অনলাইন
সম্পর্ক নষ্টের আশঙ্কা নাকচ পররাষ্ট্র উপদেষ্টার
হাসিনার হাতে ভারতের ট্রাভেল পাস, অন্যত্র আশ্রয়ের ব্যর্থ চেষ্টা
বিশেষ প্রতিনিধি
(৮ মাস আগে) ১৩ অক্টোবর ২০২৪, রবিবার, ৯:২৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৬ পূর্বাহ্ন

দু'দিন আগে নয়াদিল্লি ও লন্ডন সূত্রে খবর বেরিয়েছে তৃতীয় দেশে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধান কিংবা রাজনৈতিক জীবন বাঁচাতে বিদেশ ভ্রমণে শেখ হাসিনাকে ‘ট্রাভেল ডকুমেন্ট’ দিয়েছে ভারত। চাঞ্চল্যকর রিপোর্টটি করেছিলো ঢাকার প্রতিষ্ঠিত একটি মিডিয়া। দিল্লির সাউথ ব্লক আজ অবধি সেই তথ্যের সত্যতা স্বীকার বা অস্বীকার করেনি। চুপ ছিলো ঢাকাও। 'পূজার ছুটি চলছে' বলে শনিবার বিকাল অবধি মানবজমিনের কোয়েরি এড়িয়ে যান সেগুনবাগিচার দায়িত্বশীলরা। তাছাড়া সচিব যুক্তরাষ্ট্র সফরে থাকায় 'যা বলার উপদেষ্টা বলবেন' বলেও জানান তারা। এ কারণে দেশের গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা মুখিয়ে ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টার প্রতি। অবশেষ নরসিংদীর ঐতিহ্যবাহী সেবা সংঘ পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের মুখোমুখি হতে সক্ষম হন স্থানীয় সাংবাদিকরা।

প্রশ্ন মূলত একটাই-শেখ হাসিনাকে ভারতের ‘ট্রাভেল ডকুমেন্ট’ দেয়ার খবর সত্য কি-না? সম্পূরক জিজ্ঞাসা, এতে ঢাকা-দিল্লি বহুমাত্রিক সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে কি? প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়ার কোনোরকম চেষ্টা না করেই জবাব দেন পোড় খাওয়া কূটনীতিক তৌহিদ হোসেন, তবে খানিকটা ডিপ্লোম্যাটিক্যালি। বলেন, ‘ট্রাভেল ডকুমেন্ট যেকোনো দেশ যেকোনো ব্যক্তিকেই ইস্যু করতে পারে। আমাদের তা ঠেকানোর কোনো উপায় নেই। তবে কোনো মামলায় যদি তাকে (শেখ হাসিনা) আদালত হাজির করতে নির্দেশ দেন, তাহলে অবশ্যই আমরা তাকে ফেরানোর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
রক্তাক্ত গণ–অভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত ‘ট্রাভেল ডকুমেন্ট’ দেয়ায় দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট বা অবনতির আশঙ্কা এ সময় নাকচ করেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মিস্টার হোসেন।

৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর থেকে তিনি নয়াদিল্লিতেই রয়েছেন বলে তথ্য পাচ্ছে সরকার। দায়িত্ব নেয়ার পরপরই নোবেলবিজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তবর্তীকালীন সরকার প্রধানমন্ত্রী বলে পাওয়া শেখ হাসিনার কূটনীতিক পাসপোর্ট রিভোক বা বাতিল ঘোষণা করে। ফলে দিল্লিতে তার অবস্থা কিংবা অন্যত্র নিরাপদ আশ্রয় খুঁজতে একমাত্র বিকল্প হচ্ছে ভারতের ট্রাভেল ডকুমেন্ট ইস্যু করা। যাতে ভারতসহ অন্য দেশের ভিসা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
স্পেশাল অ্যারেঞ্জমেন্টে দিল্লির আশ্রয়ে থাকা শেখ হাসিনা ভারত ছেড়ে যেতে পারেন মর্মে ক'দিন আগে ব্রেকিং রিপোর্ট করে মানবজমিন। এরপর তার অন্যত্র যাওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এরমধ্যে গত বুধবার তার অনুকূলে ভারত সরকারের ট্রাভেল ডকুমেন্ট ইস্যু করেছে মর্মে তথ্য পান লন্ডন প্রবাসী সাংবাদিক বাংলা ট্রিবিউন প্রতিনিধি মুনজের আহমদ চৌধুরী। তথ্যটি নয়াদিল্লিতে যাচাই করেন খ্যাতিমান সাংবাদিক রঞ্জন বসু।
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানা পরিবারের ঘনিষ্ঠ, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী নেতার বরাতে রিপোর্টে জানানো হয়, শেখ হাসিনাকে ভারত সরকার যে ট্রাভেল ডকুমেন্ট দিয়েছে তাতে ভিসা নিয়ে তিনি বিশ্বের যেকোনো দেশে যেতে পারবেন। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা শনিবার কোনো রাখঢাক না করেই বলেন, ভারত বা যেকোনো দেশ যে কারও অনুকূলে 'ট্রাভেল ডকুমেন্ট' ইস্যু করতেই পারে। এটা ঠেকানোর কেনো উপায় আমাদের হাতে নেই। ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক উভয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তৌহিদ হোসেন বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের কিছু বিষয়ে অস্বস্তি ছিল, সেটা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। আমাদের মধ্যে বিদ্যমান যে সম্পর্ক আছে, সেটা বজায় থাকবে। তিনি বলেন, সম্পর্ক উন্নয়ন উভয়ের স্বার্থেই হতে হবে। ভারতের যেমন আমাদের দরকার, তেমনি আমাদেরকেও ভারতের দরকার।’
হাসিনার 'ট্রাভেল ডকুমেন্ট' প্রশ্নে বিশ্লেষকদের অনুমান এবং...
ঢাকায় হাইকমিশনারের গুরু দায়িত্ব পালন করে যাওয়া ভারতের শীর্ষ এক কূটনীতিক বলছিলেন, ‘ভারত যদি শেখ হাসিনাকে ট্রাভেল ডকুমেন্ট সত্যিই দিয়ে থাকে, আমি তাতে এতটুকুও অবাক হবো না। কারণ এই পরিস্থিতিতে এটাই সবচেয়ে স্বাভাবিক ও প্রত্যাশিত পদক্ষেপ।' তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, ভারতের বিভিন্ন জায়গায় যে কয়েক লাখ তিব্বতি শরণার্থী থাকেন, তাদের বেশিরভাগ ভারতের পাসপোর্টধারী নন। বরং এই ধরনের ‘ট্রাভেল ডকুমেন্ট’ (সংক্ষেপে যেটাকে বলে ‘টিডি’) নিয়েই তারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সফর করেন। টিডি কোনো পাসপোর্ট নয়, বরং ভারত সরকারের জারি করা একটি বিশেষ ধরনের ‘পরিচয়পত্র’; যা দিয়ে বিদেশ সফর করা যায়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ এতে ভিসা দিয়ে থাকে। এর পোশাকি নাম হলো- ‘আইডেন্টিটি সার্টিফিকেট’ বা আইসি। ভারতের সাধারণ পাসপোর্ট গাঢ় নীল রঙের হলেও আইসি সাধারণত হলুদ রঙের একটি বুকলেটের আকারে জারি করা হয়। তিব্বতি ধর্মগুরু চতুর্দশ দালাই লামা– যিনি ১৯৫৯ সালে চীনের চোখ এড়িয়ে ভারতে পালিয়ে আসেন এবং দেশটিতে রাজনৈতিক আশ্রয় লাভ করেন। তিনিও এ ধরনের একটি ‘ট্রাভেল ডকুমেন্ট’ বা আইসি নিয়েই সারা পৃথিবী চষে বেড়ান। ভারতের পাসপোর্ট নেয়ার সুযোগ থাকলেও তিনি গ্রহণ করেননি। দ্বিতীয় বা তৃতীয় প্রজন্মের যে তিব্বতিদের ভারতের মাটিতে জন্ম, তারাও জন্মসূত্রে ভারতীয় নাগরিক হওয়ার অধিকারী। কিন্তু তাদেরও বেশিরভাগকে পাসপোর্টের বদলে ‘টিডি’ বা ‘আইসি’ দিয়েছে ভারত। তারা এটা নিয়েই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যাতায়াত করছেন। ভারতের সাবেক ওই কূটনীতিক এ-ও বলছিলেন, ‘জানি না শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনাকে ভারত রাজনৈতিক আশ্রয় (পলিটিক্যাল অ্যাসাইলাম) দেবে কি-না। কিন্তু গত দুই মাসের ঘটনাপ্রবাহ যেভাবে গড়িয়েছে, তাতে দালাই লামার ঘটনার সঙ্গে আমি কিন্তু শেখ হাসিনার কেসের অনেক মিল পাচ্ছি। ভারতে যতদিনই থাকুন, শেখ হাসিনা হাত গুটিয়ে নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে থাকবেন, এটা তো আর হতে পারে না। দালাই লামাও তাই করেছেন, রাজনীতি ও কূটনীতি চালিয়ে গেছেন এবং পৃথিবীর বহু দেশে সফর করেছেন। একইভাবে রাজনৈতিক প্রয়োজনে, বিশ্বময় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে শেখ হাসিনাকেও ভারতের বাইরে যেতে হবে, এটাই স্বাভাবিক। সেই বাস্তবতা অনুধাবন করে ভারত যদি তাকে ‘টিডি’ বা ‘আইসি’ দিয়ে থাকে, সেটাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই’।
হাসিনাকে আমিরাতের প্রত্যাখ্যান
ওদিকে বিভিন্ন সূত্রে বিদেশি সংবাদ মাধ্যমে খবর বেরিয়েছে- ৫ই আগস্ট পদত্যাগের পর অব্যাহত কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি কমফোর্ট জোন হিসেবে ভারতেই অস্থায়ী আশ্রয় খুঁজছেন। সেই সঙ্গে বিকল্প হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আশ্রয় পাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু আমিরাত তাকে গ্রহণ করেনি। একটি সূত্রের দাবি, এরইমধ্যে আমিরাতে প্রবেশের এক দফা চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি! তাকে নাকি বিমানবন্দরেই ১৭ ঘণ্টা অবরুদ্ধ অবস্থায় কাটাতে হয়েছে! রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে বিদেশে শেখ হাসিনার আশ্রয় পাওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা এটাই ইঙ্গিত করে যে, আন্তর্জাতিক মহলে তার বিকল্প সুযোগ হ্রাস পাচ্ছে।
ওদিকে অন্য সূত্রের খবর, কিছু শর্তে দিল্লিতে অবস্থান করছেন শেখ হাসিনা। যদিও তার ঐতিহাসিক মিত্র ভারত। যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য বৈশ্বিক শক্তি শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থানে নাখোশ। এটি দিল্লির ওপর প্রচ্ছন্ন চাপ। স্মরণ করা যায়, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ইঙ্গিত দিয়েছে যে দুর্নীতি এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে হাসিনাকে ফেরানোর চেষ্টা করা হবে। ততদিন তিনি ভারতে থাকলে বাংলাদেশের সঙ্গে টানাপোড়েন হবেই। উল্লেখ্য, আমিরাতের আগে বৃটেনে আশ্রয় প্রার্থনা করেছিলেন শেখ হাসিনা। কিন্তু তারাও তাকে গ্রহণে রাজি হয়নি।
পাঠকের মতামত
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যে সকল ভয়াবহ গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের হয়েছে এবং ইতোমধ্যে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী হয়েছে তাতে দুনিয়ার কেহই যেহেতু তাকে আশ্রয় দিতে চাচ্ছে না সেহেতু সকল ধরনের অপমানজনক ও কষ্টদায়ক প্রক্রিয়া এড়িয়ে আগে ভাগে একমাত্র কবরস্থানেই আশ্রয় নেওয়ার পথে কোন ভিসা লাগবে না ।
She can try for Israel....as modi and netaneahu are close friends...they both like killer...
She can go to Israel and take refuge there...
She can try for Uganda , North korea or East Timor.
দেশটাকে ধংস করে হাসিনা পালিয়ে গেছে। সেই সাথে নিয়ে গেছে হাজারো তাজা প্রাণ। এত কিছুর পরেও যদি কোন দালারের বাচ্চা হাসিনাকে ফেরাবার স্বপ্ন দেখে,তাহলে প্রয়োজনে আবারো জীবন দেবো। তারপরও হাসিনা আর তার বংশের কাউকে এই জমিনে আর ঠাই দেবো না ইনশাআল্লাহ্।
At least, I don't believe that she is presently not in the country.
দেখুন, দেখুন, সবাই দেখুন - বানরের গলায় মুক্তার মালা।
হাসিনাকে দ্রুত দেশে এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
অন্য দেশে উদ্বাস্তু হিসেবে আশ্রয় পেলে তখনই ঐ দেশের সরকার ট্রাভেল পাস দেওয়া হয়। এক কথায় শেখ হাসিনা উদ্বাস্তু হিসেবেই বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছে। বাংলাদেশের খেয়ে পরে সে তার পেয়ারে ভারতের পক্ষে কাজ করেছে "ফির ভি দিল হ্যা হিন্দুস্তানী?
ইন্ডিয়া সন্ত্রাসীদের আশ্রয়স্থল এটা আমি আগে থেকেই জানি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ঈসরাইল আর ইন্ডিয়া পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ আস্তানা
ভারতের এই কার্যক্রম এটাই প্রমান করে,খুনি ফ্যাসিস্ট হাসিনা ভারতের পা চাটা দাস ও দালাল ছিলো।আমাদের মাতৃভূমিকে মূলত ভারতের একটি প্রদেশ হিসেবে ভারত শেখ হাসিনার মাধ্যমে শাসন করত।
অন্তত দেশের মানুষ যেন ভুলে না যায়- গনহত্যাকারী হাসিনার জন্য ভারত কেন এতো করে। যে দেশে ঘৃণিত, ভারতে কেন এতো লালিত? তাহলেই দেশের জন্য কোন রাজনীতি করা ঠিক হবেনা- ক্লিয়ার হয়ে যায়।
বাংলাদেশে গনহত্যা চালিয়ে যাওয়া অপরাধীদের আশ্রয় প্রশ্রয়, পুনর্বাসন করছে মোধির ভারত। সেই ভারত বাংলাদেশের বন্ধু হতে পারে না। মোদির ইন্ডিয়া খুনি হাসিনার মিত্র; বাংলাদেশের নয়।
হাসিনার স্বৈরাচারী হওয়ার পিছনে ভারত অনেকাংশে দায়ী। সেকারণে ভারত তার দায় মোচনের জন্য যা যা করা দরকার তার সবটুকুই করবে।
দালাইলামার সাথে খুনি হাসিনার তুলনা করা ঠিক না, দালাইলামা খুনি ছিলেন না, গণহত্যাকারী ছিলেন না। কিন্তু হাসিনা খুনি এবং গণহত্যাকারী।
ভারত হলো খুনিদের অভয়াশ্রম। খুনিদের ভারতেই মানায় ।যেমন, বন্যরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে।
হাসিনা ভারতের দাসী সেটা ভালো ভাবে প্রমান করলো
নিকৃষ্ট স্বৈরাচার সর্বদেশেই ঘৃনিত,তাই তাদের জন্য পৃথিবীটাই সংকুচিত হয়ে যায়। স্বৈরশাসকেরা সেটা আগে উপলব্ধি করতে পারেনা।।
গনহত্যাকারীকে আশ্রয় দিয়ে আবার পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদ বলে। ছিঃ
ভারত যদি খুনি অবৈধ হাসিনাকে আশ্রয় দেয় তাহলে বাংলাদেশের উচিত অনুপচেটিয়াকে আশ্রয় দেওয়া।না হলে বৈষম্য থেকেই যায়।
তিব্বতের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু দালাইলামার সাথে গণহত্যাকারী হাসিনার তুলনা করে ভারতীয় কূটনীতিক পক্ষান্তরে দালাইলামাকেই অপমান করলেন। হাসিনার যাবতীয় অপকর্মের প্রচ্ছন্ন সহায়তাকারী ভারত হাসিনাকে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে অবস্থান ও পরবর্তীতে ট্রাভেল ডকুমেন্টস দিয়ে তার প্রতি তাদের দৃঢ় সমর্থন পূর্ণব্যক্তই করলো না শুধু ভবিষ্যতে মানবতা বিরোধী অপরাধে বিচারের সম্মুখীন হওয়ার পর তাকে বাংলাদেশে ফেরত না দিয়ে বরং তৃতীয় কোন দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় পাইয়ে দেয়া অথবা নিজ দেশেই রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়ার বিষয়ে তাদের অবস্থান জানিয়ে দিল!
দালাইলামার সাথে খুনি হাসিনার তুলনা করা ঠিক না, দালাইলামা খুনি ছিলেন না, কিন্তু হাসিনা যে খুনি সেটা বিশ্বের সব দেশই জানে।
রাষ্টহীন ব্যক্তিকে ট্রাভেল ডকুমেন্ট দেয়া হয়। মানে শেখ হাসিনা এখন একজন রাষ্টহীন উদ্বাস্তু। অথচ এই লজ্জাকেও আওয়ামীপন্থীরা সম্মানজনক অর্জন বলে প্রচার করে সুখ অনুভব করছে।
Her future destination would be Belarus.
ওনি রুয়ানডায় যেতে পারেন যদি রুয়ান্ডা সরকার ভিসা দেয়!
"আদালত হাজির করতে নির্দেশ দেন......." !!! কি অদ্ভুত বক্তব্য!!! আমরা কোথায় বসবাস করছি??
ভারত হাসিনাকে নিয়ে খেলতে চাচেছ ।
প্রথতে ভারত, দ্বিতিয়ত ভারত , শেষ পর্যন্ত ভারত । ভারতের টিডি এটাই প্রমান করে সে ভারতের পা চাটা দাসী ছিলো। এই দেশকে সে ভারতের হাতে তুলে দিয়েছিলো।
ট্রাভেল ডকুমেন্টের সাথে একটা ম্যারিজ সার্টিফিকেট দিয়ে দিলে ভাল হইত।
যে কোন দেশ বিদেশী নাগরিক কে ট্রাভেল পাস দিতে পারে এই প্রথম শুনলাম।
দালাইলামার সাথে খুনি হাসিনার তুলনা করা ঠিক না, দালাইলামা খুনি ছিলেন না, কিন্তু হাসিনা যে খুনি সেটা বিশ্বের সব দেশই জানে।
ভারত অপরাধীদের আশ্রয়স্থল । আর একারনেই তারা জাতিগত ভাবেই অন্যায়কারী ।