায়িক ব্যবহার।

Kazi
১৬ অক্টোবর ২০২৪, বুধবার, ১১:১১ পূর্বাহ্ন

The lost amount shall be realised from the ex-MD of Metro Rail.

M.H.Bari
১৬ অক্টোবর ২০২৪, বুধবার, ১১:০৮ পূর্বাহ্ন

মেট্রোরেলের সাবেক এমডি’র আয়েশে গচ্চা প্রবাসীকল্যাণে অফিস ভাড়া নেয়ার জন্য ডিএমটিসিএলকে দিতে হয়েছে ৭ কোটি ৩৬ লাখ ৮৭ হাজার টাকা প্রায়। এই টাকা প্রাক্তন এমডির নিকট থেকে আদায় করা হোক।

Moshiur Rahman
১৬ অক্টোবর ২০২৪, বুধবার, ৯:১৬ পূর্বাহ্ন

এই লোকের প্রভিডেন্ট ফান্ডের পুরা টাকা কেটে রাখতে হবে। সাড়ে সাত কোটি টাকা অপচয় করার জন্য এইটুকু তো করাই যায়।

Ashiq
১৬ অক্টোবর ২০২৪, বুধবার, ৯:০৫ পূর্বাহ্ন

মন্ত্রণালয়ের যেসব ঘুষখোর কর্মচারী বা সচিব এতদিন ঘুষ নিয়ে এসেছেন তাঁদের চিহ্নিত করে সরাসরি চাকরি থেকে বরখাস্ত করে আইনের আওতায় আনা হোক অবিলম্বে।

ইরফান
১৬ অক্টোবর ২০২৪, বুধবার, ৮:৫৯ পূর্বাহ্ন

আয়নাঘর পরিস্কারের উপযুক্ত তিনিই।

বেলায়েত হোসেন
১৬ অক্টোবর ২০২৪, বুধবার, ৭:২৪ পূর্বাহ্ন

সকল দূর্নীতিবাজদের সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক বিচার হবে এমনটাই প্রত্যাশা এদেশের ছাত্র জনতার।

Md. Jahangir Alam Bh
১৬ অক্টোবর ২০২৪, বুধবার, ১২:৪১ পূর্বাহ্ন

প্রথম পাতা থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

প্রথম পাতা সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status