খেলা
এবার খেলোয়াড়দের ওজনের অজুহাত দিলেন পোথাস
স্পোর্টস ডেস্ক
১২ অক্টোবর ২০২৪, শনিবারভারত সফর জুড়ে বাংলাদেশ দলের বাজে পারফরম্যান্সের কারণ হিসেবে নানা ধরনের যুক্তি দিয়েছেন ক্রিকেটাররা। কখনো ভারতীয় ক্রিকেটের শানশওকতের কথা, কখনো আইপিএল-বিপিএল’র পার্থক্য। কখনও বা মিরপুরের উইকেটকে ঢাল হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। কেউ আবার স্কিলের ঘাটতির কথাও বলেছেন। গতকাল হায়দরাবাদে বাংলাদেশ দলের ফিল্ডিং কোচ নিক পোথাস শোনালেন দুই দলের শারীরিক শক্তির ব্যবধানের কথা।
২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-০ ব্যবধানে হারের পর ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ২টিতে একেবারে পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশ। ভারত ঘরের মাঠে টানা ১৬তম টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নিয়েছে ১ ম্যাচ হাতে রেখেই। আজ রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে হবে সিরিজের শেষ ম্যাচ। তার আগে সিরিজ জুড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতার বিষয়টি বারবার এসেছে গতকাল পোথাসের সংবাদ সম্মেলনে। উত্তর দিতে গিয়ে ভারত থেকে শিক্ষা নেওয়ার কথাটা অনেকবার বলেছেন পোথাস। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট যেহেতু, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ছক্কা মারার সামর্থ্যের বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে পোথাস দুই দলের খেলোয়াড়দের ওজনের পার্থক্য তুলে ধরে বলেন, ‘কঠিন কথা বললেন। একজন যদি ৯৫-১০০ কেজি ওজনের হয় আর আরেকজন যদি হয় ৬৫ কেজি, তাহলে একজন তো বেশি দূরে বল পাঠাবেই। অবশ্যই এখানে টাইমিং আছে, টেকনিক আছে, সব আছে। আমরা প্রতিনিয়ত কাজও করে যাচ্ছি।’ এরপর ঘুরেফিরে আইপিএলের যুক্তিতে গিয়ে পোথাস বলেন, ‘আইপিএলের দিকেও তাকাতে হবে। আইপিএল দুনিয়ার সেরা টুর্নামেন্ট। প্লেয়ারদের কোয়ালিটি মিলিয়ে দারুণ টুর্নামেন্ট। আইপিএল খেলোয়াড়দের তৈরি করে দেয় আন্তর্জাতিক মঞ্চের জন্য। ফলে এখানে আপনি পুরো ভিন্ন দুটি জিনিসের তুলনা করছেন যে ভারতের কটি ছক্কা এবং আমাদের কটি ছক্কা। এটা অনেকটা এমন হয়ে গেল, ওয়েস্ট ইন্ডিজ কটি ছক্কা মেরেছে আর আমরা কটি। তারা অনেক শক্তিশালী ক্রিকেটার। আমরা স্ট্রেংথ এবং কন্ডিশনিংয়ের দিকে উন্নতি করছি। কিন্তু জেনেটিকস নিয়ে তো আর লড়াই করতে পারবেন না।’ তাই বলে প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দেড় শও করতে পারবে না বাংলাদেশ? এ প্রশ্নের উত্তরে পোথাস বলেন, ‘আমরা দারুণ প্রতিপক্ষের বিপক্ষে তাদেরই মাঠে খেলছি। আপনি সঠিক বলেছেন। দুই দলের পার্থক্য দেখলে বোঝা যাবে সব। টপ অর্ডারে দেখুন ইমন (পারভেজ হোসেন) ২ ম্যাচ খেলেছে। হ্যাঁ, দলে অভিজ্ঞরাও আছে।’ পরে অবশ্য নিজেদের ব্যর্থতা মেনে নিয়ে ফিল্ডিং কোচ বলেন, ‘আমরা প্রত্যাশা অনুযায়ী ব্যাটিং করতে পারিনি। অবশ্যই ১৭০-১৮০ রান করতে পারতাম। তারা ২২০ করুক বা যাই করুক, সেটা বোলিংয়ের ব্যাপার। সেটা আমি মেনে নিচ্ছি। আমাদের আরও বেশি রান করা দরকার ছিল। দারুণ উইকেট ছিল। ভারতও অনেক ভালো বল করেছে। আমরাও ম্যাচের অনেক সময়ে অনেক সুযোগ নিতে পারিনি।’
রিয়াদের বিষয়ে নিশ্চুপ
দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ১৪০টি ম্যাচ খেলা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আজ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে বিদায় বলবেন। রিয়াদকে বিদায় জানাতে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পক্ষ থেকে কোনো আয়োজন থাকাই স্বাভাবিক। কিন্তু হায়দরাবাদে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের ফিল্ডিং কোচ নিক পোথাস পরিষ্কার করে কিছু বলতে চাইলেন না। তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, মাহমুদউল্লাহকে বিদায়ী ম্যাচে কোনো সংবর্ধনা দেওয়া হবে কি না কিংবা এমন কোনো আয়োজন আছে কি না? পোথাস এই প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘দুঃখিত, এটা (দলের) অভ্যন্তরীণ ব্যাপার।’