রাজনীতি
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে শফিকুর রহমানের সাক্ষাৎ
দু’দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় আলোচনা
স্টাফ রিপোর্টার
(৩ সপ্তাহ আগে) ৮ অক্টোবর ২০২৪, মঙ্গলবার, ৫:২৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৪৭ অপরাহ্ন
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ড. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক। এতে দু’দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং দু’দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও কিভাবে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সেব্যাপারেও উভয়েই অভিমত ব্যক্ত করেছেন। পাশাপাশি সাম্প্রতিক আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসার ব্যাপারে কোরিয়া প্রজাতন্ত্র কিভাবে সহযোগিতা করতে পারেন, সেবিষয়ে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে জামায়াত। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় রাজধানীর মগবাজারে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ শেষে এসব কথা জানান শফিকুর রহমান। প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
পরে শফিকুর রহমান বলেন, সম্প্রতি দেশে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান হয়েছে এবং একটি কর্তৃত্ববাদী সরকারের বিরুদ্ধে এ দেশের গণমানুষের যে লড়াই সাড়ে ১৫ বছর ধরে চলে আসছিল, সেই লড়াইয়ের পরিসমাপ্তি লগ্নে আমাদের দেশের ছাত্র ও যুব সমাজ কোটা বিরোধী যে আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন- সেই আন্দোলনকে দমানোর জন্য সরকার এক কুৎসিত পথ অনুসরণ করেছিলো।
তিনি বলেন, অসংখ্য মানুষের জীবনের বিনিময়ে, হাজারো মানুষের ত্যাগের বিনিময়ে এবং দেশে প্রবাসে একই সঙ্গে লড়াইয়ের বিনিময়ে এই জাতি সাময়িকভাবে মুক্তি পেয়েছে। বাংলাদেশকে কিভাবে সামনে এগিয়ে নেয়া যায় এবং বাংলাদেশের জনগণের উন্নতি, নিরাপত্তা ও অগ্রগতি নিয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সঙ্গে তারা কিভাবে কাজ করতে পারেন, বিশেষ করে বাংলাদেশ এবং রিপাবলিক অব কোরিয়া এক্ষেত্রে তাদের পার্টনারশিপ আরও কিভাবে উন্নত করতে পারেন- এবিষয়গুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।
জামায়াতের আমীর বলেন, সাম্প্রতিক আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসার ব্যাপারে কোরিয়া প্রজাতন্ত্র কিভাবে সহযোগিতা করতে পারেন, সেবিষয়ে আমরা তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। এব্যাপারে তারা আমাদেরকে আশ্বস্ত করছেন। এই মুহূর্তে তাদের এই সহযোগিতা আমাদের অত্যন্ত মৌলিক প্রয়োজন।
কোরিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাদের সততা ও দক্ষতা দিয়ে আরো কিভাবে অবদান রাখতে পারেন, সেবিষয়েও আমরা আলোচনা করেছি এবং কোরিয়াতে বাংলাদেশিরা যেন আরও বেশি সংখ্যায় যেতে পারেন- সেব্যাপারে সহযোগিতা চেয়েছি। আমাদের আলোচনা অত্যন্ত চমৎকার হয়েছে, সন্তোষজনক হয়েছে। তারা বাংলাদেশকে আরও সহযোগিতা করবেন বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। তাদেরও কিছু কথা ছিলো-সেগুলো আমরা মনোযোগ দিয়ে শুনেছি এবং সে জায়গাগুলো আমরা পরিষ্কার করার চেষ্টা করেছি। আমাদের মনে হয়েছে যে, আমাদের কথায় তারা পুরোপুরি আশস্ত হয়েছেন।
তিনি বলেন, এ সফরকালে তারা বাংলাদেশের সমাজ ও সামাজিক প্রেক্ষাপট সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা পেয়েছেন।
সাক্ষাতে জামায়াতের আমীরের সঙ্গে দলের নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, মাওলানা আনম শামসুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আবদুল হালিম, এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল, উত্তরের আমীর মো. সেলিম উদ্দিন এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন উপস্থিত ছিলেন। দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ডেপুটি চিফ মিশন মিস ঝিনহি ব্যাক উপস্থিত ছিলেন।