ঢাকা, ১১ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৫ মহরম ১৪৪৭ হিঃ

দেশ বিদেশ

২৬শে অক্টোবর মহাসমাবেশের ডাক সংখ্যালঘু জোটের

স্টাফ রিপোর্টার
৫ অক্টোবর ২০২৪, শনিবার

নিজেদের ৮ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোট। একইসঙ্গে প্রতিটি বিভাগীয় শহরে সমাবেশ ও আগামী ২৬শে অক্টোবর চট্টগ্রামে মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। তাতেও দাবি আদায় না হলে- চট্টগ্রাম থেকে ঢাকামুখী লংমার্চ করা হবে। ‘দেশব্যাপী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের বাড়িঘর-মন্দির-দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, লুটপাট, দখল, হত্যা, দেশত্যাগের হুমকি, মব জাস্টিসের নামে হত্যাচেষ্টা বন্ধ, দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও ৮ দফা দাবি বাস্তবায়নে গতকাল বিকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত গণসমাবেশে এ ঘোষণা দেন জোটের নেতারা। আয়োজিত গণসমাবেশে বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোটের নেতারা বলেন, গত ৫ই আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর থেকে দেশ জুড়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর হামলা চলছে। বাড়িঘর-মন্দির-দোকানপাটে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে। আসন্ন দুর্গাপূজার প্রতিমা ভাঙচুর করা হচ্ছে। আমরা এই নির্যাতনের বিরুদ্ধে গত ৯ই আগস্ট থেকে রাস্তায় আন্দোলন করছি। কিন্তু কেউ কোনো ভ্রুক্ষেপ করছে না। উল্টো আওয়ামী লীগের নামে আমাদের ট্যাগ দেয়া হচ্ছে। রাজনৈতিক হামলা বলে দায় এড়ানোর চেষ্টা চলছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই হামলা নির্যাতন শুধু এখনই হচ্ছে তাই নয়, সকল সরকারের সময়ই চালানো হয়েছে। বক্তারা জামায়াতের আমীরসহ সকল ইসলামিক দলগুলোর প্রশংসা করে বলেন, ৫ই আগস্টের পর যখন সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলা হয় তখন কিন্তু জামায়াতের সদস্য ও ইসলামিক দলগুলোর সদস্যরা খবর নিয়েছেন। নিজেরা রাত জেগে আমাদের মন্দির পাহারা দিয়েছেন, যা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। তারা প্রধান উপদেষ্টার নির্বাহী ক্ষমতা বলে দুর্গাপূজার সময় পাঁচদিন সরকারি ছুটি ঘোষণারও দাবি জানান। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে তাদের পেশকৃত দাবিগুলো হলো- ১. সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচারের জন্য ‘নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠনের মাধ্যমে ‘দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল’ গঠনপূর্বক দোষীদের দ্রুততম সময়ে উপযুক্ত শান্তি প্রদান, ক্ষতিগ্রস্তদের যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। ২. অনতিবিলম্বে ‘সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন’ প্রণয়ন করতে হবে। ৩. ‘সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয়’ গঠন করতে হবে। ৪. হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে ‘হিন্দু ফাউন্ডেশন’-এ উন্নীত করতে হবে। পাশাপাশি বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকেও ফাউন্ডেশনে উন্নীত করতে হবে। ৫. ‘দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ আইন’ প্রণয়ন এবং ‘অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ’ আইন যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে। ৬. সরকারি/বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ও সকল উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য উপাসনালয় নির্মাণ এবং প্রতিটি হোস্টেলে প্রার্থনাকক্ষ বরাদ্দ করতে হবে। ৭. ‘সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ড’ আধুনিকায়ন করতে হবে। ৮. শারদীয় দুর্গাপূজায় ৫ দিন ছুটি দিতে হবে। পাশাপাশি প্রতিটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রধান প্রধান ধর্মীয় উৎসবে প্রয়োজনীয় ছুটি প্রদান করতে হবে।  আয়োজিত গণসমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রামের পুন্ডরিক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী, প্রসেনজিৎ হালদার, বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদের সভাপতি দীপংকর শিকদার দীপু, বিশিষ্ট প্রকাশক রতন চন্দ্র পাল, শারদাঞ্জলি ফোরামের সাধারণ সম্পাদক লিটন পাল, সুনিত বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ডা. সুশঙ্কর মণ্ডল, ডেভোলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মোহন সরকার, সনাতন অধিকার মঞ্চের আহ্বায়ক অধ্যাপক অশোক রায়সহ দেশের বিভিন্ন মঠ-মন্দিরের সাধু-সন্নাসী ও শিক্ষার্থীরা।

 

 

দেশ বিদেশ থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

দেশ বিদেশ সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status